X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

মানবতাবিরোধী অপরাধ: আজিজসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে তিন অভিযোগ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২২ নভেম্বর ২০১৭, ১১:৩৬আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০১৭, ১১:৪৫

ঘোড়ামারা আজিজসহ মামলার ৬ আসামি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা ও গাইবান্ধার সাবেক সংসদ সদস্য আবু সালেহ মো. আব্দুল আজিজ মিয়া ওরফে ঘোড়ামারা আজিজসহ ছয় আসামির বিরুদ্ধে আজ রায় ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।মামলার এই ছয় আসামির বিরুদ্ধে তিন অভিযোগ রয়েছে।  

আব্দুল আজিজ ছাড়াও এ মামলার অন্য আসামিরা  হলেন, রুহুল আমিন ওরফে মঞ্জু (৬১),আব্দুল লতিফ (৬১), আবু মুসলিম মোহাম্মদ আলী (৫৯),নাজমুল হুদা (৬০) এবং আব্দুর রহিম মিঞা (৬১)। আব্দুল লতিফ ছাড়া সব

আসামি পলাতক।

২০১৬ সালের ২০ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে প্রসিকিউশন। এরপর একই বছরের ২৮ জুন তাদের  বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। অভিযোগ তিনটি হলো-

অভিযোগ-১: ১৯৭১ সালের ৯ অক্টোবর সকাল আনুমানিক ৮টার দিকে  আসামিরা  পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ২৫/৩০ সদস্যকে সঙ্গে  নিয়ে গাইবান্ধা জেলার সদর থানাধীন মৌজামালি বাড়ি গ্রামে হামলা চালিয়ে চার জন নিরীহ, নিরস্ত্র স্বাধীনতার পক্ষের মানুষকে আটক,  নির্যাতন ও অপহরণ করে দাড়িয়াপুর ব্রিজে নিয়ে যায়। সেখানে গণেশ চন্দ্র বর্মন নাম একজনের  হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে দিয়ে তাকে হত্যা করে এবং ৩ জনকে ছেড়ে দেয়। এরপর আসামিরা আটককৃতদের বাড়ির মালামাল লুট করে।

অভিযোগ-২: ১৯৭১ সালের ৯ অক্টোবর বিকাল আনুমানিক ৪টার দিকে আসামিরা  গাইবান্ধার মাঠেরহাট থেকে ছাত্রলীগের নেতা বয়েজ উদ্দিনকে আটক করে মাঠেরহাটের রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে নির্যাতন করে। পরের দিন সকালে তাকে  সুন্দরগঞ্জ থানা সদরের পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে নিয়ে যায় এবং ৩ দিন আটকে রেখে নির্যাতন করার পর ১৩ অক্টোবর বিকালে গুলি করে হত্যা করে লাশ মাটি চাপা দেয়।

অভিযোগ-৩: ১৯৭১ সালের ১০ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত আসামিরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানাধীন ৫টি ইউনিয়নের নিরীহ, নিরস্ত্র স্বাধীনতার পক্ষের ১৩ জন চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে অবৈধভাবে আটক ও ৩ দিন ধরে নির্যাতন করে। এরপর তাদেরকে নদীর ধারে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে লাশগুলো মাটি চাপা দেয়।

আরও পড়ুন:

কে এই ‘ঘোড়ামারা’ আজিজ

/বিআই/এসটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
লাইসেন্সবিহীন টিভি চ্যানেল বন্ধে কার্যক্রম শুরু
লাইসেন্সবিহীন টিভি চ্যানেল বন্ধে কার্যক্রম শুরু
হামাসের রকেট হামলার জবাবে রাফাহ শহরে ইসরায়েলি অভিযান
হামাসের রকেট হামলার জবাবে রাফাহ শহরে ইসরায়েলি অভিযান
সুন্দরবনে আগুন লাগা স্থানে ধোঁয়া দেখলেই পানি দেওয়া হচ্ছে
সুন্দরবনে আগুন লাগা স্থানে ধোঁয়া দেখলেই পানি দেওয়া হচ্ছে
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
সর্বাধিক পঠিত
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?