অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়েছে মনোজ দে’র প্রথম বই ‘প্রাকৃতজনের বসতে’, প্রকাশ করছে ‘বাংলানামা’। প্রথম বই প্রকাশের অনুভূতি এবং সাহিত্য-ভাবনা নিয়ে তিনি কথা বলেছেন বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে।
বই প্রকাশের সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন কীভাবে?
২০১৪ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দুদিন আমরা কথাসাহিত্যক শওকত আলীর বাসায় গিয়েছলাম। উদ্দেশ্য ছিল তাকে নিয়ে একটা তথ্যচিত্র নির্মাণের। তবে তথ্যচিত্র নির্মাণের ব্যাপারে তাকে রাজি করানো যায়নি। কিন্তু দুদিনেই বেশ কয়েক ঘণ্টা তার সঙ্গে আলাপ হয়। তিনি তার জীবনের গল্পগুলো বলেন। তার দীর্ঘ জীবন পরিক্রমার এই গল্পগুলোর সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাসের নানা বাঁকবদলের ঘটনাপ্রবাহ উঠে আসে। গল্পের ঢঙয়ে বলা সেসব আলাপচারিতা মলাটবদ্ধ হয়েছে ‘প্রাকৃতজনের বসতে’। ২০১৪ সালের রেকর্ডকৃত সেই আলাপন আলসেমির কারণেই এতদিন লিপিবদ্ধ করা হয়নি। কিন্তু হুট করে মেলায় এবারে বইয়ের মলাটে নিয়ে আসা সম্ভব হলো।
সমসাময়িকদের লেখকদের সঙ্গে নিজেকে কীভাবে দেখছেন?
এ ধরনের মূল্যায়নে আমার পক্ষপাত নেই। তবে আমার কাছে মনে হয় তাড়াহুড়ো করে হারিয়ে যাওয়ার চেয়ে প্রস্তুতি নিয়ে নিজেকে তৈরি করাটা জরুরি।
নিজের লেখার প্রতি আত্মবিশ্বাস কতটুকু?
জগত আর জীবন সম্পর্কে আমার ভাবনার প্রতিফলনই হলো আমার লেখা। গদ্যের ব্যাপারে নিজের সঙ্গে নিজের যে বোঝাপড়া সেখানে ফারাক না রাখার চেষ্টাটাই করেছি। কী হয়েছে আর কী হয়নি, এসবের মূল্যায়ন পাঠকের।
শিল্প অথবা পাঠক বিতর্কে কাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন?
শিল্প আর পাঠক দুটিই একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ। দুই কষ্টি পাথরেই উত্তীর্ণ হওয়ার বিকল্প নেই।
প্রকাশিত বই সম্পর্কে কিছু বলুন।
পাঠক যারা কথাসাহিত্যক শওকত আলী সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য এই বই। খুব ছোট পরিসরে এটা শওকত আলীর অটোবায়োগ্রাফিক্যাল জার্নি। সেই সঙ্গে ইতিহাস, রাজনীতি সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গির সন্ধান মিলবে এখানে। জীবন সায়াহ্নে এসে কীরকম জীবন-যাপন করতেন তিনি তারও পরিচয় পাবেন আগ্রহী পাঠক।