পুলিশের বিরুদ্ধে সাংবাদিক নির্যাতনে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলাদেশ জার্নালের নিজস্ব প্রতিবেদক কিরণ শেখ জানান, সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও পল্টন থানা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কুবায়েতের তার ওপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই অপ্রীতিকর ঘটনাটি ঘটে।
কিরণ শেখ বলেন, ‘বিএনপি’র কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচির সংবাদ সংগ্রহ করতে নয়াপল্টন দলটির কার্যালয়ের সামনে আসা মাত্রই কয়েকজন পুলিশ সদস্য আমাকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। তারা আমার পরিচয় জানতে চাইলে আমি আইডি কার্ড দেখাই। এরপর অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করেতে করতে কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। এরপর শার্ট ধরে টেনে তোলে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে কেন মারধর করা হচ্ছে জানতে চাইলে তারা থাপড় দিয়ে বলে একদম চুপ কোনও কথা বলবি না।’
এই ঘটনার পর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে কর্তব্যরত গণমাধ্যমকর্মীরা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তারা বলেন, ‘স্যরি, আমাদের কিছু করার নাই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতিঝিল জোনের এডিসি আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘যখন কোনও কর্মসূচিকে ঘিরে পুলিশ মুভমেন্টে যায় সেখানে কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটতে পারে। মুভমেন্ট চলাকালে অপ্রত্যাশিত ঘটনা যতদূর সম্ভব আমরা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। তারপরও কিছু ঘটনা ঘটে যায়। কিন্তু আজকে কিরণ শেখ সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও যে ঘটনা ঘটেছে তা অপ্রত্যাশিত। আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এডিসি স্যারও স্যরি বলেছেন। তারপর তো আর কিছুই করার থাকে না।’
এছাড়া সমকালের রিপোর্টার কামরুল হাসানকে আটক করলে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতিবাদের মুখে তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ।