কৌতুক ও কৌতূহল
আকাশ কি ডোরাকাটা ঘোড়া? শরীরভরা যতিচিহ্ন নিয়ে
কোথায় দৌড়াচ্ছে মেঘ?
এইসব প্রশ্নের জট খুলতে খুলতে
সদ্য কিশোরী হওয়া বালিকাকে বলি, ভেতরে আসো
একমনে ১ টা মাতৃগৃহ আঁকো আর ভাবো—
ঐ বোবা অন্ধকারের পৃথিবীতে কীভাবে সাঁতার শিখেছিলে?
নীরবতা ভাঙতে পারে না বালিকা
বিবিধ গল্পের সাথে ঝরে পড়তে থাকে
আমি তার প্রতিটি গল্পের শেষে
১ টা যুদ্ধবাজ ঘোড়া দিয়ে বলি—দৌড়াও; বালিকা উড়তে থাকে...
দৃশ্য পেরুনোর সর্তকতা থেকে বলি, মনে রেখ—
দূরত্ব রেখে আকাশ কল্পনা করা যায়, মানুষের নাগাল পাওয়া যায় না।
সুপারিশকৃত ভোরের নোটিশ
তারই হতে চাই, যে আমাকে খুন করতে আসে। তাকেই ভালোবাসি—
যে কিনা খুনের অভিযোগ তুলে প্রতিদিন ফাঁসিতে ঝুলায়। হাড়ের ভেতর
তারই বাঁশি বাজে—যে আমাকে ঘৃণা করতে শিখেছে। আর যে ছুরিটা
আমার গলা কাটতে সক্ষম! তার জন্যই উদোম করি বুক। উন্মুক্ত উনুনের
পাশে মুখস্ত করি মেঘপতনের শব্দ। পথে কী সব ভোতা ছুরির সাথে
দেখা হয়! যারা আমার ইয়ে ছিঁড়তেও জানে না। কী সব পাতাপ্রবাহ
ছুটে আসে! যাদের নিজস্ব কোনো আকাশ নেই। বিছানায় এমনসব
কাঠগোলাপের সাথে দেখা হয়! যাদের কোনো ঘামগন্ধ নেই। গোপনে—
এইসব নৈশবিদ্যালয়ে টাঙিয়ে রাখি সুপারিশকৃত ভোরের নোটিশ।
চাঁদের পেয়ালা ভরা মদ ও মধু
ঘুরে ঘুরে পড় এই মমিকরা পাণ্ডুলিপি। পিঁপড়ার কামড়ে ফুটো হয়ে
গেছে সামন্ত সমাজ। জোনাকির নিমগ্ন আকাশ ছেড়ে গেছে জোছনাবাদী
সারস। এখন প্রাতকালীন রোদের স্মরণসভায় মেঘেদের মনভরা
অভিযোগ টলটল করে। জলপাতা খুলে পড়ে অন্তরঙ্গ নদীর কিনারে।
রাত্রির ব্যানারে চোখ সেটে দিলেই দেখা যায় মৃতদের জন্মোৎসব। যেন
চাঁদের পেয়ালা ভরা মদ ও মধু খেতে খেতে জীবন স্বর্গে যাবে; আমরাও
জিতে যাবো—শর্তহীন। আমাদের জিতে যাওয়ার মধ্যে ঈশ্বরের কোনো
স্বার্থ থাকবে না!
এসো তবে—সফলবাক্যের মতো নির্ঘুম কাটিয়ে দেই যোগফলের রাত।
চুমুর দাগ নিয়ে ফিরে যাক দূরের ক্যামেরা। উন্মোচিত রহস্যের গলা
ধরে শুয়ে থাক যুথবদ্ধ ইশারাসকল। যেখানে মহাকালের মতো কোনো
শূন্যস্থান নেই।
একজন ম্যাজিশিয়ান ও তার গল্পের বায়োস্কপ
স্টেশন উঠে যাবার পর যেসকল জটিলতায় চালু হয় সকালের ট্রেন,
সেখানে বিজ্ঞ দুপুরের কোনো রাজনীতি নেই, ফোরলেন রাত্রির মাস্তানি
আছে। চাঁদকে টিপ আর টিপকে চাঁদ ভাবার কায়দায়—উপরের গল্পটা
নিচের দিকে আর নিচের গল্পটা উপরের দিকে ছুঁড়ে দিয়ে হেসে উঠলো
একজন বয়বৃদ্ধ ম্যাজিশিয়ান। মাঝখানে আপনি ময়দার চ্যাপ্টা গোলার
মতো দৃশ্যবিদ্ধ হলেন। কম্পমান এই প্লাটফর্মে আপনি তখনও যদি স্থির!
তাহলে অপেক্ষমান গল্পের দিকে যান। অর্বাচীন স্রোতের মহিমা থেকে
অনুভব করুণ পূর্ববতী স্রোতের টান। তারপরও যদি স্থির আর
ম্যাজিশিয়ানের চোখে দৃশ্যবিদ্ধ হন, তবে মনে রাখবেন হে পান ও জর্দার
দ্রবণ, আপনার জন্য পরবর্তী গল্পটা আরো বেশি জটিল ও দৃশ্যহীন।