X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রসিকিউশনের দুর্বল দিক বর্ণনার ক্ষমতা অ্যাটর্নি জেনারেলের: প্রধান বিচারপতি

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৩ জুলাই ২০২১, ২২:০৫আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২১, ২২:০৫

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল) প্রসিকিউশনের (রাষ্ট্রপক্ষ) বিপক্ষে দুর্বল দিক আদালতের সামনে তুলে ধরতে পারেন কিনা প্রশ্নের জবাবে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, ‘একমাত্র অ্যাটর্নি জেনারেলকেই সংবিধানে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।’ নীলফামারীতে ১৬ বছর আগের একটি ট্রিপল মার্ডারের মামলার শুনানিতে ওই প্রশ্ন ওঠায় মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের ভার্চুয়াল আপিল আদালত এ ব্যাখ্যা তুলে ধরেন।

আদালতে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হাসিনা আক্তার।

এ দিন নীলফামারীর ডোমার উপজেলার গোসাইগঞ্জ পাবনাবাড়ীতে মা ও দুই মেয়েকে হত্যার ঘটনায় করা মামলাটি আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ওঠে। এ মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের কিছু (তদন্ত ও সাক্ষ্য) গুরুত্বপূর্ণ ত্রুটি তুলে ধরেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। এ সময় আদালত তাকে প্রশ্ন করেন, আপনি কোন পক্ষে বলা শুরু করলেন? আপনি যে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। তা কি ভুলে গেছেন?

জবাবে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর বলেন, ‘আমি রাষ্ট্রের আইনজীবী। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আদালতের সামনে সব তথ্য তুলে ধরাই আমার দায়িত্ব। আমার বিবেক তাড়া করছে। দুই পক্ষেই আমাকে বলতে হবে।’

এমন পরিস্থিতিতে অ্যাটর্নি জেনারেল এ মামলায় শুনানির জন্য সময় আবেদন করে আদালতকে বলেন, ‘অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল সাহেবের বিবেকে বাঁধছে। তাই আমি নিজেই মামলাটিতে শুনানি করতে চাই। এ জন্য সময় দরকার।’

এ অবস্থায় আদালত এ মামলায় অ্যাটর্নি জেনারেলের শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার (১৪ জুলাই) দিন ধার্য করেন এবং মামলার নথি অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছ থেকে নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।

পরে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর বলেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আদালতের সামনে সঠিক তথ্য তুলে ধরাই আমার দায়িত্ব। আমি সেটাই করেছি। মামলার সব দিক তুলে ধরার পরই রাষ্ট্রপক্ষে আসামির শাস্তি বহাল রাখার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছি। তবে অ্যাটর্নি জেনারেল অতিরিক্ত শুনানির জন্য সময় নিয়েছেন। আগামীকাল তিনি শুনানি করবেন।

মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, নীলফামারীর ডোমার উপজেলার গোসাইগঞ্জ পাবনাবাড়ী গ্রামে ২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল রাত দেড়টায় মনিরুজ্জামান ওরফে জবান আলীর স্ত্রী হাজেরা বেগম (৪০) এবং দুই মেয়ে জবা (১২) ও শোভা (৮) খুন হন। এছাড়া সাড়ে চার বছরের আরেক মেয়ে সুমী গুরুতর আহত হয়। চিকিৎসার পর সুমী সুস্থ হয়ে যায়। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জবান আলী ২৮ এপ্রিল ডোমার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় একই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মিজানুর রহমান, আকবর, নেওয়াজ, মোজাম্মেল, মালেকসহ কয়েকজনকে আসামি করা হয়। তবে একই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের পরামর্শে জবান আলীকে ২৯ এপ্রিল গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের সন্দেহ প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে জবান আলী নিজেই তার স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা করেছে।

পরে পুলিশ জবান আলীর মামলায় আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। এরপর পুলিশ বাদী হয়ে জবান আলীর বিরুদ্ধে ওই বছরের ৩১ মে একটি হত্যা মামলা করে। এ মামলায় পুলিশ জবান আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। এরপর এ মামলায় নীলফামারীর আদালত জবান আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। হাইকোর্ট তা বহাল রাখেন। এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়।

 

/বিআই/আইএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলছে কাল
প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলছে কাল
আরও ২-৩ দিন পর্যবেক্ষণে থাকবে সুন্দরবনের আগুন লাগা এলাকা
আরও ২-৩ দিন পর্যবেক্ষণে থাকবে সুন্দরবনের আগুন লাগা এলাকা
রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলা চালাতে ওআইসির সহযোগিতা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলা চালাতে ওআইসির সহযোগিতা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
লাপাতা লেডিস: বিস্ময় জাগানো কে এই তরুণ
লাপাতা লেডিস: বিস্ময় জাগানো কে এই তরুণ
সর্বাধিক পঠিত
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?