নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম যখন আকাশচুম্বী, তখন হোটেলগুলোতে খাবারের দামও নাগালের বাইরে। ঠিক এই সময়ই একমাস ধরে বন্ধ আছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) দুটি হলের ডাইনিং। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল ও কাজী নজরুল ইসলাম হলের ডাইনিং একমাস ধরে বন্ধ। ডাইনিং বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে দিন পার করছেন দুই হলে অবস্থানরত প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী। হলে খাবার না থাকায় বাইরের বিভিন্ন নিম্নমানের হোটেলে চড়া দামে অস্বাস্থ্যকর খাবার কিনে খেতে হচ্ছে।
ডাইনিং বন্ধ থাকার বিষয়ে জানা যায়, ডাইনিং পরিচালনায় দক্ষ লোক না থাকায় এবং হলের ডাইনিং পরিচালনায় ভর্তুকি না থাকায় সেগুলো বন্ধ রয়েছে। প্রতিবছর হলগুলো পরিচালনায় বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও কর্মচারীদের বেতন বিশ্ববিদ্যালয় বহন করলেও, দীর্ঘদিন ধরে ডাইনিং বন্ধ থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হাসিব হাসান বলেন, ‘হলে যে টাকা দিয়ে যে খাবার খাই, সেই খাবার বাইরে খেতে গেলে তার চেয়ে বেশি টাকা লাগে। তার জন্য মাস শেষে অনাকাঙ্ক্ষিত একটা বাজেট চলে আসে। প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি যেন অতিদ্রুত ডাইনিং গুলো চালু করে দেয়।’
শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইমন শাহরিয়ার বলেন, ‘বাইরে ভালো মানের খাবার পাওয়া যায় না, আর পাওয়া গেলেও সেটার দাম অনেক বেশি। তাছাড়া আমাদের অনেক পথ হেঁটে গিয়ে খাবার খেতে হয়। এতে আমাদের সময়ের অপচয় হয়। যদি ডাইনিং চালু থাকতো তাহলে আমাদের সময় বাঁচতো।’
ডাইনিং বন্ধ থাকার ব্যাপারে জানতে চাইলে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘হলের প্রায় বেশিরভাগ ছাত্র ডাইনিং চললেও বাইরে খায়। যেহেতু অল্প কয়েকজন ছাত্র ডাইনিংয়ে খায়, তাই তাদের জন্য ডাইনিং চালু রাখা কঠিন। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছি।’
কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মিহির লাল ভৌমিক বলেন, ‘হলের ডাইনিংয়ে খুব কম শিক্ষার্থী খায়। হলের যে ম্যানেজার তার পক্ষে ডাইনিং চালানো কষ্টকর হয়ে পড়ে। আমি আবার উদ্যোগ নিয়েছি । আশা করি শিগগিরই ডাইনিং চালু হবে।’