X
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
২১ বৈশাখ ১৪৩১

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কেতাবি কথা: রুমিন ফারহানা

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৮ জুলাই ২০১৯, ২০:৪১আপডেট : ০৮ জুলাই ২০১৯, ২১:২৬



রুমিন ফারহানা (ফাইল ছবি) সংবিধানের ১১৫ ও ১১৬ অনুচ্ছেদের কারণে নিম্ন আদালত কার্যত এখনও সরকারের অধীনে রয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সেপারেশন অব পাওয়ার কেতাবি কথা ছাড়া আর কিছু নয়।’সোমবার (৮ জুলাই) সংসদে জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কিত বাতিল নোটিশের ওপর বক্তব্যের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

রুমিন ফারহানা বলেন, ‘রাষ্ট্রের তিন অঙ্গ যদি স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারে, তবে তা রাষ্ট্রের জন্য সমূহ বিপদ ডেকে আনতে পারে।’

বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়ার বিচার প্রসঙ্গ তুলে এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধ দেওয়া মামলার মেরিট, তার বয়স, সামাজিক অবস্থান, শারীরিক অবস্থা ও জেন্ডার—যেকোনও বিবেচনায় বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী জামিন তার অধিকার। কিন্তু তিনি যেন সহজে মুক্তি না পান, তাই একের পর এক মামলা নতুনভাবে তার সামনে আনা হচ্ছে। এক–এগারোর সময় দুই বৃহৎ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের নামে মামলা হয়েছে। এরপর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটি করে তাদের নেতাকর্মীদের মামলা তুলে নেয়। সেসব মামলার সঙ্গে নতুন করে বিএনপির ২৬ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এক লাখ মামলা হয়েছে। নির্বাচনের আগে আগে নতুন করে শুরু হয়েছে গায়েবি মামলা নামের এক ধরনের মামলা। যে মামলায় মৃত ব্যক্তি, বিদেশে থাকা ব্যক্তি, পঙ্গু ব্যক্তিরাও আসামি আছেন।’

সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার উদ্বৃতি দিয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘তিনি বলেছেন দেশে আইনের শাসন নেই। সরকার নিম্ন আদালতকে কব্জা করার পর হাত বাড়িয়েছে উচ্চ আদালতের দিকে। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের কারণে তাকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। সেই রায়ে তিনি বলেছিলেন, ডুবন্ত বিচার বিভাগ কোনও রকমে নাক উঁচু করে টিকে আছে। এস কে সিনহা আরও বলেছিলেন আমিত্বের দম্ভের কথা। নিম্ন আদালতের যে বিচারক তারেক রহমানকে খালাস দিয়েছিলেন, তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল।’

পরে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত মইনউদ্দীন খান বাদল বলেন, ‘সংসদ কথা বলার জায়গা। এখানে সবাই কথা বলবেন। কিন্তু সে জন্য কিছু বিধি-বিধান আছে।’ কারও জামিনের বিষয় জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে পারে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

/ইএইচএস/এমএনএইচ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সম্পূর্ণ দুর্ভিক্ষের কবলে উত্তর গাজা: ডব্লিউএফপি প্রধান
সম্পূর্ণ দুর্ভিক্ষের কবলে উত্তর গাজা: ডব্লিউএফপি প্রধান
মিল্টন সমাদ্দারের তিন মামলার বাদীর মুখেই কুলুপ
মিল্টন সমাদ্দারের তিন মামলার বাদীর মুখেই কুলুপ
চিনি-লবণ মিশিয়ে নকল প্যাকেটে স্যালাইন তৈরি, গ্রেফতার ৩
চিনি-লবণ মিশিয়ে নকল প্যাকেটে স্যালাইন তৈরি, গ্রেফতার ৩
জিকোর কপালে গভীর ক্ষত, সার্জারির পর হাসপাতালে ভর্তি 
জিকোর কপালে গভীর ক্ষত, সার্জারির পর হাসপাতালে ভর্তি 
সর্বাধিক পঠিত
জাল দলিলে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ!
জাল দলিলে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ!
মিল্টনের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের এখন কী হবে
মিল্টনের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের এখন কী হবে
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
বিসিএসে সফলতায় এগিয়ে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা
বিসিএসে সফলতায় এগিয়ে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা
চট্টগ্রামে যান চলাচলের জন্য প্রস্তুত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
চট্টগ্রামে যান চলাচলের জন্য প্রস্তুত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে