X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভিসির পদত্যাগ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান শাবি শিক্ষক সমিতির

শাবি প্রতিনিধি 
২৪ জানুয়ারি ২০২২, ০১:৫৮আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ০১:৫৮

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশন করে অনেক শিক্ষার্থী এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এরমধ্যে ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ও অনশন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্যের পদত্যাগ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে শিক্ষার পরিবেশ স্বাভাবিক করার আহ্বান জানিয়েছে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। 

রবিবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ মহিবুল আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানানো হয়। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়টি সরকারের এখতিয়ারভুক্ত। তাই এক্ষেত্রে অতি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো। 

এছাড়া শিক্ষক সমিতির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ওপর বর্বরোচিত পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়। পাশাপাশি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে দায়ীদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও অনুরোধ করেন শাবির শিক্ষকরা। 

বিজ্ঞপ্তিতে, অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর জন্য যা যা দরকার তা অনতিবিলম্বে করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের সহযোগিতা কামনা করা হয়। এছাড়া শিক্ষার্থীদের কোনও সহিংস আন্দোলনে জড়িয়ে না পড়ার আহ্বানও জানায় শিক্ষক সমিতি। 

এদিকে শিক্ষক সমিতি এমন এক সময়ে বিবৃতি দিয়েছে, যখন শাবি ভিসির বাসভবনের পানি ও বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। 

শিক্ষার্থীরা বলছেন, একজন মানুষের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে হাসপাতালে গিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আর যার বিরুদ্ধে আন্দোলন তিনি আরাম করে নিজ বাসভবনে বসে থাকবেন, তা হতে দেওয়া যায় না। দ্রুততম সময়ে পদত্যাগ করে ভিসিকে ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যেতে আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আবাসিক হলের সমস্যা নিরসনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনার পরদিন রবিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। তারা প্রভোস্ট বডির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগের হামলার বিচার দাবি করেন। পরে বিকাল ৪টায় আইআইসিটি ভবনের সামনে উপাচার্যকে মুক্ত করতে পুলিশ উপস্থিত হয়। এ সময় ‘ক্যাম্পাসে পুলিশ কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ স্লোগানে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যায় লাঠিপেটার পাশাপাশি রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুড়ে পুলিশ ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করে উপাচার্যকে উদ্ধার করে বাংলোতে পৌঁছে দেন।
 
এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আইসিইউতে চিকিৎসা নেন। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে সোমবার (১৭ জানুয়ারি) ১২টার মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে হল ছাড়ার নির্দেশ দেন। 

তবে শিক্ষার্থীরা হল না ছেড়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরণ অনশনে অংশ নেন ২৪ শিক্ষার্থী। পরবর্তী সমেয় বেশিরভাগ শিক্ষার্থী অনৎসুস্থ হেয় সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী শনিবার রাতে মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। তবে শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি ভিসির পদত্যাগ না হলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন ও নিজেদের দাবিতে অটল থাকেন।  

/টিটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ
এক কোরাল ৩৩ হাজার টাকায় বিক্রি
এক কোরাল ৩৩ হাজার টাকায় বিক্রি
মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ ডিসি ও এসপিদের
উপজেলা নির্বাচনমন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ ডিসি ও এসপিদের
জিম্মিদের মুক্তির জন্য হামাসকে ১৮ দেশের আহ্বান
জিম্মিদের মুক্তির জন্য হামাসকে ১৮ দেশের আহ্বান
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা