মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামান ছিলেন বঙ্গবন্ধুর যোগ্য সহকর্মী। তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হলে অনেকেই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সাসঙ্গে আঁতাত করে। জাতীয় চার নেতা জীবন দিয়েছেন, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হতে বিচ্যুত হননি।’
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে তিনি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন বঙ্গবন্ধু চেয়ার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, লেখক ও গবেষক অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, বিশেষ আলোচক ছিলেন এডিটার্স গিল্ড-এর সভাপতি মোজাম্মেল হক বাবু। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রঞ্জিত কুমার দাস, অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক মো. জহুরুল ইসলাম রোহেলসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা, জাতীয় চার নেতা হত্যা, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে ২১ বার হত্যাচেষ্টা একই সূত্রে গাঁথা।’
মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে হত্যা করার জন্য এসব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। বঙ্গবন্ধুর খুনিরা বুঝতে পেরেছিল বঙ্গবন্ধুর রক্তের কিংবা আদর্শের উত্তরাধিকার বেঁচে থাকলে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি আবার তাদেরকে ঘিরে সংগঠিত হবে। এজন্য বঙ্গবন্ধুর খুনিরাই চার নেতাকে জেলখানার মতো সুরক্ষিত জায়গাতে হত্যা করে।’
অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘জাতীয় চার নেতা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবিচল ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালে বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে এ চার নেতা যোগ্য নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে তাদের ওপর স্বাধীনতাবিরোধীদের ক্ষোভ বেশি ছিল।’
এ সময় বক্তারা বাংলাদেশ সৃষ্টিতে জাতীয় চার নেতার অবিস্মরণীয় অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।