X
রবিবার, ২৬ মে ২০২৪
১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

৬ মাসে শেষ করতে হবে ধর্ষণের বিচার, সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১২ অক্টোবর ২০২০, ১৪:৫৬আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২০, ১৫:৫২

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম (ফাইল ছবি)

‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২০’ চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে। অধ্যাদেশে সর্বোচ্চ শাস্তি করা হয়েছে মৃত্যুদণ্ড। মামলা শুরু থেকে বিচার শেষ করতে হবে ছয় মাস বা ১৮০ দিনের মধ্যে। বিচারক বদলি হলেও মামলার ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। সোমবার (১২ অক্টোবর) মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে সীমিত আকারে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ কথা জানান।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যরা সচিবালয় থেকে ভার্চুয়াল এই সভায় যোগ দেন।
মামলাটি কতদিনের মধ্যে শেষ করতে হবে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটি ১৮০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত আছে। তদন্ত বিচার পদ্ধতি সবকিছুই এর মধ্যে উল্লেখ রয়েছে। নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল এটি করবে এবং শেষ করতে হবে ১৮০ দিনের মধ্যে। বিচারক যদি কোনও কারণে বদলি হয়ে যান সেক্ষেত্রেও বিলম্ব হয় অনেক সময়। তবে কোনও বিচারক চলে গেলে তিনি মামলা যে অবস্থায় রেখে যাবেন সে অবস্থা থেকে মামলা চালিয়ে যেতে হবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, গত কিছু দিনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয় ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০০০’-এর খসড়া অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়। আইনের ৯(১) ধারায় পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করা হয়েছিল। নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ প্রতিরোধে এই ধারায় ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন  সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছিল। এতে প্রধানমন্ত্রীসহ সবাই এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন। তবে যেহেতু এখন সংসদের অধিবেশন নেই এবং আশু ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে, তাই রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাবলে অধ্যাদেশ করতে পারবেন। ভেটিংয়ের পরিপ্রেক্ষিতে ফাইনাল কার্যকর হয়ে যাবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এ সংশোধনী শুধু আন্দোলনের প্রেক্ষিতে নয়, বিভিন্ন দেশের সার্বিক পরিস্থিতি আমরা দেখেছি। আমাদের বর্তমান পরিস্থিতিসহ সবকিছু মিলিয়েই এ সিদ্ধান্ত এসেছে। সরকারের পক্ষ থেকেও এটি আলোচনায় এসেছে। মানুষের অ্যাওয়ারনেসটাই গুরুত্বপূর্ণ।’

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, ‘এই সংশোধনীর ফলে মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে ব্যাপক ক্যাম্পেইন হচ্ছে। এর ফলে একটি পজিটিভ ইমপ্যাক্ট পড়বে সাধারণ মানুষের মধ্যে। যারা এই ক্রাইমটি করবে তারা চিন্তা করবে এতে তো মৃত্যুদণ্ডের আদেশ রয়েছে।’

 

/এসএমএ/এমআর/এমএমজে/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত সত্ত্বেও ঝুঁকি নিয়ে খেয়া পারাপার
১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত সত্ত্বেও ঝুঁকি নিয়ে খেয়া পারাপার
চেজ ঝড়ের পর মোটির স্পিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিরিজ জয়
চেজ ঝড়ের পর মোটির স্পিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিরিজ জয়
ধানমন্ডিতে হকারদের সড়ক অবরোধ
ধানমন্ডিতে হকারদের সড়ক অবরোধ
নীরবতা ভাঙলেন ঐশী
নীরবতা ভাঙলেন ঐশী
সর্বাধিক পঠিত
ব্যক্তি পর্যায়ের কর হার বাড়বে
ব্যক্তি পর্যায়ের কর হার বাড়বে
এমপি আনার হত্যা: কে এই সিলিস্তা রহমান?
এমপি আনার হত্যা: কে এই সিলিস্তা রহমান?
সর্বজনীন পেনশন স্কিমে যুক্ত হলেন কেএসআরএমের ১ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী
সর্বজনীন পেনশন স্কিমে যুক্ত হলেন কেএসআরএমের ১ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী
বেনজীরের বাঁচার উপায় কী
বেনজীরের বাঁচার উপায় কী
সান ফার্মার নতুন কারখানা উদ্বোধন করলেন সালমান এফ রহমান
সান ফার্মার নতুন কারখানা উদ্বোধন করলেন সালমান এফ রহমান