X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

কষ্টে দিন কাটছে রাবির মাস্টাররোলে কর্মরত শ্রমিকদের

রাবি প্রতিনিধি
১২ এপ্রিল ২০২০, ১৫:১৮আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০২০, ১৫:৫৫
image

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে (মাস্টাররোল) কাজ করেন প্রায় দুইশ শ্রমিক। হঠাৎ করোনাভাইরাসের কারণে ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে মাস্টারোলের কর্মচারী এবং তাদের পরিবার। 

মাস্টারোল শ্রমিকরা বলছেন, ক্যাম্পাস খোলা অবস্থায় যে বেতন পেতেন, তা দিয়ে কোনওভাবে দিনাতিপাত করা যেত। কিন্তু দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় কষ্টে দিন পার করছেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও তাদের খোঁজ নিচ্ছে না। শ্রমিকদের অধিকাংশই বিশ্ববিদ্যালয়ের  সাবেক ছাত্র হওয়ার লজ্জায় কারও কাছ থেকে ত্রাণ সহযোগিতাও চাইতে পারছেন না। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়,  বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টাররোলে প্রায় দুইশজন কর্মরত রয়েছেন। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত রয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে এসব মাস্টাররোলের শ্রমিকরা চাকুরি স্থায়ীকরণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছে দাবি জানিয়ে আসছে। মাস্টাররোল কর্মচারি ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান জানান, মাস্টাররোল শ্রমিকদের যে বেতন দেওয়া হয় তা খুবই সামান্য। পারিবারিক সচ্ছলতার জন্য অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ শেষ করে বাইরের কাজ করতেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে এখন সব বন্ধ। ফলে তাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। চক্ষুলজ্জায় কারোর কাছে সাহায্যও চাইতে পারছেন না তারা।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এক কোটি টাকা দিচ্ছে। অথচ আমাদের বিষয়ে কোনও খোঁজ নিচ্ছে না কেউ। বিষয়টা এমন হয়েছে, ঘরে ক্ষুধার্ত রেখে বাইরে ত্রাণ বিতরণ। আমাদের দেখার কেউ নেই।’

মাসুদুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘করোনার সময় মাস্টারোল শ্রমিকদের জন্য সহযোগিতা চেয়ে রেজিষ্ট্রার ও কোষাধ্যক্ষ বরাবর লিখিত আবেদন জমা দিতে গেলে তারা কেউই আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয়নি। এছাড়া উপ-উপাচার্য চৌধুরী জাকারিয়ার সঙ্গে দেখা করলেও তিনি বিষয়টি গ্রাহ্য করেননি। আজ সিন্ডিকেট সভা রয়েছে। আমরা  সিন্ডিকেট সদস্যদের কাছে লিখিত আবেদন জানাবো, প্রশাসন যেন করোনায় ক্যাম্পাস বন্ধ থাকা দিনগুলো কর্মদিবস হিসেবে কাউন্ট করে। আশা করছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের অবস্থা বিবেচনা করে বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করবে।’

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এম এ বারী বলেন, ‘মাস্টাররোল কর্মচারীদের পুরো মার্চ মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে। সাধারণত তাদের ২২ দিন কর্মদিবস ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনায় পুরো ৩০ দিনের বেতন দেওয়া হয়েছে। এপ্রিল মাসের ব্যাপারে সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত হবে বলেও জানান তিনি।’

/এনএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
উপজেলা নির্বাচনে নেই বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল
উপজেলা নির্বাচনে নেই বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল
মিরপুরে ‘হারল্যান স্টোর’-এর উদ্বোধন করেন নুসরাত ফারিয়া, পণ্য কিনে হতে পারেন লাখপতি
মিরপুরে ‘হারল্যান স্টোর’-এর উদ্বোধন করেন নুসরাত ফারিয়া, পণ্য কিনে হতে পারেন লাখপতি
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
রাঙামাটিতে হলো সংসদীয় কমিটির বৈঠক
রাঙামাটিতে হলো সংসদীয় কমিটির বৈঠক
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা