বাড়তি ওজন থেকেই বিভিন্ন ধরনের অসুখের উৎপত্তি। হাঁটু ব্যথা, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ থেকে দূরে থাকতে উচ্চতা ও বয়স অনুযায়ী সঠিক ওজন আপনাকে ধরে রাখতেই হবে। বিশেষজ্ঞদেড় মতে, ওজন কমানোর কোনও শর্টকাট পদ্ধতি নেই। পরিশ্রম করে ওজন কমানোই সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর। এজন্য যে কেবল জিমে গিয়েই সময় কাটাতে হবে সেটাও নয়। ঘরোয়া ব্যায়াম ও কিছু কৌশল ঝরাতে পারে অতিরিক্ত ওজন। প্রতিদিন ডায়েট মেনে খাওয়া, ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত ঘুমই পারে সুস্থ ও সবল রাখতে। কয়েকটি বিষয় মনে রাখলে ওজন ঝরানো অনেক সহজ হয়ে ওঠে। জেনে নিন সেগুলো কী কী।
- অতিরিক্ত লবণ ও কাঁচা লবণ খাবেন না।
- সাপ্লিমেন্টে না বলুন। সাপ্লিমেন্ট খেয়ে মেদ ঝরাতে চাইলে দীর্ঘদিন ধরে খেতে হয়, যার প্রভাব পড়ে শরীরে।
- প্যাকেটজাত বা প্রক্রিয়াজাত খাবার খাবেন না। এ ধরনের খাবারে অতিরিক্ত চিনি ও লুকানো ট্রান্স ফ্যাট মেদ জমায় অতি দ্রুত। এসবের বদলে তাজা ও প্রাকৃতিক খাবার রাখুন পাতে।
- পর্যাপ্ত ঘুমে যেন কোনও বাধা না পড়ে। দৈনিক ৮ ঘণ্টার ঘুম আপনার সুস্থতার জন্য ভীষণ জরুরি।
- অনেকে মনে করেন আলু খেলেই বুঝি মেদ বাড়ে। এটি পুরোপুরি সত্যি নয়। সেদ্ধ বা বেক করা আলু বা অল্প আলুর তরকারিতে মেদ বাড়ে না। তবে এড়িয়ে চলুন হাইড্রোজেনেটেড তেলে ভাজা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিপস ও আলুর টিকিয়া বা তেল দিয়ে বানানো ফাস্ট ফুড।
- মেডিটেশন ও কোনও সৃজনশীল কাজে নিজেকে কিছুটা ব্যস্ত রাখুন। এতে মানসিক চাপ কমবে। সারা দিনের স্ট্রেস থেকেও শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয় ও মেদ জমে।
- প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান জরুরি।
- দুগ্ধজাত খাবার কী পরিমাণে প্রতিদিনের ডায়েটে রাখা যাবে, তা জেনে নিন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে।
- প্রতিদিন হাঁটার পাশাপাশি ঘরোয়া ব্যায়াম করুন। ওয়েট লিফটিং করতে পারেন ঘরেই। এতে পেশী মজবুত হবে ও শরীরে মেদ জমার সুযোগ পাবে না।
- সব রকম খাবারই রাখতে হবে খাদ্য তালিকায়। তাতে যেমন প্রোটিন থাকবে, তেমনই ফ্যাট ও শর্করাও রাখতে হবে পরিমাণ মতো। সেক্ষেত্রে ফ্যাট নিন মাছ, মাংস থেকে। সামুদ্রিক মাছ ও বাদাম খেতে পারেন।
- রাতে বেশি পরিমাণে খাবেন না। খাওয়ার অন্তত দেড় থেকে দুই ঘণ্টা পর ঘুমাবেন।