X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক পুরস্কার: ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের প্রশংসা

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০১ অক্টোবর ২০২২, ১৫:২৬আপডেট : ০১ অক্টোবর ২০২২, ১৯:৪১

২০২০ সালে উদ্ভাবন অর্থনীতি খাতে ‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরস্কার’ প্রণয়ন করে বাংলাদেশ। এই পুরস্কারের মাধ্যমে উদ্ভাবনী সংস্কৃতিকে উৎসাহিত করা হয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশকে সাধুবাদ জানানো হয়েছে ইউনেস্কোর এক সম্মেলনে। সম্মেলন শেষে গৃহীত চূড়ান্ত ঘোষণাপত্রে বাংলাদেশের প্রশংসা করা হয়।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে বৈশ্বিক সাংস্কৃতিক নীতিমালা গঠনের ওপর বিশ্ব নেতাদের ঐকমত্যের মধ্য দিয়ে ইউনেস্কো-মন্ডিয়াকল্ট ২০২২ সম্মেলনের পর্দা নামলো। ২৮ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় সংস্কৃতি ও টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক এই সম্মেলন। আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনে বিশ্বের ১৫০টি দেশ থেকে ১৩৬ জন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ের নেতা, কূটনীতিক, সংস্কৃতিকর্মী, সংগঠক এবং সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা অংশ নেন। সম্মেলনে বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, ফ্রান্স ও ইউনেস্কোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা এবং প্রথম সচিব মো. ওয়ালিদ বিন কাশেম অংশ নেন। শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদকে ‘উদ্ভাবন অর্থনীতির ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক মন্ত্রী-পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দিতে আমন্ত্রণ জানানো হলে তিনি ২০২০ সালে উদ্ভাবন অর্থনীতি খাতে ‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরস্কার’ প্রণয়নের সুযোগ দেওয়ার জন্য ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আরও বলেন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বাস্তবায়নে উদ্ভাবন অর্থনীতি একটি নবায়নযোগ্য নিয়ামকের ভূমিকা পালন করবে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অবহেলিত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সুরক্ষা দিতে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এ সময় প্রতিমন্ত্রী খালিদ বিশ্ব নেতাদের নিরাপদ, দায়িত্বশীল ও নিয়ন্ত্রিত সংস্কৃতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

সম্মেলন শেষে গৃহীত চূড়ান্ত ঘোষণাপত্রে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি উদ্ভাবন অর্থনীতিকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য একমত পোষণ করা হয়। এ বিষয়ে পুরস্কার দেওয়ার মাধ্যমে উদ্ভাবনী সংস্কৃতিকে উৎসাহিত করার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বাংলাদেশকে সাধুবাদ জানানো হয়।

পাশাপাশি শিক্ষা ও সংস্কৃতিকে একে অন্যের পরিপূরক হিসেবে চিহ্নিত করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংস্কৃতি বিষয়ক পাঠদানের আহ্বান জানানো হয়। এছাড়াও ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সব দেশে সংস্কৃতি নীতিমালা প্রণয়ন ও প্রয়োজন মোতাবেক হালনাগাদ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে গত ২০০৬ সালে জাতীয় সংস্কৃতি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছিল। বর্তমানে এর যুগপোযোগীকরণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

২০১৫ সালে জাতিসংঘে গৃহীত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী পরিচালিত বিশদ কর্মপরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় ইউনেস্কো এই সম্মেলনের আয়োজন করে। ১৯৮২ সালে সর্বশেষ মেক্সিকোতে এ রকম সংস্কৃতি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল।

 

 

 

/এসটিএস/আরকে/এফএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
টেকনাফে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
টেকনাফে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ ছিল এক ঘণ্টা
ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ ছিল এক ঘণ্টা
‘স্বাভাবিক পরিবেশে বাঁচতে প্রত্যেককে গাছ রোপণ করতে হবে’
‘স্বাভাবিক পরিবেশে বাঁচতে প্রত্যেককে গাছ রোপণ করতে হবে’
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা