X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৪ বৈশাখ ১৪৩১

যা যা প্রয়োজন পশু কেনার পর

মোহাম্মদ পারভেজ
৩০ আগস্ট ২০১৭, ১৮:৩০আপডেট : ৩০ আগস্ট ২০১৭, ১৮:৩০
image

দোরগোড়ায় চলে এসেছে কোরবানির ঈদ। পশু কেনা হয়ে গেলে চাই দা, বটি, চাপাতির মতো আনুসাঙ্গিক জিনিসপত্র। এছাড়া পশুকে খাওয়ানোর জন্য খাবারও কেনা চাই। জেনে নিন আনুসাঙ্গিক এসব জিনিসের খোঁজখবর।

পশু কেনার পর চাই আনুসাঙ্গিক জিনিসপত্র
ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে রাজধানীর কামারপাড়াগুলো। মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কামারপাড়া ও মোহাম্মদপুরের শেরশাহ সুরি রোড়ের কাঠপট্টির কামারপাড়ায় দিয়ে চোখে পড়লো ব্যস্ততা। এছাড়া শহরের ভ্রাম্যমাণ কামাররা চষে বেড়াচ্ছেন ছোট-বড় বিভিন্ন হাট-বাজারে। কারওয়ান বাজারের কামারপাড়ার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোরবানির ঈদ আসলেই ব্যস্ত হয়ে পড়ে এই পাড়া। চাহিদার তুলনায় একটু বেশিই প্রস্তুতি নিয়ে রাখেন তারা। এছাড়াও বাজারে চাপাতি, ছুরি এবং কোরবানির জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য আনুসাঙ্গিক জিনিসপত্রের চাহিদা থাকে ব্যাপক। এগুলো কেউ বিক্রি করেন কেজি দরে আবার কেউ পিস হিসেবে।

পুরনো দা-বটি ধার করিয়ে রাখতে পারেন এখনই
কামারপাড়ার আবদুস সোবহান নামের এক ব্যবসায়ী জানান, দা, ছুরি, চাপাতি ও বটি কেজি ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। ছোট সাইজের একটি ছুরি ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১২০ টাকা। আর দা-বটি ওজন অনুযায়ী দাম হয়। কোরবানির ঈদের আরেকটি প্রয়োজনীয় উপাদান খাইট্টা। কামারপাড়ার খাইট্টা বিক্রেতা হাফিজুর রহমান জানান, এখানে ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকা দামের খাইট্টা পাওয়া যায়। এগুলো অধিকাংশ তেঁতুল গাছ থেকে তৈরি করা। চাটাইয়ের দাম ৩৫ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০ টাকা পর্যন্ত।
কামারপাড়ার অন্যান্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখানে যেসব ব্যবসায়ী খাইট্টা ও চাটাইয়ের ব্যবসা করে, তাদের অধিকাংশই কোরবানির ঈদ উপলক্ষে দোকান দিয়েছে। ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘শুধু কোরবানির ঈদ উপলক্ষে এখানে দোকান দিয়েছি। ঈদ ছাড়া এই উপকরণের তেমন প্রয়োজন নেই বলে এ ধরনের কোন স্থানী দোকান এখানে নাই।’

যা যা প্রয়োজন পশু কেনার পর
মোহাম্মদপুরের শাহ সুরি রোড়ের কামারপাড়াও একই চিত্র দেখা গেছে। এখানকার দোকানগুলোতে পুরাতন দা, ছুরি, চাপাতি ও বটি ধারালো করার কাজে ব্যস্ত দেখা গেছে কামারদের। স্থানীয় দোকানদার অর্জুন কর্মকার ও মন্টু কর্মকার জানান, গত কয়েকদিন থেকেই পশু জবাইয়ের জন্য এসব ধাতব হাতিয়ার কিনছে সাধারণ লোকজন। বড় বটি ধারালো করতে ৮০ থেকে ১০০ এবং ছোট ছুরি ২০ টাকা করে নেওয়া হয় বলে জানা গেল। এছাড়া মোহাম্মদপুরের টাউন হল শহীদ পার্ক মসজিদের সামনে ও বিপরীত দিকে পশু খাদ্য, চাটাই ও খাইট্টাসহ হরেক রকমের জিনিসপত্র পাওয়া যাচ্ছে। 

/এনএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
খুলনায় আড়াই ঘণ্টার বৃষ্টিতে শহরে জলাবদ্ধতা
খুলনায় আড়াই ঘণ্টার বৃষ্টিতে শহরে জলাবদ্ধতা
রৌমারীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর প্রতিপক্ষের হামলা
রৌমারীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর প্রতিপক্ষের হামলা
টেকনাফে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
টেকনাফে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ ছিল এক ঘণ্টা
ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ ছিল এক ঘণ্টা
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস