যুগ যুগ ধরেই কাপড় তৈরি ও বিক্রির সঙ্গে কোটি কোটি মানুষ জড়িত। কিছু কাপড় গুণে মানে অনন্য, আবার কিছু কাপড় ব্যবহার করা হয় কেবল স্টাইলিংয়ের জন্যই। কিছু কাপড় তৈরি করা হয় নিত্যদিনের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে, আবার কিছু কাপড় কেবল একটি মাত্র অনুষ্ঠানে পরার জন্যই বানানো হয়। বাজারে নানা ধরনের ফেব্রিক বা কাপড়ের ছড়াছড়ি থাকলেও চাহিদা রয়েছে হাতে গোনা কিছু কাপড়েরই। এগুলো যেমন আরামদায়ক, তেমনি ফ্যাশনেবলও। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানাচ্ছে যুগ যুগ ধরে চাহিদার শীর্ষে থাকা এমনই ৫ ফেব্রিক সম্পর্কে।
সুতি
বাতাস চলাচল করতে পারে, এমন নরম ও হালকা কাপড় হচ্ছে সুতি। সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত কাপড়ের মধ্যে তাই সবার চাইতে এগিয়ে আছে সুতি। বিশ্বজুড়ে টি-শার্ট, কুর্তিসহ নানা ধরনের পোশাক বানানো হয় এই কাপড় ব্যবহার করে। এই ফেব্রিক পরতে যেমন আরামদায়ক, তেমনি দেখতেও স্টাইলিশ।
রেয়ন
নরম ধরনের কাপড় রেয়ন। এটি পরতে বেশ আরামদায়ক, দেখতেও জৌলুসপূর্ণ। কুঁচকে যায় না সহজে। আবার এতে কে যেকোনো রঙও বেশ জমকালো দেখায়। বিভিন্ন ধরনের প্রিন্ট বা ডিজাইন রেয়নে মানায় ভালো। টিউনিক, স্কার্ট, শিশুদের পোশাকসহ নানা ধরনের পোশাক তৈরিতে রেয়ন ব্যবহৃত হয় ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে।
সিল্ক
যুগের পর যুগ ধরে আভিজাত্য প্রকাশের জন্য বেছে নেওয়া হয় নরম ও আরামদায়ক সিল্ক। বিয়ে বা যেকোনো জমকালো অনুষ্ঠানে পরার জন্য সবচেয়ে বেশি চাহিদা হচ্ছে এই কাপড়ের। শাড়ি, শার্ট, ব্লাউজসহ নানা ধরনের পোশাক বানানো হয় চকচকে সিল্ক দিয়ে।
লিনেন
সিল্কের পরেই ফ্যাশন জগতে এগিয়ে আছে লিনেনের কাপড়। বাতাস চলাচল করতে পারে এমন সুতা দিয়ে প্রস্তুত করা হয় লিনেনের কাপড়। নরম ও ওজনে ভীষণ হালকা হয় লিনেন। হালকা হলেও শক্তিশালী বলে এই কাপড় দিয়ে ফ্যাশনে ফিউশন আনা হয় হরহামেশাই। সব মৌসুমেই পরা যায় এমন ফেব্রিকের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে লিনেন। কর্পোরেট বা ক্যাজুয়াল লুকে সহজেই মানিয়ে যায় এই এটি।
ডেনিম
ডেনিম নেই, এমন ওয়ারড্রব খুঁজে পাওয়া মুশকিল। স্টাইলিং এর জগতে সুপরিচিত নাম হচ্ছে ডেনিম। জিনস, টপ, শার্টসহ নানা ধরনের পোশাকে এই ফেব্রিকের চাহিদা সবসময়ই আকাশচুম্বী।