২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে নবীন শিক্ষার্থীদের আগমনকে সামনে রেখে র্যাগিং বন্ধে মাসব্যাপী ক্যাম্পেইন শুরু করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগ।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল থেকে আইপিই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ ক্যাম্পেইন শুরু হয়। এসময় বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নিকট র্যাগিং বিরোধী সচেতনতা বৃদ্ধিতে এ ক্যাম্পেইন শুরু হয়। এ ক্যাম্পেইন মাসব্যাপী চলবে।
ক্যাম্পেইন আয়োজনের বিষয়ে আইপিই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মুহসিন আজিজ খান বলেন, নবীন শিক্ষার্থীদের আগমনে ক্যাম্পাসে র্যাগিং বাড়ে। এর প্রেক্ষিতে আমরা সবার মধ্যে র্যাগিং বিরোধী সচেতনতা বৃদ্ধিতে এ ক্যাম্পেইন শুরু করেছি। ক্লাসে ক্লাসে গিয়ে সবাইকে র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে সচেতন করা হচ্ছে। আমরা দেখেছি, অনেক সময় নবীন শিক্ষার্থীদের র্যাগিং করা হলে তারা শিক্ষক বা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারে না। এর প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা যাতে সঠিকভাবে কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারে সেজন্য আমাদের এ ক্যাম্পেইন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন উপাচার্য। সেই নীতির আলোকে আমরা এ ক্যাম্পেইন শুরু করেছি। ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধারা চলবে। আমরা চাই শাবিতে কোন র্যাগিং থাকবে না।
মাসব্যাপী এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভাগের ক্লাস রুমের সামনে র্যাগিং বিরোধী স্টিকার লাগানো হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন জায়গাতে আইপিই এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে র্যাগিং বিরোধী ব্যানার ফেস্টুন লাগানো হয়েছে।
এছাড়া এ ক্যাম্পেইনে সঙ্গে আইপিই এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন একাত্মতা পোষণ করেছেন বলে জানান ড. মুহসিন আজিজ খান। এসময় ক্যাম্পেইনে বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, সোসাইটির নেতৃবৃন্দ ও সচেতন শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে অর্ধনগ্ন করে রাতভর র্যাগিং করার দায়ে বিভিন্ন বিভাগের ২১ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাশাপাশি শাবিতে র্যাগিংয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর থেকে শাবিতে র্যাগিং কমে এসেছে।