X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

সাকরাইন মেতেছে আলোর খেলায়

হাসনাত নাঈম
১৫ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:১৫আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:৩০
image

‘সাকরাইন’ পুরান ঢাকাবাসীর জন্য এক মহোৎসব। দিনভর ঘুড়ি ওড়ানোর পর সন্ধ্যায় আতশবাজি, আগুন খেলা ও ফানুশ নিয়ে মেতে ওঠে তারা। একই সঙ্গে চলে গভীর রাত পর্যন্ত গান বাজনার আয়োজন। দুই দিনব্যাপী উৎসবটি পুরান ঢাকাসাবী দুই অংশে বিভক্ত হয়ে উদযাপন করে।
মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) তাঁতিবাজার, শাঁখারিবাজার, পাটুয়াটুলি, রায় সাহেব বাজার, নয়াবাজার, আরমানিটোলা ও বংশাল ঘুরে দেখা যায়, বড় বড় প্রতিটি ভবনের ছাদে উৎসবের আমেজ লেগেছে। আকাশ ছেয়ে আছে রঙবেরঙের ঘুড়িতে। সন্ধ্যার পর শুরু হয় আগুন খেলা, ফানুশ ওড়ানো ও আতশবাজির আলোকচ্ছটা।

সাকরাইন মেতেছে আলোর খেলায়
মূলত পৌষের শেষ ও মাঘ মাসের শুরুর দিন এই উৎসব পালন করে পুরান ঢাকাবাসী।
শাঁখারিবাজারে একটি ভবনে ছাদে বন্ধুদের নিয়ে এবার এই উৎসবে শামিল হতে ডিজে পার্টির আয়োজন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া প্রান্ত দাস। আয়োজন সম্পর্কে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ছোট থেকে দেখে আসছি আমাদের বাসার ছাদে বাবা চাচারা মিলে উৎসবের আয়োজন করতো। গত চার বছর যাবৎ তাদের আয়োজনের সাথে যুক্ত হয়েছি আমিও। এবারের আয়োজনে আগের মতই আতশবাজি ফোটানো, আগুন খেলা ও ফানুশ উড়ানোর আয়োজন থাকলেও নতুন করে যুক্ত করেছি ডিজে পার্টির। আমার বাসার আশেপাশের বন্ধুরা যুক্ত হয়েছে এই অনুষ্ঠানে,  সঙ্গে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন বন্ধুও।’

সাকরাইন মেতেছে আলোর খেলায়
পানিটোলার ৪৫ ঊর্ধ্ব স্থায়ী বাসিন্দা উত্তম বিশ্বাস বলেন, ‘এ পর্যন্ত ৩৫টি উৎসবে অংশগ্রহণ করেছি। বাপ চাচাদের দেখানো উৎসব এখনও আমরা করে যাচ্ছি। ছোটবেলায় আমরা সাকরাইনের আগের রাত থেকেই অপেক্ষায় থাকতাম কখন ভোর হবে। ভোর হলেই নাটাই হাতে বাসার ছাদে উঠে আসতাম। আশেপাশের বন্ধুরা আসলে একসঙ্গে ঘুড়ি উড়াতাম। মা চাচিরা পিঠার আয়োজন করতো। এখন ঘুড়ি উড়ানোর চেয়ে ডিজের প্রচলনটাই বেশি দেখছি।’

সাকরাইন মেতেছে আলোর খেলায়
মহাখালী থেকে বন্ধুদের আমন্ত্রণে সাকরাইন উৎসব এসেছেন ফারহানা রিতা। তিনি বলেন, ‘এর আগে দুইবার এ উৎসবে এসেছি। ঘুড়ি উৎসবে ভীষণ আনন্দ পাই। যদিও ঢাকার কিছু কিছু অংশে সাকরাইন উৎসব অল্প পরিসরে হয়, কিন্তু পুরান ঢাকার মতো এত বড় আয়োজন কোথাও হয় না।’

সাকরাইন মেতেছে আলোর খেলায়
দুই দিনব্যাপী এই উৎসবের প্রথম দিন ১৪ জানুয়ারি উৎসব ছিল সদরঘাট, লক্ষীবাজার, সুত্রাপুর ও দয়াগঞ্জসহ আশেপাশের এলাকায়। আজ ১৫ জানুয়ারি শাঁখারিবাজার ও তাঁরিবাজারসহ আশেপাশের এলাকায় উৎসব পালন হচ্ছে।

/এনএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সরকারি প্রতিষ্ঠানে একাধিক পদে চাকরি
সরকারি প্রতিষ্ঠানে একাধিক পদে চাকরি
এখনই হচ্ছে না হকির শিরোপা নিষ্পত্তি, তাহলে কবে?
এখনই হচ্ছে না হকির শিরোপা নিষ্পত্তি, তাহলে কবে?
রবিবার গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
রবিবার গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
চুয়াডাঙ্গায় ৪২ পেরোলো তাপমাত্রা, জনজীবনে হাঁসফাঁস
চুয়াডাঙ্গায় ৪২ পেরোলো তাপমাত্রা, জনজীবনে হাঁসফাঁস
সর্বাধিক পঠিত
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
দুর্নীতির অভিযোগ: সাবেক আইজিপি বেনজীরের পাল্টা চ্যালেঞ্জ
দুর্নীতির অভিযোগ: সাবেক আইজিপি বেনজীরের পাল্টা চ্যালেঞ্জ
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
সারা দেশে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় ছুটি ঘোষণা
সারা দেশে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় ছুটি ঘোষণা
দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি