‘জীবনটা অনেক কষ্টের ছিল। বাবা তিনটা বিয়ে করেছে। আমি প্রথম ঘরের সন্তান। অন্য সন্তান যারা আছে সবাই কিছু না কিছু করতে পেরেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ঘর দিয়েছেন। ঘরটা আমি নিজের মতো করে সাজিয়েছি। মাকে খাট কিনে দিয়েছি। টিভি কিনেছি, ফ্রিজ কিনেছি, শরবত খাওয়ার জন্য ব্লেন্ডার কিনেছি।’ বললেন হ্যাপি।
হ্যাপি আরও বলেন, ‘২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী যখন আমাকে একটা বাসস্থান করে দেন, তখন থেকেই ভাই-বোন সবাইকে নিয়ে এলাকায় বাস করছি।’
‘আগের আয় দিয়ে জীবন চলতো না। নানা জনের কাছে ১০ টাকা ২০ টাকা চাইতাম। একজন দিলো তো আরেকজন দিলো না। কেউ ধাক্কা দিতো, কেউ গালি দিতো। এখন আমি নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছি।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন জানায়, সদর উপজেলার খাটিহাতা আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ২ শতক জমিসহ আধাপাকা ঘর পেয়ে পরিবার নিয়ে বাস করছেন হ্যাপি।
তার মা আনোয়ারা বেগম বাড়ির পাশে সবজি চাষ করছেন। ছোট ভাইদের রিকসা ও ভ্যান কিনে দিয়েছেন হ্যাপি। এতে ওরাও সাবলম্বী হচ্ছে। হ্যাপি তার এক খালা ও প্রতিবন্ধী খালাতো ভাইয়েরও দেখাশোনা করছেন।
খাটিহাটা আশ্রয়ণ প্রকল্পের স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হ্যাপির এ নতুন জীবনকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে সবাই। স্থানীয়রা তার দোকান থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও কিনছেন।
এলাকার বাসিন্দা মাসুদ জানান, আমাদের এলাকার সবারই ওই দোকানে যাতায়াত আছে। কেউ চা খায়, কেউ গল্প করে। কেউ টুকটাক জিনিসপত্র কেনে। তার এই পরিবর্তন দেখে এলাকার মানুষ খুশি।