বছরের শুরুতে অনেক কিছু করে ফেলার পরিকল্পনা থাকলেও বছর শেষে দেখা যায় সেগুলোর মধ্যে বাস্তবায়ন করা হয়েছে গুটিকয়েকই! কারণ নিজেকে রাতারাতি পরিবর্তন করে ফেলা বেশ কষ্টকর। ডায়েট মানতে গিয়ে একদিনেই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম, পানি খাওয়াসহ বিভিন্ন দিকে নজর দেওয়াকে বেশ কঠিন মনে হয়। তাই একবারে নিজেকে বদলে ফেলার চেষ্টা না করে প্রতিদিন একটি করে নতুন অভ্যাস আয়ত্ত করুন। ১৫ দিনের ডায়েট চ্যালেঞ্জ মেনে কমান ওজন।
দিন- ১
পানি খান প্রচুর পরিমাণে।
দিন- ২
খাদ্য তালিকায় দুই ধরনের ফল ও ৫ ধরনের সবজি যোগ করুন।
দিন- ৩
রাতে ঘুমানোর তিন ঘণ্টা আগে রাতের খাবার শেষ করুন।
দিন- ৪
দুপুর ও রাতের খাবার খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করুন কিছুক্ষণ।
দিন- ৫
বাইরের খাবার খাবেন না। ফোন থেকে ফুড ডেলিভারির অ্যাপ সরিয়ে ফেলুন।
দিন- ৬
কী খাচ্ছেন, কতোটুকু খাচ্ছেন সেটা টুকে রাখুন নোটবুকে। শরীরচর্চায় কতোটুকু সময় দিচ্ছেন সেটাও লিখে রাখবেন।
দিন- ৭
রেগুলার চা কফি বাদ দিয়ে গ্রিন টি খান।
দিন- ৮
‘মাইন্ডফুল ইটিং’ ট্রাই করুন। এটি হচ্ছে ধীরে ধীরে খাবার চিবিয়ে খাওয়া এবং পূর্ণ মনোযোগের সঙ্গে খাওয়া।
দিন- ৯
চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে শ্বাস টানুন ও ছাড়ুন। এ সময় আশেপাশের পরিবেশ ছাড়া অন্যকিছু মাথায় আনবেন না। দিনে সাত থেকে আটবার এমন করুন। এটি মন শান্ত রাখবে।
দিন- ১০
১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টা শুধু তরল খাবার খান। এরপর ভারি খাবার খান। এটি হজমের সমস্যা দূর করবে।
দিন- ১১
দিন শুরু করুন মেডিটেশন দিয়ে। ভোরে ১ ঘণ্টা মেডিটেশন করবেন।
দিন- ১২
এবার সময় ঘুমের দিকে নজর দেওয়ার। অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন।
দিন- ১৩
চিকিৎসকের কাছে গিয়ে রেগুলার হেলথ চেকআপ সেরে ফেলুন।
দিন- ১৪
নিজের প্রশংসা করুন, নিজেকে পুরস্কার দিন। ডায়েট মানে কিন্তু শুধু শারীরিক সুস্থতা নয়, মানসিক সুস্থতাও সমান গুরুত্বপূর্ণ এখানে।
দিন- ১৫
উপরের সবগুলো কাজ শেষ করতে পারলে নিজেকে ধন্যবাদ দিন। এদিন চাইলে একটু অনিয়ম করতেই পারেন!
জেনে নিন
- ক্র্যাশ ডায়েট করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
- ডায়েট মানে কিন্তু না খেয়ে থাকা নয়! না খেয়ে থাকলে অনেক সময় পেটের মেদ আরও বেড়ে যায়।
- যেকোনও ধরনের শারীরিক অসুস্থতার সম্মুখীন হলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
তথ্য: টাইমস অব ইন্ডিয়া