বিকেলের নাস্তায় গরম গরম লুচি বা পাকোড়া ভাজার পর অনেকটুকু তেলই রয়ে যায় কড়াইয়ে। এই তেলে আবার খাবার ভেজে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। এই তেলের সিংহভাগই হলো ট্রান্স ফ্যাট, যা কোলেস্টেরলের অন্যতম কারণ। তাছাড়া বেশি তাপমাত্রায় তেল গরম করলে, তাতে আর কোনও উপকারই থাকে না। তাহলে কী করবেন এই তেল নিয়ে? স্বাস্থ্যের ক্ষতি না করেই কীভাবে ভাজা তেল কাজে লাগাবেন জেনে নিন সেটাই।
- প্রথমে এই তেল একদম ঠাণ্ডা করে নিন। ঠাণ্ডা তেল ভালো করে ছেঁকে নিন যেন কোনও ভাজার অংশ রয়ে না যায়। এবার তা কোনও পরিষ্কার, শুকনো কন্টেনারে ঢেলে ঠাণ্ডা জায়গায় রেখে দিন। দিন তিনেকের মধ্যেই এই তেল ব্যবহার করে ফেলার চেষ্টা করুন। এর বেশি জমিয়ে রাখবেন না।
- একবার ভাজা তেল দ্বিতীয়বার ব্যবহার করতে হলে, তা কখনোই পুনরায় স্মোকিং টেম্পারেচারে গরম করবেন না। এই তেল ফোঁড়ন দেওয়া বা সতে করার কাজে ব্যবহার করতে পারেন।
- মাছ-মাংস ম্যারিনেট করতে হলেও ভালো তেলের সঙ্গে মিশিয়ে এই তেল কাজে লাগান।
- তেলে আগে কী ভেজেছেন, তার উপর নির্ভর করে তা পরবর্তী সময়ে অন্য রেসিপিতে ব্যবহার করুন। অর্থাৎ প্রথমে যদি তেলে মিষ্টি কোনও জিনিস বানিয়ে থাকেন, তাহলে পরেরবার নোনতা বানানোর কাজে ব্যবহার করবেন না। কারণ যতই ছেঁকে স্টোর করুন, তেলে আগের রান্নার কিছু গন্ধ থেকেই যায়।
- তেল ব্যবহার করার আগে দেখে নিন তা থেকে কোনও বাজে গন্ধ আসছে কি না, বা রঙ কালচে হয়ে গিয়েছে কি না। হলে ব্যবহার করবেন না কোনওভাবেই।
তথ্য- সানন্দা, টেস্টিং টেবিল