করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিভিন্ন দেশে ভ্রমণে বিধিনিষেধ বহাল আছে। এ কারণে উড়োজাহাজ আকাশে তেমন উড়তে পারছে না। বেশিরভাগ পর্যটন কেন্দ্র আছে থমকে। বিদেশে বেড়াতে যাওয়া যেন বহুদূরের স্বপ্ন হতে বসেছে!
এমন পরিস্থিতিতে তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেই’র সংশান বিমানবন্দর অভিনব একটি উদ্যোগ নিয়েছে। তারা ৯০ জনকে সেখানে ঘুরে দেখার সুযোগ দেবে। এর মাধ্যমে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা ও বিমানে ওঠা এবং তারপর নেমে আবারও ইমিগ্রেশন পেরিয়ে ঘরে ফেরার অভিজ্ঞতা হবে তাদের।
জানা গেছে— আগামী ২ জুলাই, ৪ জুলাই ও ৭ জুলাই তাইপেই সংশানে বিদেশ ভ্রমণের মেজাজে ফেরা যাবে। বিমানবন্দটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, তাইওয়ান থেকে অন্য দেশে যাওয়ার সুযোগ নেই। তাই সংশানে বিদেশ যাওয়ার অভিনয় করতে দেওয়া হবে! দিনের অর্ধেকটা সময় জুড়ে থাকছে বিশেষ এই ট্যুর।
তাইপেইতে দুটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আছে। এর মধ্যে সংশান আকারে ছোট। এটি কিলুং নদীর পাশে শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত। এখান থেকে মূলত অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচল করে বেশি। এছাড়া হাতেগোনা কয়েকটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়া যায়।
তাইপেই সংশানে নতুন কিছু সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো এগুলো উপভোগ করতে পারবেন বিমানবন্দরের নতুন আয়োজনে অংশগ্রহণকারীরা।
সংশানের উপ-পরিচালক চি-চিং ওয়াং বলেন, ‘সংশান বিমানবন্দর থেকে যাদের কখনও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে চড়ার সুযোগ হয়নি তারা এই সুযোগে বোর্ডিং প্রক্রিয়া ও প্রাসঙ্গিক সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। মিশন শেষ হওয়ার বিশেষ রহস্যময় উপহার নিয়ে বাড়ি ফিরবেন সবাই!’
বিশ্বের অনেক দেশ করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সীমান্ত বন্ধ রেখেছে। এ কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে আন্তর্জাতিক পর্যটন।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে গত মার্চে সীমান্ত বন্ধ করেছে তাইওয়ান। দেশটিতে এখনও বিদেশি নাগরিকদের ভ্রমণ নিষিদ্ধ। সংশান বিমানবন্দরে প্রায় সব কার্যক্রম সাময়িকভাবে থেমে আছে।
কিছু দেশ পর্যটন শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে নতুন পন্থা অবলম্বন করছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড দুই দেশের মধ্যে ‘ট্রাভেল বাবলস’ অর্থাৎ ভ্রমণে সেতুবন্ধনের আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। চুক্তিটি হলে অস্ট্রেলিয়ার পর্যটকরা শুধু নিউজিল্যান্ডে যেতে পারবেন। একইভাবে নিউজিল্যান্ডের ভ্রমণপিয়াসীদের অস্ট্রেলিয়ায় বেড়ানোর সুযোগ দেওয়া হবে।
তথ্যসূত্র: সিএনএন ট্রাভেল