X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১

ক্ষতিকর কেমিক্যাল ও এসিড মিশিয়ে তৈরি হতো ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৮ জানুয়ারি ২০২১, ২০:৩৪আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২১, ২০:৩৪

অনুমোদনহীন, লেভেলবিহীন ও খোলাবাজার থেকে কাঁচামালের সঙ্গে এসিড দিয়ে তৈরি করা হতো ত্বক ফর্সাকারী (স্কিন) ক্রিম। অনিরাপদ পরিবেশে অনুমোদনহীন স্কিন ক্রিম তৈরি করার অভিযোগে বিপাসা কসমেটিকস এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

পরিবেশ অধিদফতর ও বিএসটিআই থেকে লাইসেন্স না নিয়েও অবৈধভাবে লোগো ব্যবহার করে নকল পণ্য বাজারজাত করে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি। এসব অভিযোগে কারখানার কারিগরসহ প্রতিষ্ঠানের ২ জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। এছাড়াও নকল কসমেটিকস জব্দ ও কারখানাটি সিলগালা করে দিয়েছে র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সোমবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত পুরান ঢাকার লালবাগের হায়দার বক্স লেনের একটি বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে চলা এই কারখানায় অভিযান চালায় র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। র‍্যাব-৩, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) ও একটি গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করেন র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।

ক্ষতিকর কেমিক্যাল ও এসিড মিশিয়ে তৈরি হতো ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম

অভিযান শেষে র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, বিপাসা কসমেটিকস এন্টারপ্রাইজ নামের প্রতিষ্ঠানটি অনুমোদনবিহীন ও অনিরাপদ কেমিক্যাল ব্যবহার করে নানা ধরনের ক্রিম তৈরি করে আসছিল। তারা লোকাল বাজার থেকে কাঁচামাল ব্যবহার করে এসব পণ্য উৎপাদন করতো। তারা যে কাঁচামাল ব্যবহার করছিল তার মধ্যে একটির গায়ে লেখা বি-৩, কিন্তু এটি কোন জাতীয় কাঁচামাল তা কারখানার কারিগর ও বিএসটিআইয়ের প্রতিনিধি কেউই চিহ্নিত করতে পারেননি। একইভাবে বি-অক্স নামের আরও একটি কাঁচামালের বিষয়ে কোনও তথ্য দিতে পারেননি তারা। এগুলো প্রতিটিই লেভেলবিহীন।

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটি বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স ও পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র দেখাতে পারেনি। এমনকি তাদের কয়েক ঘন্টা সময় দেওয়ার পরেও প্রতিষ্ঠানের মালিক আসেননি। কারখানায় শিশু শ্রমিকদের দিয়ে পণ্য তৈরির কাজ করতেও দেখা গেছে। এছাড়া কোনও ধরনের সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার না করে সম্পূর্ণ অনিরাপদ উপায়ে পণ্য তৈরি করা হতো।

ক্ষতিকর কেমিক্যাল ও এসিড মিশিয়ে তৈরি হতো ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম

র‍্যাবের এই ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, তারা গরম পানির সঙ্গে ভ্যাসলিন, স্টারিক এসিড, বোরাস ও পালম্যাকসহ বিভিন্ন কেমিক্যাল মিশিয়ে এই ক্রিম তৈরি করতো। কারখানায় তাদের কোনও কেমিস্টের দেখাও মেলেনি। কারখানার ভেতরে ছোট একটি ল্যাবরেটরি বানিয়ে সেখানে কিছু জিনিসপত্র সাজিয়ে রাখা হয়েছে কিন্তু সেগুলোর ব্যবহার সম্পর্কে কিছুই জানতেন না তারা। ক্রেতারা এসব পণ্য ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পুরান ঢাকায় এমন আরও অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা বিভিন্ন ধরনের নকল পণ্য তৈরি করে বাজারজাত করছে। তাদের নকল পণ্য বাজারজাত করার নেটওর্য়াক খুবই শক্তিশালী এবং উৎপাদিত পণ্যগুলো দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পাশাপাশি রাজধানীসহ সারাদেশের মার্কেটগুলোতেও বিক্রি হয়। যার ভুক্তভোগী আমাদের সমাজের সবাই।

অনিরাপদ উপায়ে এমন নকল পণ্য তৈরির অভিযোগে মোহাম্মদ নাসের (৪৯) নামে মালিক পক্ষের একজন প্রতিনিধি ও কারিগর আনোয়ার শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি গ্রেফতারকৃতদের ও কারখানার মালিক মো. নাজিম উদ্দিনকে পলাতক দেখিয়ে লালবাগ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানান র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।

/এআরআর/এমআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিতে আগ্রহী অস্ট্রিয়া
বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিতে আগ্রহী অস্ট্রিয়া
ভোটারবিহীন নির্বাচন চুন ছাড়া পানের মতো: ইসি রাশেদা
ভোটারবিহীন নির্বাচন চুন ছাড়া পানের মতো: ইসি রাশেদা
সিরি আ’য় এবারই প্রথম এক ম্যাচে সব নারী রেফারি
সিরি আ’য় এবারই প্রথম এক ম্যাচে সব নারী রেফারি
ফেরিঘাটে টেম্পুর ধাক্কায় কলেজশিক্ষার্থী নিহত
ফেরিঘাটে টেম্পুর ধাক্কায় কলেজশিক্ষার্থী নিহত
সর্বাধিক পঠিত
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ