X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

বইমেলা হলো ব্র্যান্ডিংয়ের জায়গা

সাক্ষাৎকার গ্রহণ : সাথি বিনতে ওমর
১৬ জানুয়ারি ২০২২, ১৫:৪৩আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২২, ১৫:৪৩

[স্বনামধন্য প্রকাশনাপ্রতিষ্ঠান ইত্যাদি গ্রন্থপ্রকাশের পথচলা ২০০৩ সালের ১০ই আগস্ট। প্রতিষ্ঠার সূচনালগ্ন থেকেই এ প্রতিষ্ঠানটি বইয়ের সার্বিক গুণগত মানের ওপর গুরুত্ব দিয়ে অর্জন করেছে ‘সেরা মানের গ্রন্থ সম্মাননা ২০০৯’, ‘শহীদ মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০১১’। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২২ প্রসঙ্গে কথা বলেন ইত্যাদি গ্রন্থপ্রকাশের স্বত্বাধিকারী আদিত্য অন্তর।]

 

প্রশ্ন : আপনার প্রকাশনাপ্রতিষ্ঠান থেকে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২২-এ কয়টি বই আসবে? গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বই সম্পর্কে যদি ধারণা দেন।
উত্তর : অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২২-এ ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ থেকে পাঠকদের জন্য ৫৫টি নতুন বই থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের মধ্যে সদ্যপ্রয়াত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের শেষ উপন্যাস ‘তরলাবালা’, বিধান মিত্রের লেখা ‘জ্যোতির্ময় যতীন সরকার’, ড. নূরুন নাহার বেগমের লিখিত ‘শওকত ওসমানের কথাসাহিত্য : বিষয় ও প্রকরণ’ উল্লেখযোগ্য।

প্রশ্ন : বই প্রকাশ বা পাণ্ডুলিপি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোন দিকটাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন?
উত্তর : আমরা সবসময় বিষয়ের ওপর নজর রেখেই বই বা পাণ্ডুলিপি নির্বাচন করি। লেখকের চেয়ে কন্টেন্ট তথা বিষয়বস্তুর গুরুত্ব আমাদের কাছে বেশি। বিষয় ভালো হলে যেকোনো লেখকের লেখাই প্রকাশ করতে আমরা আগ্রহী।

প্রশ্ন : এবারের বইমেলার সার্বিক পরিস্থিতি কেমন লাগছে?
উত্তর : যেহেতু এ মেলা একুশের চেতনাকে ধারণ করে বাঙালি সংস্কৃতির অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেহেতু আমাদের কাছে এ মেলা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকারি বিভিন্ন বিধিনিষেধের মাঝে মেলা কতোটা দর্শকমুখর হবে সেটাই চিন্তার বিষয়। ফলে এবারের বইমেলায় বড় ধরনের আশা রাখতে পারছি না। সারাবিশ্বই এখন করোনার সাথে লড়াই করছে সুতরাং আয়োজক ও প্রকাশকদের মাথায় রাখতে হবে, যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় কেউ আনন্দভ্রমণে যান না।

প্রশ্ন : বিগত বছরগুলো বিশেষ করে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২১ সম্পর্কে আপনার অভিজ্ঞতা জানতে চাই।
উত্তর : মেলার  অভিজ্ঞতা সবসময়ই ভালো। তবে ২০২১-এর বইমেলার কথা মনে পড়লে এখনো প্রকাশকদের করুণ চেহারা চোখে ভাসে। কোভিড-১৯ এর সার্বিক পরিস্থিতি এবং পাঠকদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা চিন্তা করে ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ গত বছর বইমেলায় অংশগ্রহণ করেনি।

প্রশ্ন : সারা বছর বই বিপণন নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
উত্তর : শুরু থেকেই আমরা বই প্রকাশের চেয়ে বিপনণের বিষয়টাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে আসছি। বইমেলা হচ্ছে মূলত ব্র্যান্ডিংয়ের জায়গা কিন্তু প্রকাশনাকে পাঠকের হাতের নাগালে পৌঁছাতে কার্যকর বিপনণ ব্যবস্থা গড়ে না তুললে ভালো বইও লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যেতে পারে। সে বিষয়টি মাথায় রেখেই আমরা নতুন নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করি এবং সে অনুযায়ী কাজ করি।

/জেডএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ
এক কোরাল ৩৩ হাজার টাকায় বিক্রি
এক কোরাল ৩৩ হাজার টাকায় বিক্রি
মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ ডিসি ও এসপিদের
উপজেলা নির্বাচনমন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ ডিসি ও এসপিদের
জিম্মিদের মুক্তির জন্য হামাসকে ১৮ দেশের আহ্বান
জিম্মিদের মুক্তির জন্য হামাসকে ১৮ দেশের আহ্বান
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা