X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১

কক্সবাজারে সাদামাটাভাবে ইংরেজি নববর্ষ

আবদুল আজিজ, কক্সবাজার
৩১ ডিসেম্বর ২০১৯, ২১:০৫আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯, ২১:০৬

কক্সবাজারে পুরনো ইংরেজি বছরের শেষ সূর্য পুরনো বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখলো কক্সবাজার। তবে শীতের মায়াবী রাতে বালিয়াড়িতে ২০২০ সালকে স্বাগত জানানো হবে সাদামাটাভাবে। বর্ষবরণকে ঘিরে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে নেই তেমন কোনও আয়োজন। এ কারণে এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় পর্যটক সমাগম অনেক কম। সমুদ্র জলে অবগাহন করে ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ ধ্বনি তুলতে সমবেত হয়েছেন তারা।

নিরাপত্তাজনিত কারণে সৈকতে উন্মুক্ত কনসার্ট বা চিত্তবিনোদনের কোনও ধরনের অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেয়নি জেলা প্রশাসন। তাই পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা পড়েছেন সংকটে। পাঁচতারকা হোটেলেই শুধু ছোট পরিসরে আকর্ষণীয় কিছু আয়োজন রয়েছে। যদিও শহরের ছোটবড় সব হোটেল-মোটেলে দেখা যাচ্ছে আলোকসজ্জা। এগুলোতে উঠেছেন বেড়াতে আসা ভ্রমণপিপাসুরা। তাদের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

কক্সবাজারের কলাতলী মেরিন ড্রাইভ হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুখিম খাঁন মনে করেন, বর্ষবরণে কোনও ধরনের অনুষ্ঠানমালা না করার ওপর বিধিনিষেধ থাকায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার পর্যটক সংখ্যা কম। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আগামীতে বিশেষ দিনে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান করার অনুমতি না থাকলে এই খাতে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

প্রতি বছর থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের জন্য কক্সবাজারে লাখো পর্যটকের ভিড় দেখা যেতো। কিন্তু এ বছর তাদের সংখ্যা আশানুরূপ নয়। ২০২০ সালকে বরণ করে নিতে যারা এই পর্যটন নগরীতে এসেছেন তাদের অধিকাংশই শুনিয়েছেন হতাশার কথা।

ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে সোহেল চৌধুরী ও ইয়াসমিন আকতার অনেক আশা নিয়ে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করতে কক্সবাজার ভ্রমণে এসেছেন। কিন্তু তাতে অপূর্ণতা রয়ে গেছে। কারণ সৈকতে কোনও ধরনের উন্মুক্ত কনসার্ট নেই। তাদের মন্তব্য, ‘থার্টি ফার্স্ট নাইটের কোনও আমেজ নেই কক্সবাজারে।’

চট্টগ্রামের হাটহাজারির ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আনন্দে মেতে থাকতে কক্সবাজারে এসেছি। কিন্তু থার্টি ফার্স্ট নাইটে শুধু সৈকত দেখা ছাড়া এখানে যেন আর কিছুই নেই।’

একই মন্তব্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মিনহাজুল করিমের। তার কথায়, ‘বিশ্বের সব দেশের পর্যটন এলাকায় বিশেষ দিনে চিত্তবিনোদনের নানান ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু আমাদের দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়াকড়ির নামে গৃহবন্দি থাকতে হয়। এভাবে পর্যটন শিল্পের বিকাশ হবে কীভাবে।’
জানা গেছে, সৈকত ছাড়াও দরিয়া নগর, ইনানী, টেকনাফ, সেন্টমার্টিন ও ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে পর্যটকদের নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমানের দাবি, ‘শুধু থার্টি ফার্স্ট নাইট নয়, কক্সবাজারে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সবসময় তৎপর ট্যুরিস্ট পুলিশ। তবে বিশেষ দিনগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্পটে খোলা হয়েছে হেল্পডেস্ক।’

কক্সবাজারের জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে সৈকতে পর্যটকদের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছে জেলা পুলিশ। সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছে।

/জেএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
খালি বাসায় ফ্যানে ঝুলছিল কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ
খালি বাসায় ফ্যানে ঝুলছিল কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
সর্বাধিক পঠিত
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা