X
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
২০ আষাঢ় ১৪৩২

কানেকটিভিটিতে লাভ দেখছে বাংলাদেশ

শেখ শাহরিয়ার জামান
০৪ মার্চ ২০২১, ২২:৩৫আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২১, ২২:৩৬

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কার্যকর কানেকটিভিটির মধ্যে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয় শংকর। তিনি মনে করেন, যদি তথ্য, বাণিজ্য ও অর্থনীতির বিভিন্ন স্তরে যোগাযোগটা আরও পোক্ত করা যায়, তবে এই অঞ্চলের সামগ্রিক ভূ-অর্থনীতির চেহারাই বদলে যাবে। আর এই পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রাখতে পারে বঙ্গোপসাগর।

বাংলাদেশকে আঞ্চলিক ‘কানেকটিভিটি সেন্টার’ হিসেবে গড়ে তোলাকে লাভজনকই মনে করছে সরকার। এ কারণে ভারত, মিয়ানমারসহ এ অঞ্চলের অন্য দেশগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে প্রস্তুত ঢাকা।

জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, “এ বিষয়টাকে উইন-উইন (দুতরফা লাভ) দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা দরকার। ‘ভারত সব নিয়ে যাচ্ছে’ এই মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সবদেশই তাদের জাতীয় স্বার্থে পদক্ষেপ নেয়। বাংলাদেশ বা ভারত ব্যতিক্রম নয়। আমরা কিভাবে এই কানেকটিভিটির মাধ্যমে লাভ বের করে আনতে পারি সেটা আমাদের ঠিক করতে হবে।”

কেন কানেকটিভিটি?

২০২১ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বের হয়েছে বাংলাদেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বিশ্বের কাতারে পৌঁছানোই পরবর্তী লক্ষ্য।

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘এটি করতে হলে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে টেকসইভাবে এগুতে হবে। বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থায় ৭-৮ শতাংশ হারে আগানো সম্ভব। বাড়তি দুই শতাংশ অর্জনে বাড়তি কিছু করতে হবে। এই বাড়তিটাই হচ্ছে কানেকটিভিটি ও তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন।’

উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের মাতারবাড়িতে জাপান বড় আকারে বিনিয়োগ করছে। যেখানে গভীর সমুদ্রবন্দর, বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ অনেক কিছু হচ্ছে। ওই অঞ্চলে যা হচ্ছে, তা যদি শুধু অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে ব্যবহৃত হয়, তবে অনেক সক্ষমতা অব্যবহৃত অবস্থায় থাকবে। এক্ষেত্রে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও কানেকটিভিটির মাধ্যমে এর পূর্ণ ব্যবহার সম্ভব।’

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘গত মাসে জয় শংকর আসাম সফরের সময় কানেকটিভিটি নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। ওই সময় ভারতে জাপানের রাষ্ট্রদূত তার সঙ্গে ছিলেন। আমার সঙ্গেও গত সপ্তাহে জাপানের পররাষ্ট্রসচিবের বৈঠকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিষয়ে তাদের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন।’

শুধু মাতারবাড়ি নয়, পটুয়াখালীতে পায়রা বন্দর বা রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো বড় প্রকল্প যখন শেষ হবে তখন অভ্যন্তরীণ চাহিদা দিয়ে এর পূর্ণ ব্যবহার সম্ভব হবে না। তখন আমাদের অন্য সম্ভাবনা খুঁজে দেখতে হবে বলেও তিনি জানান।

কানেকটিভিটিতে কী হবে?

পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘আমরা কতগুলো পয়েন্ট চিহ্নিত করেছি। ভারতও করেছে। এগুলোর সংযুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে। এর মধ্যে কোনটি বাংলাদেশের জন্য বেশি আর কোনটি কম লাভজনক, তা খুঁজে বের করতে হবে।’

পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে কমপ্রিহেনসিভ ইকনোমিক পার্টনারশিপ চুক্তি করতে যৌথ গবেষণার জন্য সম্মত হয়েছে দুই দেশ।

তিনি বলেন, ‘আমরা স্বল্পোন্নত তালিকা থেকে বের হয়েছি। এখন বড় লিগে খেলতে হবে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের বাণিজ্যিক চুক্তি করতে হবে। তারা আমাদের কিছু সুবিধা দেবে, বিনিময়ে আমরা কিছু দেবো। আগের মতো একতরফা সুবিধা পাওয়া যাবে না।’

/এফএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সমস্যা মানেই অসুখ নয়: মেডিক্যালাইজেশন কি বাংলাদেশের নতুন ব্যাধি?
সমস্যা মানেই অসুখ নয়: মেডিক্যালাইজেশন কি বাংলাদেশের নতুন ব্যাধি?
দুই ভাইয়ের বিরোধে মুরাদনগরের সেই ঘটনার ভিডিও ছড়ানো হয়: র‌্যাব
দুই ভাইয়ের বিরোধে মুরাদনগরের সেই ঘটনার ভিডিও ছড়ানো হয়: র‌্যাব
গাজায় যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাবের নিশ্চয়তা চায় হামাস
গাজায় যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাবের নিশ্চয়তা চায় হামাস
জুলাই আন্দোলনে নিহত ৬ সাংবাদিক: কেমন আছে তাদের পরিবার
জুলাই আন্দোলনে নিহত ৬ সাংবাদিক: কেমন আছে তাদের পরিবার
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি
খেলাপিতে ধসে পড়ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান: বিপদে আমানতকারীরা
খেলাপিতে ধসে পড়ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান: বিপদে আমানতকারীরা
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল