পৃথিবীর বিরতিকাল
কণ্ঠের সঙ্গে কণ্ঠের নিয়মিত সম্পর্ক ছেদ
আঙুলগুলোর অভ্যাস বদল
শহরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আলো-অন্ধকারের বিদ্রুপ।
মহাকাল ভিড়ের ভেতর হারিয়ে ফেলেছে কাঁসার ঘণ্টা
বার বার বেজে উঠছে—প্রতিবার মরছে মানুষ।
পিপাসা বেড়ে গলার হারের কাছে দাঁড়িয়ে আছে
জমা হচ্ছে দলা দলা বাদামী আক্রোশ
এই প্রতিবিম্বে; এই বালুচরে বিচ্ছিন্ন প্রতিটি কণা।
আকাশ শান্ত হবে—গায়ে লেগে থাকবে সূর্যাস্তের আলো
গালের কাছে এঁকে দেবে কাঙ্ক্ষিত স্পর্শ
বিস্মৃতিরা জেগে উঠবে শ্রদ্ধায়
আত্মহত্যাপ্রবণ কলোনিতে জমবে মনোবিজ্ঞানীর আসর
গারদের ভেতর
গঞ্জের হাটে
সুপারশপের গেইটে;
মানুষ স্বরবর্ণ
মানুষ ব্যঞ্জনবর্ণ
পাশাপাশি কাছাকাছি লিখে চলছে আরাধ্য গন্তব্য—পরিচিত অবসর
ঠিক পৌঁছে যাবে
সময়ের দোলনায় দুলতে দুলতে নেমে আসবে—
আদুরে জীবন—আনন্দ।
জরুরি ভিত্তিতে সৈন্য প্রত্যাহার
যুদ্ধ থেমে গেছে
প্যারাস্যুট খুলে পাও ফুলের ঘ্রাণ
জানালাগুলো বন্ধ
উপসনালয় থেকে চিকিৎসালয়ের দূরত্ব জিরো কিলোমিটার।
ধরো, মৃত্যুর মান সীমাহীন
জীবিতরা দেখছে-না মৃতের মুখ।
এসো জন্মদিন
নিয়ন আলোতে ড্রয়িংরুমে বসো
কেক কাটি—কেক খাও
বাহারি বেলুনে চড়ে ঘুরে আসো কিছুদূর
বরফের পাঁজর খুলে
এই এখন—কোথাও কেউ হয়তো বেরিয়ে পড়ছে
গত একশ বছরের গল্প হয়ে।
আতঙ্ক
অপেক্ষা করছি তোমার চলে যাওয়ার জন্য
অথবা পুরোনো হও
বনসাই কিনতে যাবো দক্ষিণ বারান্দার জন্য
যদি দেখা হয়
বামপাশে বসো
ওপাশে হৃদয় একা
মাননীয় হাঁস
আপনি রাজহাঁস নাকি পাতিহাঁস
এই বিষয়ে—তর্ক নয় ‘বিতর্ক’ থাকতে পারে
—এর মানে বিরোধিতা?
বংশ পরম্পরায় যেই হোন—
হাঁস বিরোধী নই; আমরাও উভচর
সোডিয়াম আলোর নিচে
বহুজাতিক ঢেউয়ের ভেতর—কেউ কেউ হারিয়ে ফেলছি জীবনবৃত্তান্ত।
জল ঘোলা করার প্রমাণ যেহেতু সচারচর রাখেন না
কেঁচোখোড়া উর্বর ইতিহাসের কসম
আপনার পাখনা ঝারার বিষয়ে আমাদের প্রবল আগ্রহ।
অগভীর দূরত্বে
কাঁদার ভেতর মাছেদের পিচ্ছিল ঘুম। কোমল রোদে কেউ হাতড়ে পাচ্ছে প্রিয় মুখ। আগুনের মুখোমুখি সব চোখ আদিম। অপঠিত বরফের কুচি খুলে গেলে—গলে পড়বে সাঁতার জানার সুখ।
শরীর পেয়েছে যতো স্বাদ—জিহ্বাকে তার সবটুকু দেবে না কোনদিন।