X
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

বেসরকারি মেডিক্যালে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত হবে ১:১০, সংসদে বিল

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
৩০ মার্চ ২০২২, ১৫:৫৩আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২২, ১৫:৫৩

বেসরকারি মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজে ১০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক থাকার বাধ্যবাধকতা রেখে সংসদে ‘বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ বিল-২০২২’ তোলা হয়েছে।

বুধবার (৩০ মার্চ) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বিলটি সংসদে উত্থাপন করলে তা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন আকারে দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

গত বছরের ৩ মে খসড়া এই আইনটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজগুলো এখন বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনা এবং অপারেশন গাইডলাইনস-২০১১ এবং বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ প্রতিষ্ঠা এবং অপারেশন গাইডলাইনস-২০০৯–এর অধীনে পরিচালিত হচ্ছে।

এই দুটি নীতিমালার ওপর ভিত্তি করে নতুন আইনের খসড়া করা হয়েছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।

বিলে বলা হয়েছে, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ বা ডেন্টাল কলেজের প্রত্যেক বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত হবে ১:১০। এসব প্রতিষ্ঠানে কোনও বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষকের সংখ্যা সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমোদিত পদের শতকরা ২৫ শতাংশের বেশি রাখা যাবে না।

খসড়া আইনে বলা হয়েছে, মেডিক্যাল বা ডেন্টাল কলেজের পাঁচ শতাংশ আসন অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। প্রতি শিক্ষাবর্ষে এই আসনে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের তালিকা ভর্তি শেষ হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে সরকারকে জানাতে হবে।

বেসরকারি মেডিক্যাল বা ডেন্টাল কলেজ অন্যূন ৫০ জন শিক্ষার্থীর আসন বিশিষ্ট হতে হবে। বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের জন্য মেট্রোপলিটন এলাকায় কমপক্ষে দুই একর এবং ডেন্টাল কলেজের জন্য এক একর জমি থাকতে হবে। অন্য এলাকায় এই জমির পরিমাণ চার একর ও দুই একর হতে হবে বলে বিলে বিধান রাখা হয়েছে।

এই জমি সংশ্লিষ্ট কলেজের নামে নিরঙ্কুশ, নিষ্কণ্টক, অখণ্ড ও দায়মুক্ত হতে হবে। মেডিক্যাল কলেজ বা ডেন্টাল কলেজ এবং এর অধীন পরিচালিত হাসপাতাল কোনোভাবেই ইজারা বা ভাড়া নেওয়া জমিতে বা ভবনে স্থাপন করা যাবে না।

বিলে বলা হয়েছে, মেডিক্যাল কলেজের নামে অন্যূন তিন কোটি টাকা এবং বেসরকারি ডেন্টাল কলেজের নামে দুই কোটি টাকা যে কোনও তফসিলি ব্যাংকে সংরক্ষিত থাকতে হবে। এরই মধ্যে স্বীকৃতি পাওয়া মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজের নামে এক কোটি টাকা জমা থাকতে হবে।

তবে ৫০ আসনের অধিক অতিরিক্ত প্রতি আসনের জন্য মেডিক্যাল কলেজের ক্ষেত্রে তিন লাখ টাকা এবং ডেন্টাল কলেজের জন্য দুই লাখ টাকা সংরক্ষিত তহবিল হিসেবে জমা থাকতে হবে। ব্যক্তি নামে মেডিক্যাল বা ডেন্টাল কলেজের ক্ষেত্রে আরও এক কোটি টাকা সংরক্ষিত তহবিল হিসাবে জমা থাকতে হবে।

প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, প্রত্যেক বেসরকারি মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজের সকল শিক্ষার্থীর ভর্তি ফি সরকার নির্ধারণ করবে।

কোনও মেডিক্যাল বা ডেন্টাল কলেজ কাউন্সিলের অনুমোদন না নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করলে এক বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। পাঁচ শতাংশ আসন অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য না রাখলে এবং অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করলে একই দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

সরকারের অনুমতি ছাড়া নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি করলে ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

বিলটি আইন হিসেবে কার্যকর হওয়ার এক বছরের মধ্যে আগে স্থাপিত মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজগুলোকে এ বছরের মধ্যে বিধান মেনে অনুমোদন নিতে হবে।

 /ইএইচএস/এমএস/
সম্পর্কিত
কৃষকরাই অর্থনীতির মূল চলনশক্তি: স্পিকার
কৃষিজমি সুরক্ষা ও ব্যবহার আইন দ্রুত পাস করতে সংসদকে হাইকোর্টের পরামর্শ
সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন আগামী মাসে
সর্বশেষ খবর
পাট পণ্যের উন্নয়ন ও বিপণনে সমন্বিত পথনকশা প্রণয়ন করা হবে: মন্ত্রী
পাট পণ্যের উন্নয়ন ও বিপণনে সমন্বিত পথনকশা প্রণয়ন করা হবে: মন্ত্রী
বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে চাপা দেওয়া বাসটির ফিটনেস ছিল না
বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে চাপা দেওয়া বাসটির ফিটনেস ছিল না
ঢাকা ছেড়েছেন কাতারের আমির
ঢাকা ছেড়েছেন কাতারের আমির
জাহাজেই দেশে ফিরবেন এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক
জাহাজেই দেশে ফিরবেন এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
৭ দফা আবেদন করেও প্রশাসনের সহায়তা পায়নি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট
৭ দফা আবেদন করেও প্রশাসনের সহায়তা পায়নি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট