থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপ-প্রধানমন্ত্রী ডন প্রামোদউইনেই বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দ্রুত, নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন। মিয়ানমারের সঙ্গে ব্যাংককের ‘বন্ধুত্ব ও প্রভাব’ কাজে লাগানোর জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের অনুরোধ করার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এই আশ্বাস দিয়েছেন।
বুধবার (২ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার ব্যাংককে তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্র সচিব এ আহ্বান জানান। সাক্ষাৎকালে তারা উভয়ই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষ্যে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং দুটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের জনগণের পারস্পরিক কল্যাণে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ককে আরও জোরদার করার ওপর জোর দেন।
এর আগে একই দিনে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ফরেন অফিস কনসালটেশনের (এফওসি) দ্বিতীয় দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব এবং তার থাইল্যান্ডের পক্ষে থানি থংফাকদি আলোচনায় নিজ নিজ দেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন যেখানে দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
উভয়পক্ষই 'কৌশলগত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব' গঠনের জন্য বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) সম্ভাবনার উপর একটি যৌথ সম্ভাব্যতা যাচাই করার ওপর জোর দিয়েছে।
এসময় বাংলাদেশ পক্ষ রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার জন্য ফলপ্রসূ উপায়ে আসিয়ান প্রক্রিয়ার কার্যকর সম্পৃক্ততার মাধ্যমে অগ্রসর করার জন্য থাইল্যান্ডের প্রতি তাদের প্রভাব ব্যবহার করার তাগিদ পুনর্ব্যক্ত করেছে।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে যে, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় আসিয়ানের সম্পৃক্ততা নিঃসন্দেহে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার আশ্বাস দেবে যা তাদের নিজ ভূখণ্ড রাখাইনে স্বেচ্ছায় ফিরে যেতে উৎসাহিত করতে পারে।
উভয়পক্ষ সংশ্লিষ্ট দেশে বায়ো-সার্কুলার গ্রিন ইকোনমিক মডেল এবং মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং উন্নয়নের জন্য আরও সমন্বয় ঘটাতে সম্মত হয়েছে।