X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইসমাইল কাদারের সাক্ষাৎকার

অনুবাদ : মাইশা তাবাসসুম
৩০ নভেম্বর ২০২০, ০৮:৫০আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২০, ০৯:০৩

ইসমাইল কাদারের সাক্ষাৎকার

গত পর্বের পর থেকে

ই.কা : পরস্পর বিরোধী হবার জন্য আমাকে কখনো কোনো বাহ্যিক প্রচেষ্টা চালাতে হয়নি। এটা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক, আর এর জন্যই একজন লেখক সত্যিকারের লেখক হয়ে ওঠে। আমার পরস্পর বিরোধী হবার পেছনে সহস্র কারণ আছে, শুধু রাজনৈতিক বা সামাজিক নয়, সমস্ত মানবিক দিক থেকেই। অনেকটা এর জন্যই একজন লেখক হয়ে ওঠার তাড়না অনুভব করে, সে জানে যে তার সামনে অপেক্ষা করছে কয়েক প্রজন্মের পাঠক। অবচেতন মনে আমি সেই সব পাঠকদের জন্য লিখি। কোনো একটি প্রজন্মের সমগ্র পাঠক আমার লেখার সঙ্গে একমত হবে, এটা অসম্ভব। অনেক সময় অনুভব করি যে হয়তো কখনো সবারই বিরোধী হয়ে উঠবো। কিন্তু এটা কোনো ব্যাপার না, অন্তত আমার মনের গভীরে, কারণ সাহিত্যের একটা বিশ্বাস প্রায় আধ্যাত্মিক পর্যায়ের। সর্বশেষ বিশ্লেষণ অনুযায়ী, দেখা যায় একটি মহৎ সাহিত্য সবকিছুর সাথেই পরস্পর বিরোধী। আমি বলতে চাচ্ছি যে, মহৎ সাহিত্য আসলে কী? প্রথমেই আমাদের মনে হয় যে, সঠিক বিষয়গুলোই মহৎ সাহিত্য, আর মাঝারি সাহিত্য কেবল কুৎসিত। কিন্তু তুমি যদি কোনো মাঝারি ধরণের লেখক হও, তুমি ভিন্ন শব্দ শুনতে পাবে, তোমার দৃষ্টিভঙ্গি হবে ভিন্ন। তারা বলতে পারে যে, তারাই বিশ্বের শত সহস্র পাঠকের জন্য লেখে, কেউ কেউ এই মহৎ সাহিত্য পড়ার পথেই যাবে। কিন্তু আমরা এই সাহিত্য সেনাবাহিনীর অজানা সৈন্য, সত্যিকারের শহিদ। এটা তারা ভুলে যায় যে, একটা কঠোর সময়ে তারা কর্তৃপক্ষের জোটে সামিল হয় এবং মহৎ সাহিত্যের বিরুদ্ধে চলে যায়। মহৎ সাহিত্য খুবই ছোট একটা শাসক ও শোষিতের পরিবার যা দ্বিতীয় পর্যায়ের সহস্র সাহিত্যকে ধ্বংস করে দেয়। এটা একটা নির্দয় গোষ্ঠী, প্রায় গণতন্ত্রের বিরোধী। প্রফেশনালরা ব্যাপারটা জানে, কিন্তু সাধারণ মানুষকে এটা বিশ্লেষণ করা বিপজ্জনক। সুতরাং মনে রাখতে হবে যে, জীবনে আভিজাত্য আর সাহিত্যে আভিজাত্য সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস।

 

এস.আর.বি : আপনি বলেছিলেন যে ‘আলবানিয়াতে ভিন্ন মতের হওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না’, এটা দ্বারা আপনি কী বোঝাতে চেয়েছেন? দয়া করে একটু ব্যাখ্যা করুন।

ই.কা : মানুষজন এই ‘ভিন্ন-মতাদর্শী’ শব্দটি নিয়ে বেশ জল্পনা-কল্পনা করে। এর মানে হচ্ছে তোমার অত্যাচারী সরকারের আমলে উদারনৈতিক প্রতিকূল কাজকর্ম করা। স্টালিনের রাশিয়ার মতো আলবানিয়াতেও এই ব্যাপারটা অসম্ভব ছিল। ভিন্ন-মতাদর্শীদের অস্তিত্ব থাকার জন্যেও সামান্যতম স্বাধীনতার দরকার হয়। একটা ক্লাসিক সর্বগ্রাসী সমাজ ব্যবস্থায় সামান্যতম ফাটল নেই। আমি একটা বাস্তব উদাহরণ দেই। তুমি একজন লেখক, আর তুমি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কিছু কথা বলতে চাচ্ছো, যার জন্য একটি মিটিং ডাকলে। ডজন খানেক মানুষজনের এই ছোট্ট একটা মিটিং এর জন্যই তারা তোমার ওপর প্রচণ্ড চড়াও হবে আর তৎক্ষণাৎ তোমাকে জেলে ভরা হবে। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, সাধারণ মানুষজন তোমাকে কী ভাববে : হয়তো কোনো বদ্ধপাগল বা শত্রুপক্ষের স্পাই। এরকম একটা পরিস্থিতিতে যারা নিজেদের ভিন্ন-মতাদর্শী বলে দাবি করে, তারা আসলে মিথ্যা অহংকার করে, এই দাবি সত্যি না। সত্যি হলে ব্যাপারটা এমন হয়ে যেত যে, তারা কিছু কুমিরের সামনে চেঁচাচ্ছে যে, এরা নোংরা রাক্ষস, আর এর প্রতিক্রিয়া কিছুই হচ্ছে না। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, এ রকম সমাজের বিরুদ্ধে একমাত্র প্রতিবাদ হবে ২০ পৃষ্ঠার সত্য ও সুন্দর সাহিত্য। আমি এটা এটা বিশ্বাস করতে শুরু করি যে, প্রেমের মতো সাবলীল একটা জিনিসও প্রতিরোধ, কেননা সেটা ঐ সর্বগ্রাসী সমাজ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়। এমন যে কোনো কাজই হয়ে উঠতে পারে প্রতিরোধ। সব ধরনের ব্যক্তিগত জীবন, তা হোক রহস্যজনক বা যৌন, একটা প্রতিরোধ হয়ে উঠতে পারে। একটা অবান্তরতা। সেই সময় আমি শুনতে পেলাম যে, বেশ কিছু আর্মি অফিসার আত্মহত্যা করেছে, আমি খুবই আগ্রহী হয়ে পড়ি। সামরিক বাহিনীতে থাকা আমার এক চাচাতো ভাইকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম যে, বেশির ভাগ আত্মহত্যার কেইসই ছিল হয়তো প্রেম নাহয় ঈর্ষার ফল। ব্যাপারটা আমাকে আনন্দিত করে। আমি বুঝতে পারি যে, সবকিছু শেষ হয়ে যায়নি এখনও, এখনো মানুষ সাধারণ সুখ-দুঃখ অনুভব করে। ভাবতে পারো, এই সিনিয়র আর্মি অফিসারগুলোই কি ভয়ংকর মানুষ ছিল, আর এখানে কিনা তারা নিজেদের প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে নিজেদের হত্যা করছে। তার মানে এখনও তারা সম্পূর্ণভাবে শাসনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়নি।

 

এস.আর.বি : আপনার লেখা বাইরের দেশে ছাপা হয়েছে। এটা আপনি কীভাবে ম্যানেজ করলেন, এর প্রভাব কী ছিল?

ই.কা : কিছু কিছু বিষয় সম্পর্কে সাধারণ মানুষের একদমই জ্ঞান নেই। কমিউনিস্ট শাসনে প্রত্যেকটা দেশই নিজেদের কিছু বই, বিভিন্ন ভাষায় দেশের ভেতরেই প্রকাশ করেছিল। এর জন্য একটা বিশেষ প্রকাশনীই ছিল। আমার প্রথম উপন্যাসের অনুবাদক, ‘দ্যা জেনারেল অব দ্যা ডেড আর্মি’, ১৩ বছর জেল খেটেছেন ভুল পার্টির সদস্য হবার জন্য। সে তিরানার ‘ফরেইন ল্যাঙ্গুয়েজ পাবলিশিং কোম্পানি’র সঙ্গে কাজ করেছিল। ‘দ্যা জেনারেল অব দ্যা ডেড আর্মি’ বইটি তিনি একদম নিজের ইচ্ছায় বেছে নিয়েছিলেন অনুবাদ করার জন্য। তিরানার প্রকাশনীগুলোতে বইটা ঠাঁই পায় এর উন্নত মানের অনুবাদের জন্য। একজন ফরাসি সাংবাদিক আলবানিয়াতে বেড়াতে এসে বইটির এক কপি নিয়ে গিয়েছিল ফরাসি প্রকাশনীগুলোতে দেখানোর জন্য। এই বইটা একদম আমাকে না জানিয়েই প্রকাশ করা হয়েছিল ঐদেশে। আলবেনিয়ায় তখনও ‘ইউনিভার্সাল কপিরাইট কনভেনশন’ দস্তখতকারী হয়নি। তিরানায় কোনো কপিরাইট না থাকায় ফরাসিরা বইটি স্বাধীনভাবে প্রকাশ করতে পারে। যার ফলে বইটি আরও কিছু ইউরোপিয়ান দেশে অনূদিত হলো। ওদিকে ১৯৭০-৭১ এর দিকে বইটি বিখ্যাত হলো, আর ব্যাপারটা এদিকে কিছু সমস্যা সৃষ্টি করলো। এটা আমাকে সেই কমিউনিস্ট দুনিয়ার বিখ্যাত লেখক বানিয়ে দিলো, যে দুনিয়াকে পশ্চিমা শত্রুরা প্রশংসা করা হতো। পার্টির ভাড়াটে লেখকরা বলতে লাগলো, এর পিছে নিশ্চয়ই কোনো ষড়যন্ত্র আছে। দুই ধরনের প্রভাব পড়লো, একদিকে আমি রক্ষা পেলাম, যেহেতু বইটির জন্য বিদেশে বিখ্যাত হয়ে গেছি। অপরদিকে আমি হয়ে উঠলাম সন্দেহজনক ও দেশের জন্য ক্ষতিকর। যদিও ব্যাপারটায় আমি বেশ খুশি হয়েছিলাম।

 

এস.আর.বি : ম্যান বুকার পুরস্কার পাওয়ার পর আপনার বিরুদ্ধে যেই সমালোচনা হলো, তার মধ্যে প্রধানত এটা যে, আপনি গিরগিটির মতো, হোক্সহার শাসনামলে আপনি ভালোই ছিলেন, অথচ এখন নাকি নিজেকে ‘ভিন্ন-মতাদর্শী সাহিত্যের হিরো’ বলে উপস্থাপন করছেন

ই.কা : এসব মিথ্যা, বিন্দুমাত্র সত্য নেই এসব আলোচনায়। উদাহরণ দেই, তারা দাবি করছে যে আমি নিজেকে ভিন্নমতালম্বী বলে দাবি করছি। অথচ নিজের ক্ষেত্রে এই শব্দটা আমি কখনো ব্যবহার করিনি।এসব সমালোচনা করে নিজেরাই নিজেদের অপদস্থ করছে। আমি যেসব বই লিখেছি তার সবগুলোই প্রকাশিত হয়েছে পশ্চিমে। সবগুলো বই এমনকি পাণ্ডুলিপিও সহজলভ্য, আমার মনে করা সবচেয়ে উদারপন্থী বই ‘দ্যা ওয়েডিং’ও, সবখানেই পাওয়া যাচ্ছে। মানুষ সেগুলো পড়ে নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। কোন কিছুই গোপন নেই। ‘দ্যা ওয়েডিং’ থেকে তো বি.বি.সি. রেডিও একটি নাটক তৈরি করেছিল। সুতরাং আমি যা লিখেছি পড় এবং নিজেই বিবেচনা কর। আমি কমিউনিস্ট দের সময়েই বিখ্যাত হয়েছিল, এর পরে নয়। তো পশ্চিমারা কেন সেই সময়কার লেখা পড়েছিল? কারণ এসব সাহিত্য। যেমনটা আমি আগেও বলেছি যে, আমি চেয়েছিই শুধু একটা অস্বাভাবিক দেশে একদম স্বাভাবিক সাহিত্যের কাজ করতে। অন্যরা এটা করতে পাননি, আর এর জন্যই তারা বিচলিত। উদারপন্থী লেখকদের জন্য এটা একটা বেমানান সত্য।

 

এস.আর.বি : তাহলে এটা জিজ্ঞেস করতেই হয়, ম্যান বুকার পাওয়াটা আপনার জন্য কেমন হলো?

ই.কা : আমার এই বয়সে পুরস্কার পাওয়া তেমন একটা পার্থক্য তৈরি করে না। এটা অবশ্যই আনন্দের বিষয় এবং আমি অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করেছি। বাছাই তালিকা দেখে যদিও এমনকিছু আশা করেছিলাম না। আর এই বাছাই তালিকা প্রকাশের পরপরই তোমার বলা সেই এন্টি-কাদারে প্রোপাগাণ্ডা একটা ওয়েবসাইট শুরু করে। ম্যান বুকার ওয়েবসাইটে নমিনিদের তালিকায় সবাইকে মন্তব্য জানাতে বলছিলো, আর তখনই আমার সমালোচকরা বিভিন্ন নাম ব্যবহার করে মন্তব্য করতে শুরু করে। যদিও ওরা সবাই একই দলের একই মানুষ। অবশ্য বিচারক-প্যানেল সেগুলোকে একদম পাত্তা দেয়নি। সবসময় মিথ্যার জয়-জয়কার হয় না আসলে।

 

এস.আর.বি : এদিকে ‘পুনঃঅনুবাদ’ নিয়ে একটা ইস্যু আছে। ‘দ্য সাকসেসর’ ফরাসি অনুবাদ থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করা হয়েছে। আপনার কি মনে হয়, এটা অনুবাদের কোনো ভালো পন্থা?

ই.কা : ইংরেজি অনুবাদ আসলে দুটি আছে, একটি ফরাসি অনুবাদ থেকে করা, আরেকটি সরাসরি অনুবাদ করা। আমি বিশ্বাস করি, ফরাসি অনুবাদটি একটি টেকসই সম্ভাবনা। নীতিগতভাবে আলবানিয়ান ভাষা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করাই উত্তম। ‘দ্যা থ্রি আর্কড্ ব্রিজেস’ বই জন হজেসন সরাসরিই ইংরেজিতে অনুবাদ করেন। আলবানিয়ান ভাষা বেশ কাঠামোগত ভাষা, এখানে বেশ কিছু রোমান্টিক ও জার্মান উপাদান আছে। সুতরাং এই দুই জগতের মাঝে সমন্বয় সৃষ্টি করতে পারে।

[প্রফেসর বেলসের মন্তব্য : ফরাসি ভাষা থেকে করা পুনঃঅনুবাদটি আদর্শ নয়, আর এটা এমন কোন পদ্ধতি নয় যেটাকে আমি সঠিক বলতে পারি। এটি মূলত একটি বাস্তবিক বিষয়। কিন্তু যেহেতু কাদারের ফরাসি অনুবাদ আছে এবং সেটায় মন্তব্য করা আছে। সুতরাং আমি মনে করি এই পুনঃঅনুবাদকের লেখকের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলাটা যুক্তিযুক্ত হবে, কী তিনি পছন্দ করছেন বা কোনটা কোনটা পরিবর্তন করা ভালো হবে, এসব নিয়ে। পুনঃঅনুবাদ খুব যে বিরল তা কিন্তু না, যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইংরেজি অনুবাদটা রিলে হিসেবে কাজ করে। অনেক কম মানুষই আছে যারা ফিনিশ থেকে জাপানি বা স্প্যানিশ থেকে সার্বো-ক্রটেতে অনুবাদ করে। ইংরেজি অনুবাদই বেশিরভাগ সময় মধ্য-ভাষা হিসেবে কাজ করে, এক্ষেত্রে ইংরেজি অনুবাদের পাঠকও সচেতন থাকে। তবে ইংরেজি আন্তর্জাতিক ভাবে কোন আন্ত-ভাষা নয়, অন্তত এখন পর্যন্ত নয়।]

 

এস.আর.বি : আলবানিয়ার সাহিত্যের হালচাল এখন কী?

ই.কা : আলবানিয়া এখন একটি গণতান্ত্রিক দেশ। একটা সারগর্ভ অংশের জনগণ দেশত্যাগ করতে ইচ্ছুক। সাহিত্যের গতিধারা বিবেচনা করার জন্য ১৫ বছর কোনো বেশি সময় না। দৃশ্যকল্প পালটালেই সাহিত্য পাল্টে যায় না। আগে যা ছিল, সমষ্টিগত খামারের উপর নিযুক্ত কিছু উপন্যাস। এখন একই লেখক একই কাজ করে, হয়তো কোন পতিতালয়কে নিযুক্ত করে। কিন্তু সে তার উপন্যাসের সারমর্ম পাল্টাচ্ছে না। একই লেখক বারবার একই কাজের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তুমি কি আমার ‘কনসার্ট’ উপন্যাসটি পড়েছো? এখানে আমি আলবানিয়ার সাধারণ মানুষ ও শ্রমিকদের নিয়ে লিখেছি, কিন্তু এমনভাবে যা অনুর্বর সমাজতান্ত্রিক বাস্তবতা থেকে ভিন্ন। আমি সেখান সরাসরি রাজনৈতিক নির্যাতন, ভয় আর উদ্বেগের কথা বলেছি, এর জন্যই হয়তো পরে এটা নিষিদ্ধ করা হয়। একটা বড় অধ্যায় আছে যেখানে লিন বিয়াও (এক সময়ের দালাল) এর মৃত্যু নিয়ে লিখেছি, মাও সেতুং-এর ‘সাকসেসর’। এর পরের ৩০ পৃষ্ঠায় বলেছি, কেন ম্যাকবেথ ডানকানকে রাজনৈতিক নয় বরং ব্যক্তিগত কারণেই খুন করেছে। এই বইটা দুইটা খুনের মাঝে একটি সমান্তরাল রাস্তা তৈরি করেছে। ম্যাকবেথের সাকসেসর রাজাকে খুন করে, আর চাইনিজ ঘটনায় হয় তার উল্টোটা। বইটি আমি শেষ করি ১৯৮১ সালে, আর তার পান্ডুলিপি হস্তান্তরের তিন সপ্তাহের মধ্যে মেহমেত শেহুর মৃত্যু ঘটে। আসলে একই ঘটনা আমার আশেপাশেও ঘটেছিল। একটা কমিউনিজমের মধ্যে থেকে তুমি এর সাজসজ্জার সমালোচনা ও জীবন ধারা বর্ণনা করবে, তবেই তুমি শাশ্বত সাহিত্য রচনা করতে পারবে।

আরও পড়ুন : ইসমাইল কাদারের সাক্ষাৎকার, পর্ব এক

//জেডএস//
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সীমান্তে কোনও ধরনের হত্যাকাণ্ড চায় না বাংলাদেশ
সীমান্তে কোনও ধরনের হত্যাকাণ্ড চায় না বাংলাদেশ
দুর্নীতির মামলায় মেজর মান্নান কারাগারে
দুর্নীতির মামলায় মেজর মান্নান কারাগারে
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমাদের অবশ্যই জেতা উচিত: সাকিব
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমাদের অবশ্যই জেতা উচিত: সাকিব
মন্ত্রীর অপেক্ষায় তরমুজ বিক্রিতে দেরি, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা
মন্ত্রীর অপেক্ষায় তরমুজ বিক্রিতে দেরি, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা
সর্বাধিক পঠিত
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
কারাগারে যেভাবে সেহরি-ইফতার করেন কয়েদিরা
কারাগারে যেভাবে সেহরি-ইফতার করেন কয়েদিরা
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি