X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

ফিরে দেখা ২০১৬

দুলাল আল মনসুর
৩০ ডিসেম্বর ২০১৬, ২৩:৪৭আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬, ০০:২০

ফিরে দেখা ২০১৬
অন্যান্য বছরের মতোই পার হয়ে গেল ২০১৬ সাল। সাহিত্য জগতে নানা রকম প্রাপ্তির আনন্দ আর হারানোর ব্যথা এ বছরেও ছিল। এসব আনন্দ বেদনার অনেক কথা মানুষের মনে রয়ে যাবে বহুকাল। তারই কয়েকটি উচ্চারণ- ভালো লাগার সুর আর বেদনার হাহাকার এখানে তুলে ধরা হলো অতি সংক্ষেপে।
সাহিত্য জগতের মানুষেরা সমাজ বিচ্ছিন্ন নন। তাঁরাও বাস্তবতার নানা সমস্যা নিয়ে ভাবেন, সোচ্চার থাকেন। এ বছরের তেমনি কতিপয় ঘটনার ছায়া দেখেছি আমরা। মে মাসের ২০ তারিখে যুক্তরাজ্যকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে থাকতে প্রস্তাব দেন সে দেশের কয়েকজন সচেতন লেখক। সে প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেন টম স্টপার্ড, হিলারি ম্যানটেল, ফিলিপ পুলমান, জন লি ক্যারি প্রমুখ । মে মাসের ২৪ তারিখে এক খোলা চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ মানুষদের অনুরোধ জানানো হয় তারা যেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন না করেন। স্টিফেন কিং, নিকোল ক্রস, রবার্ট পোলিটোসহ কয়েকশো লেখক এ চিঠিতে স্বাক্ষর করেন।
২০১৬ সালে সাহিত্যের আড্ডা বা উৎসবও অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্বব্যাপী। এ বছরের জানুয়ারির ২১ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত ভারতে চলে জি জয়পুর সাহিত্য উৎসব। উইলিয়াম ডারলিম্পল ছিলেন পরিচালনায়। এ উৎসবের প্রধান আকর্ষণে ছিলেন সঞ্জীব সাহোতা, মার্গারেট অ্যাটউড এবং গত বছরের ম্যান বুকার জয়ী লেখক মারলন জেমস। ফেব্রুয়ারির ২৮ থেকে মার্চের ৯ তারিখ পর্যন্ত জাপানে অনুষ্ঠিত হয় টোকিও আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসব। এখানে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক অনেক লেখকের লেখা উপস্থাপন করা হয়। সমসাময়িক এশীয় লেখার ওপরেও আলোচনা হয় এবং পাঠক দর্শকদের সামনে তুলে ধরা হয় সেগুলো। উল্লেখ্য, এ উৎসব আয়োজনে বিশেষ ভূমিকা রাখে গ্রান্টা ম্যাগাজিন। জুলাইয়ের ২৮ থেকে ৩১ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় ইংল্যান্ডের পোর্ট এলিয়ট উৎসব। এখানে সাহিত্যের সঙ্গে শিল্পের অন্যান্য শাখার সমঝদারদের জন্য ছিল নানা আয়োজন। সাংবাদিক, কবি, কথাসাহিত্যিক তাঁদের লেখনী এবং পঠন নিয়ে আলোচনা করেন। অস্ট্রেলিয়ায় চলল সিডনি লেখক উৎসব। প্রায় আশি হাজার দর্শকের সমাগম হয়েছিল এ উৎসবে। চারশোর বেশি লেখকের লেখা স্থান পায় এ উৎসবে। এ উৎসব চলেছে মে মাসের ১৬ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত। নভেম্বরের ১৭ থেকে ১৯ তারিখ পর্যন্ত চলল ঢাকা লিট ফেস্ট। বাংলা একাডেমি চত্বরে আয়োজন করা হয়েছিল এ উৎসবের। দেশি বিদেশি অনেক লেখক শিল্পীর উপস্থিতিতে মুখর হয়েছিল একাডেমি প্রাঙ্গণ। এ উৎসবের উদ্বোধন করেন নোবেলজয়ী সাহিত্যিক ভি এস নাইপল। এ উৎসবের টাইটেল স্পন্সর ছিল ঢাকা ট্রিবিউন এবং বাংলা ট্রিবিউন।
সাহিত্য জগতের নানা ঘটনার বার্ষিকী পালিত হয়েছে ২০১৬ সালে। সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি এখানে উল্লেখ করা হলো : মার্কিন লেখক ডেভিড ফস্টার ওয়ালেসের বিশাল এবং জটিল উপন্যাস “ইনফাইনাইট জেস্ট”-এর বিশতম প্রকাশনা বর্ষিকী পালিত হলো ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে। ২২ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় মার্কিন কথাসাহিত্যিক রেমন্ড কারভারের গল্প সংকলন “উইল ইউ প্লিজ বি কোয়াইট, প্লিজ”-এর চল্লিশতম প্রকাশনা বর্ষিকী। এ বছরের ২২ এং ২৩ এপ্রিল পালিত হয় দুজন বিখ্যাত দিকপাল সাহিত্যিক যথাক্রমে সার্ভান্তেস এবং শেক্সপিয়ারের ৪০০তম জন্মবার্ষিকী। আর এপ্রিলের ২৪ তারিখে পালিত হলো আয়ারল্যান্ডের ইস্টার বিদ্রোহের শতবার্ষিকী। এ বিদ্রোহ উপলক্ষেই কবি ডাব্লিউ বি ইয়েটস লিখেছিলেন তাঁর বিখ্যাত কবিতা ‘ইস্টার ১৯১৬’। অক্টোবরের ২২ তারিখ গেল আর্নেস্ট হেমিংওয়ের “দ্য সান অলসো রাইজেস”-এর নব্বইতম প্রকাশনা বার্ষিকী। প্রথম সংস্করণে এ উপন্যাসটি পাঁচ হাজার নব্বই কপি ছাপা হয়েছিল। ডিসেম্বরের ২৯ তারিখে পালিত হলো কালজয়ী আইরিশ কথাসাহিত্যিক জেমস জয়েসের “আ পোর্ট্রেট অব দি আর্টিস্ট অ্যাজ আ ইয়াং ম্যান”-এর নিউ ইয়র্ক প্রকাশনার শতবার্ষিকী।
নতুন বই প্রকাশনার আলো ফুটেছে ২০১৬ সালের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। এ বছর মার্চ মাসে ইংরেজ কথাসাহিত্যিক ডেবোরা লেভির “হট মিল্ক” প্রকাশ করা হয়। উল্লেখ্য, এ উপন্যাসটি ম্যান বুকার পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় স্থান পায় এবং পাঠকদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ তৈরি করে। এ বছর অক্টোবরে প্রকাশ করা হলো শেক্সপিয়ারের “দ্য টেম্পেস্ট”-এর কাহিনীভিত্তিক কানাডার মার্গারেট অ্যাটউডের উপন্যাস “হ্যাগ-সিড”। অক্টোবরেই প্রকাশ করা হয় আইরিশ নাট্যকার, কবি ও ঔপন্যাসিক সেবাস্টিয়ান ব্যারির উপন্যাস  “ডেইজ উইদাউট এন্ড”। অক্টোবর মাসেই প্রকাশ করা হয় ইংরেজ কথাসাহিত্যিক আলি স্মিথের উপন্যাস “অটাম”। এ উপন্যাসিটিকে বলা হচ্ছে প্রথম ব্রেক্সিট উপন্যাস। কানাডায় জন্ম নেয়া ব্রিটিশ লেখক ডেভিড জেল্লয়ের উপন্যাস “অল দ্যাট ম্যান ইজ” প্রকাশ করা হয় এ বছরের এপ্রিল মাসে। আপাতদৃষ্টে আলাদা অনেকগুলো গল্প মনে হলেও এটি একটি উপন্যাস। এ উপন্যাসের জন্যই ডেভিড জেল্লয় ম্যান বুকারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিলেন। এ বছরের আরেকটি আলোচিত প্রকাশনা হলো মালয়েশীয়-চীনা বাবা এবং হংকং-চীনা মায়ের সন্তান কানাডীয় কথাসাহিত্যিক মেডেলিন তিয়েনের উপন্যাস “ডু নট সে উই হ্যাভ নাথিং”। এ উপন্যাসটির জন্য তিনিও ২০১৬ ম্যান বুকার পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন।
সাহিত্য জগতের আরেক আনন্দের প্রসঙ্গ হলো পুরস্কার। ২০১৬ সালেও যথারীতি এমন আনন্দের ঘটনা ঘটেছে অনেক। এ বছর ইংরেজি ভাষায় রচিত কথাসাহিত্যের জন্য গভর্নর জেনারেলস পুরস্কার পেয়েছেন মেডেলিন তিয়েন তাঁর “ডু নট সে উই হ্যাভ নাথিং” উপন্যাসের জন্য। বুকারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা আরেক কথাসাহিত্যিক ডেভিড জেল্লয় পেয়েছেন গর্ডন বার্ন পুরস্কার। তিনি এ পুরস্কার পান তাঁর উপন্যাস “অল দ্যাট ম্যান ইজ”-এর জন্য। কেরি গ্রুপ আইরিশ ফিকশন প্রাইজ পেয়েছেন আইরিশ কথাসাহিত্যিক ও প্রবন্ধকার আনা এনরাইট। উল্লেখ্য, আনা এরাইট ২০০৭ সালে ম্যান বুকার পুরস্কার পান তাঁর “দ্য গ্যাদারিং” উপন্যাসের জন্য। ২০১৬ সালের কথাসাহিত্যের পিইএন/ফকনার পুরস্কার পেয়েছেন মার্কিন কথাসাহিত্যিক জেমস হানাহাম। সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ এবং শখের অভিনেতা হানাহাম এ পুরস্কার পেয়েছেন তাঁর “ডেলিশাস ফুডস” উপন্যাসের জন্য। এবারে পুলিৎজার পুরস্কারের কথাসাহিত্য শাখায় পুরস্কার পেয়েছেন ভিয়েতনামী আমেরিকান ঔপন্যাসিক ভিয়েত তান নগুয়েন। ঔপন্যাসিক প্রফেসর নগুয়েন তাঁর “দ্য সিমপ্যাথাইজার” উপন্যাসের জন্য এ সম্মাননা পেয়েছেন। আর এবারের পুলিৎজার পুরস্কারের কবিতা শাখায় পুরস্কৃত হয়েছেন আর্মেনীয় আমেরিকান কবি পিটার বালাকিয়ান। বালাকিয়ানের পুরস্কার প্রাপ্ত কাব্য গ্রন্থটির নাম “ওজোন জার্নাল”। এছাড়া নবেম্বরের ২৬ তারিখে যুক্তরাজ্যের পোয়েট লরিয়েট ক্যারল অ্যান ডাফি উইলফ্রেড ওয়েন কবিতা পুরস্কারে ভূষিত হন।
এ বছর ম্যান বুকার পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা ছটি উপন্যাসই ছিল একটি আরেকটির কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী। তবে যেহেতু একজন লেখকই পাবেন পুরস্কার, শেষমেষ পুরস্কার পেলেন আমেরিকার কথাসাহিত্যিক পল বিটি। তাঁর এ উপন্যাসের পটভূমিতে আছে আমেরিকার লস এঞ্জেলেস এলাকা। তাঁর উপন্যাস “দ্য সেলআউট” রচিত হয়েছে আমেরিকার সমাজে বর্ণবাদের কালো থাবাকে কেন্দ্র করে। তিনিই প্রথম ম্যান বুকার পুরস্কারপ্রাপ্ত আমেরিকান কথাসাহিত্যিক। ম্যান বুকার পুরস্কারের ৪৮ বছরের ইতিহাসে গত ২০১৪ সাল থেকে আমেরিকার কথাসাহিত্যিকদেরও বিবেচনায় রাখা হচ্ছে।
২০১৬ সালের সাহিত্যের নোবেল পুরস্কার অন্য বছরের তুলনায় একটু আলাদা : গানকে কবিতার মর্যাদা দিয়েই এবারের নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে বব ডিলানকে। ২০১৫ সালের এবং ২০১৬ সালের নোবেল পুরস্কার একসঙ্গে বিবেচনায় আনলে বোঝা যায়, নোবেল কমিটির নজর মনে হয় সাহিত্যের প্রান্তের দিকে বিচরণ করছে। আর এবারের নোবেল পুরস্কারের আরো দু’একটি বিশেষ বিষয় হলো, পুরস্কার ঘোষণার পর নোবেল কমিটি বব ডিলানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিল না। আর ১০ ডিসেম্বর পুরস্কার গ্রহণের জন্য বব ডিলান নিজে হাজির হননি সুইডেনে। তাঁর পক্ষে তাঁর দেশের রাষ্ট্রদূত পুরস্কার গ্রহণ করেন। অবশ্য বব ডিলান তাঁর লিখিত বক্তব্য পাঠিয়ে নোবেল কমিটিকে যথাযথ ধন্যবাদ জানান। এরকমই সাড়া জাগানো ছিল এবারের সাহিত্যের নোবেল পুরস্কার।  
যাঁদের কথা আমাদের প্রেরণার উৎস, যাঁদের সান্নিধ্য আমাদের আনন্দ উৎসাহের কেন্দ্রে তাঁদের অনেকেরই ছায়া সরে গেছে আমাদের মাথার ওপর থেকে। তাঁরা চলে গেছেন না ফেরার দেশে। ২০১৬ সালের ফ্রেব্রুয়ারির ১৯ তারিখে মৃত্যুবরণ করেন ইতালির দার্শনিক, শিক্ষাবিদ, সাহিত্য সমালোচক এবং ঔপন্যাসিক উমবের্তো একো। একই দিনে ৮৯ বছর বয়সে মারা যান আমেরিকার কথাসাহিত্যিক নেল হার্পার লি। লেখালেখির জন্য শুধু হার্পার লি নামেই তিনি পরিচিত। বিরলপ্রজ হার্পার লির “টু কিল আ মকিং বাড” আমেরিকার সাহিত্যের আধুনিক ক্লাসিক উপন্যাস। এ বছর মার্চের একত্রিশ তারিখে মৃত্যুবরণ করেন হাঙ্গেরির কথাসাহিত্যিক ইমরে কারতেশ। ২০০২ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। মৃত্যুকালে তাঁর বযস হয়েছিল ৮৬ বছল। জুন মাসের ৩০ তারিখে মারা যান ইংরেজ কবি জেফরি হিল। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। জীবদ্দশায় তাঁকে বলা হতো ইংরেজি ভাষার শ্রেষ্ঠ জীবিত কবি।  জুলাইয়ের ২ তারিখে মারা যান রুমানিয়ায় জন্মগ্রহণকারী আমেরিকার লেখক, শিক্ষাবিদ এলি ভিজেল। এলি ভিজেল ১৯৮৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান। অক্টোবরের ১৩ তারিখে মৃত্যুবরণ করেন ইতালির নাট্যকার নির্দেশক দারিও ফ। ১৯৯৭ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পানদারিও ফ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল নব্বই বছল। এ বছরের নবেম্বরের ৭ তারিখে বিরাশি বছর বয়সে মারা যান কানাডার কবি, গীতিকার ও ঔপন্যাসিক লিওনার্দ কোহেন। একই মাসের ২০ তারিখে ৮৮ বছর বয়সে মারা যান আইরিশ ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার ও নাট্যকার উইলিয়াম ট্রেভর। ডিসেম্বরের ১২ তারিখে ৮৫ বছর বয়সে মারা যান অস্ট্রেলিয়ার কথাসাহিত্যিক শার্লি হ্যাজার্ড।
ভাত দে হারামজাদা বলে আর হুঙ্কার দিবেন না কবি রফিক আজাদ। তিনি চলে গেছেন ১২ মার্চ। প্রিয়তমাকে আর অভিবাদন জানাতে আসবেন না অভিমানী এক কবি। শুধু পাঠকেরা যুগ যুগ ধরে তাদের প্রিয়তমাদের জন্য উচ্চারণ করে যাবেন শহীদ কাদরীর কবিতা। বাংলা সাহিত্যের এই মহান কবি মৃত্যুবরণ করেন ২৮ অগাস্ট নিউ ইয়র্কে। বাঙালির ক্রান্তিকালে নিজের কণ্ঠে হয়তো আর জাগতে ডাকবেন না তিনি, বলবেন না ‘জাগো বাহে’। তবে তিনি রয়ে যাবেন শতশত বছরের বাঙালি প্রজন্মের কণ্ঠে কণ্ঠে। এ বছরের সেপ্টেম্বরের ২৭ তারিখে তিনিও আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন- আমাদের সবার প্রিয় কবি সৈয়দ শামসুল হক। উপন্যাস, নাটক, কাব্যনাটক, ছোটগল্প, প্রবন্ধ- সবকিছুতে সতত বিচরণ ছিল তাঁর। তবু তিনি নিজের কাছে এবং আমাদের কাছে প্রথমত কবি।
সামনে, অতি নিকটে এসে গেছে ২০১৭ সাল। আমরা আশা করছি, এ বছরও অনেক আনন্দের প্রাপ্তি যোগ হবে আমাদের অভিজ্ঞতা আর স্মৃতির ভাণ্ডারে। পাওয়ার আনন্দে আমরা হাসব; বেদনা তো অনিবার্য। তবু চাই না সে কথা মনে করতে। সামনের দিন ভোরের সূর্যের আলোয় আলোকিত হোক।

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
নাইজেরিয়ায় বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত কারাগার, পালালো শতাধিক বন্দি
নাইজেরিয়ায় বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত কারাগার, পালালো শতাধিক বন্দি
গাজার গণকবরের ৮৫ শতাংশ মরদেহই অজ্ঞাত
গাজার গণকবরের ৮৫ শতাংশ মরদেহই অজ্ঞাত
‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের’ এক সদস্য গ্রেফতার
‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের’ এক সদস্য গ্রেফতার
বিশ্বসাহিত্যের খবর
বিশ্বসাহিত্যের খবর
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
সিনিয়র শিক্ষককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি জুনিয়র শিক্ষকের
সিনিয়র শিক্ষককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি জুনিয়র শিক্ষকের
ভুল সময়ে ‘ঠিক কাজটি’ করবেন না
ভুল সময়ে ‘ঠিক কাজটি’ করবেন না