অনেকের কাছে আকাশ ছোট হলেও স্বপ্ন কিন্তু অনেক বিশাল। তাই সাফল্য পেতে হলে চাই বেশি বেশি স্বপ্ন দেখা। ভয়কে পেছনে ফেলে বৃত্তের বাইরে গিয়ে বাড়াতে হবে চিন্তা। নিজের ইচ্ছাশক্তিই পারে নিজেকে বদলে দিতে।
চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে (সিআইইউ) অনুষ্ঠিত কর্পোরেট টক অনুষ্ঠানে এমনই সব কথা বলেছেন গ্রিন ডেল্টা ইনস্যুরন্সে কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা চৌধুরী।
বুধবার নগরের জামাল খান ক্যাম্পাসের অডিটোরিয়ামে সিআইইউ বিজনেস স্কুল ‘ভয়েস অব অ্যান ইনস্যুরেন্স’ শীর্ষক এই কর্পোরেট টক শো'য়ের আয়োজন করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ফারজানা চৌধুরী ইনস্যুরেন্স সেক্টরে তার প্রতিষ্ঠানের সফল হওয়ার গল্প, তরুণ-তরুণীদের উদ্যোক্তা হতে করণীয়, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ, আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি, ইতিবাচক চিন্তা, লক্ষ্য ও মনোভাব নির্ধারণ, প্রযুক্তিকে ভালো কাজে ব্যবহার করার কৌশল, মেয়েদের পেশা বাছাইয়ে ভিন্ন চিন্তা করাসহ নানা বিষয় দর্শকদের কাছে তুলে ধরেন।
সামাজিক জড়তাকে দূর করে নিজের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার গল্প তুলে ধরতে গিয়ে ফারজানা চৌধুরী বলেন, ‘ব্যাংকের চাকরির অভিজ্ঞতা ছেড়ে সাধারণ মানুষের সুযোগ সুবিধা ও সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করার তাড়না আমাকে প্রায়ই ভাবাতো। শুরুতে অনেক প্রতিবন্ধকতা আসলেও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এখন জয়ী হয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তরুণদের উদ্ভাবনী শক্তি বাড়াতে হবে। পড়ালেখা কিংবা কর্মক্ষেত্র- সবখানেই গবেষণায় ডুবে থাকা চাই।’
সভাপতির বক্তব্যে সিআইইউর উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় কর্মমুখী শিক্ষার গুরুত্ব বাড়াতে হবে। পাঠ্যসূচির সঙ্গে বাইরের জগতের পড়ার সমন্বয় হলে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়বে।’
অনুষ্ঠান আয়োজনের বিষয়ে সিআইইউর বিজনেস স্কুলের সহযোগী অধ্যাপক ও কর্পোরেট টক অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ড. সৈয়দ মনজুর কাদের বলেন, ‘এই ধরনের অনুষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা একজন সফল ব্যক্তির গল্পগুলো শুনে অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পায়।’ আগামীতে বড় পরিসরে সহশিক্ষা কার্যক্রম, মেধাবৃত্তি ও গবেষণা বৃদ্ধিতে সিআইইউর সঙ্গে তিনি যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে ফারজানা চৌধুরীর হাতে সিআইইউর পক্ষ থেকে ক্রেস্ট তুলে দেন উপাচার্য। তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বিজনেস স্কুলের ডিন ড. নাঈম আবদুল্লাহ। অনুষ্ঠানেটি উপস্থাপনা করেন শিক্ষার্থী ইয়ামিন ও নওশীন।