হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী সুমন রায় সিধু (২৩) আত্মহত্যা করেছেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। পরিবারের অর্থনৈতিক দূরাবস্থার কারণে সুমন দীর্ঘদিন থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন।
ঘটনার আগের দিন সুমন ১৮ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) তার মার কাছে কিছু টাকা চায়। টাকা না পেয়ে অভিমান করে সে। পরিবারের ধারণা ওই ঘটনার জেরেই আত্মহত্যা করেছে সুমন। ১৯ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ৫টি মাছ মারা বিষের গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে দীর্ঘক্ষণ ধানক্ষেতে পড়ে ছিলেন সুমন। ধানক্ষেতে পরে থাকা অবস্থায় দেখে এলাকাবাসী কাহারোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায় সুমনকে। এরপর অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করার পর রাত আনুমানিক ১১টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দুই ভাইবোনের মধ্যে ছোট সুমনের বাসা দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার মোকন্দপুর গ্রামে। তার বাবা ননি গোপাল রয় গত বছর লিভার ক্যান্সারে মৃত্যবরণ করেন। সুমন বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলে থাকতেন। পরিবার এবং এলাকাবাসীর দাবি সুমন দীর্ঘদিন থেকেই হতাশায় ভুগছিলেন।
তবে একথা কিছুতেই মানতে পারছে না সুমনের বন্ধুরা। সুমনের বন্ধু ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী রওনক বলেন, ‘এটা একেবারেই অসম্ভব। ওর মতো ছেলে আত্নহত্যা করবে এটা একেবারেই ভাবিনি। আমরা তার বিদেহী আত্নার মাগফিরাত কামনা করি।’
এদিকে সুমনের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে হাবিপ্রবি পরিবারে। সকলের একটাই দাবি এমন অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্য যেন আর কাউকেই স্পর্শ না করে।