কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আইন বিভাগের ১০ম ব্যাচের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের অনলাইনে মাত্র তিনটি ক্লাস নিয়েই একটি কোর্স শেষ করার অভিযোগ উঠেছে। স্নাতকোত্তরের ‘ইন্টারন্যাশানাল অরগানাইজেশান’ নামের ওই কোর্সটি নেন প্রভাষক সাদিয়া তাবাসসুম। পাশাপাশি কয়েকটি ব্যাচের শিক্ষার্থীরাও এমন অভিযোগ তুলেছেন। তবে এসব বিষয়ে কথা বললে ওই শিক্ষিকা শিক্ষার্থীদের হুমকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, স্নাতকোত্তরের ‘ইন্টারন্যাশানাল অরগানাইজেশান’ নামের একটি কোর্সের অনলাইনে মাত্র তিনটি ক্লাস নেন প্রভাষক সাদিয়া তাবাসসুম। এছাড়া বিভাগের অন্যান্য ব্যাচেও অর্ধেকের কম সংখ্যক ক্লাস নেওয়া ও ক্লাসে শিক্ষার্থীদের হুমকি দেওয়াসহ নানা অভিযোগ উঠেছে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।
এরআগে, একই অভিযোগে বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষককে পরিবর্তন করে অন্য কোর্স শিক্ষক নেন। একই সমস্যার কারণে অন্য ব্যাচের শিক্ষার্থীরাও অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে পরিবর্তনের দাবি তুললেও আমলে নেওয়া হয়নি। এই বিষয়ে বিভাগের দায়িত্বশীলরা চিন্তিত নন বলেও অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক সাদিয়া তাবাসসুম বলেন, আসলে ওই সময় আমি প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতির কারণে মানসিকভাবে বেশ ট্রমায় ছিলাম। তাই কিছুদিন ক্লাস নেওয়া বা ফোন ধরে কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলাম না।
অন্য কোনও শিক্ষককে দিয়ে ওই কোর্সটি নেওয়া হয়নি কেন, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওই সময় করোনার কারণে কিছু অনলাইন ক্লাস হচ্ছিল। আর বাকি শিক্ষকদেরও ওয়ার্কলোড অনেক বেশি ছিল। আমার কোর্সটা কেউ নেবে এমন পাওয়া যায়নি।
শিক্ষার্থীদের হুমকি দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ওই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমার বয়সের ব্যবধান বেশি না। আমি শিক্ষকতা করতে এসেছি, হুমকি দিতে আসিনি। তারা হয়তো কোনও কথায় ভুল বুঝেছে।
বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, বিষয়টি গত ফেব্রুরি-মার্চের ঘটনা। তখন অ্যাকাডেমিক মিটিংয়ে বসে বিষয়টির মিটমাটও হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আইন ও নীতিমালা রয়েছে। প্রত্যেক শিক্ষকের তা মেনে চলা উচিত। আমরা বিষয়টা খতিয়ে দেখবো এবং যদি দেখি এর কোনও ব্যত্যয় ঘটিয়েছে এবং এ কারণে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হয়েছে তাহলে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।