হাঙরের ছবি দেখলে ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে যায় অনেকে। আর সামনাসামনি দেখলে তো কলিজা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাওয়ার জোগাড় হয়! তবে আমেরিকার একদল ডুবুরী প্রায় ২০ ফুট (৬ মিটার) লম্বা হাঙরের সঙ্গে দিব্যি সাঁতার দিয়ে এসেছে! ডাঙায় এসে বুক ফুলিয়ে সেই গল্পও বলেছেন তারা।
সাদা রঙের হাঙরটি স্ত্রী প্রজাতির। পরিসংখ্যান অনুযায়ী এটি পৃথিবী গ্রহের সবচেয়ে দীর্ঘ হাঙরগুলোর মধ্যে অন্যতম। যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই সমুদ্রতীরের অদূরে পানির নিচে এই প্রাণীকে ডুবুরীদের একজন স্পর্শও করেন। হাঙরটির ওজন প্রায় আড়াই টন। এর আশেপাশে দুটি ডলফিন নাচানাচি করছিল।
ধারণা করা হচ্ছে, ২০ বছর আগে হাঙরটিকে ‘ডিপ ব্লু’ নাম দিয়েছিলেন গবেষকরা। এর বয়স আনুমানিক ৫০ বছর। পাঁচ বছর আগে ক্যামেরায় প্রথমবার ধরা পড়ে সে। ওই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। চমকপ্রদ ব্যাপার হলো, তার টুইটার অ্যাকাউন্ট আছে!
হনোলুলু স্টার অ্যাডভার্টাইজারকে ওশান রামসে নামের একজন ডুবুরী বলেন, ‘সূর্যোদয়ের সময় সাগরের তলদেশে গিয়েছিলাম আমরা। এই শান্ত হাঙর দিনভর আমাদের সামনেই ঘোরাফেরা করেছে। আমাদের ধারণা, সে গর্ভবতী।’
ডুবুরী ওশান রামসে মনে করেন, বয়স্ক ও সন্তানসম্ভবা বিশাল সাদা হাঙরের আশেপাশে সাঁতার নিরাপদ। তবে তারা সন্তানদের খাওয়ানোর সময় মোটেও কাছে যাওয়া উচিত নয়। তার দাবি, কৌতূহল থেকে ও স্বাভাবিক শিকার হিসেবে ভুল করলেই কেবল মানুষের ওপর আক্রমণ করে হাঙর।
তবে যেকোনও হাঙর ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্য ভিত্তিক দ্য শার্ক ট্রাস্টের সংরক্ষণ কর্মকর্তা জন রিচার্ডসন। মার্কিন এই ডুবুরীদের মতো অন্যদের সাহস না দেখাতে সতর্ক করেছেন তিনি।
হাওয়াইতে সাদা হাঙর সচরাচর দেখা যায় না। কারণ এরা শীতল সাগর পছন্দ করে। প্রতি বছর শীতে ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূল থেকে হাওয়াইসহ বিভিন্ন স্থানে চলে যায় হাঙররা। তিমির মৃতদেহের সন্ধান পেয়ে গত ১৫ জানুয়ারি ওয়াহুর দক্ষিণ তীরে এসেছিল ডিপ ব্লু।
সূত্র: বিবিসি