X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

মন্ত্রিপরিষদে তিনটি আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৮ মার্চ ২০১৯, ১৫:৫৫আপডেট : ১৮ মার্চ ২০১৯, ১৫:৫৯

মন্ত্রিপরিষদেরবৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী (ছবি- ফোকাস বাংলা) মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে বাংলাদেশ সুগার ক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন-২০১৯,  মৎস্য ও মৎস্য পণ্য (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৯ ও বাংলাদেশ বাতিঘর আইন-২০১৯   এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।  সোমবার (১৮ মার্চ) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব  জানান, ১৯৯৬ সালের ইক্ষু গবেষণা আইনের মাধ্যমে এই সেক্টরটি এতদিন চলেছে। আগে শুধু ইক্ষু দিয়ে চিনি উৎপাদন করা হতো। এখন ইক্ষু ছাড়াও তাল, গোলপাতা ইত্যাদি দিয়েও চিনি উৎপাদিত হচ্ছে। যদি শুধু ইক্ষু আইন রাখা হয়, তাহলে অন্য উপাদানগুলো নিয়ে গবেষণা করা হবে না। সুগার ক্রপ আইনের মাধ্যমে  যেসব শস্য দিয়ে চিনি তৈরি হয়, তার সবকিছু নিয়ে গবেষণা করা হবে। এ কারণে এর নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এই আইনে বিদ্যমান কমিটিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের  একজন প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়া, মৎস্য ও মৎস্য পণ্য (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৯ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ১৯৮৩ সালের অধ্যাদেশের মাধ্যমে এই সেক্টরটি এতদিন পরিচালিত হয়েছে। এটি সামরিক সরকারের সময় করা।  অধ্যাদেশটি ছিল ইংরেজিতে । উচ্চ আদালতের অনুশাসন অনুযায়ী, সব অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করার বাধ্যবাধকতা থাকায় এটিকে আইনে পরিণত করা হয়েছে। একই সঙ্গে এটিকে বাংলা থেকে ইংরেজিতে করা হয়েছে।

তিনি জানান, এ আইনে মৎস্য খাতের বিস্তারিত সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। মৎস্য পণ্যে কোনও কিছুর মিশ্রণ ও ভেজাল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটি অমান্য করলে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ লাখ টাকর জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এর আগে ছিল তিন মাসের দণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা।

তিনি আরও জানান, মাছ আমদানির ক্ষেত্রে লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে। এই আইনে লাইসেন্স ব্যতিরেকে মৎস্য জাতীয় প্রাণি আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব  জানান, বাংলাদেশ বাতিঘর আইন-২০১৯ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এটি ১৯২৭ সালের আইন দিয়ে এতদিন পরিচালিত হয়েছে। বাংলাদেশের বন্দর কর্তৃপক্ষ এই বাতিঘর পরিচালনা করে থাকে। জাহাজ আগমন এবং প্রত্যাগমনের সুবিধার্থে বাতিঘর পরিচালিত হয়।

তিনি আরও জানান, জাহাজ আগমন এবং প্রত্যাগমনের ক্ষেত্রে জাহাজ কর্তৃপক্ষকে বাতিঘর মাশুল পরিশোধ করতে হবে। মাশুল কত হবে, তা সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানানো হবে। যে জাহাজ বাতিঘর মাশুল দেবে না, ওই জাহাজকে এই আইনের বলে আটক করা যাবে। তবে মাশুল পরিশোধ করলে জাহাজ ছেড়ে দেওয়া হবে।

 

/এসআই/এসএসএ/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
খুলনায় আড়াই ঘণ্টার বৃষ্টিতে শহরে জলাবদ্ধতা
খুলনায় আড়াই ঘণ্টার বৃষ্টিতে শহরে জলাবদ্ধতা
রৌমারীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর প্রতিপক্ষের হামলা
রৌমারীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর প্রতিপক্ষের হামলা
টেকনাফে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
টেকনাফে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ ছিল এক ঘণ্টা
ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ ছিল এক ঘণ্টা
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস