রাজধানীর বেইলি রোডে শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে উদ্বোধন করা হলো খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের দুটি বিক্রয় ও প্রদর্শনীকেন্দ্র। যার একটির পরিচালনায় ছিল সিএইচটি গ্রুপ ও অন্যটির রেং হিল অব এসেন্স ।
সোমবার (১৩ মে) রাতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহ্য হস্ত ও কারুশিল্পের দৃষ্টিনন্দন পণ্যসামগ্রীর বিক্রয় ও প্রদর্শনীকেন্দ্র দুটি উদ্বোধন করেন।
মঙ্গলবার (১৪ মে) পার্বত্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অনুষ্ঠানে টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান সুদত্ত চাকমা, ট্যুরিস্ট বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিআইজি বিধান ত্রিপুরা, দৈনিক প্রতিদিনের চিত্র পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক অয়ন আহমেদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা রাজীব ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব খগেন্দ্র ত্রিপুরা এবং ইউএনডিপি’র আইটি অ্যাসোসিয়েট এ.এ. মং উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, বেইলি রোডের পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সের বিপণিবিতানগুলোতে সব সম্প্রদায়ের মানুষের ব্যবহারযোগ্য পোশাক, পাহাড়ি অঞ্চলে উৎপাদিত ফরমালিন ও বিষমুক্ত মৌসুমি ফল, খাদ্যপণ্য ও হস্তশিল্প সামগ্রী পাওয়া যাবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স বিক্রয়কেন্দ্রের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অত্যন্ত মহৎ। এই বিক্রয়কেন্দ্র রাজধানীতে বসবাসরত তিন পার্বত্য জেলার অধিবাসী এবং দেশি-বিদেশি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
রাজধানীর বুকে, বেইলি রোডের প্রাণকেন্দ্রে পাহাড়িদের উৎপাদিত হস্তশিল্প সামগ্রী এবং ফরমালিনমুক্ত অর্গানিক ফুড ও মসলার সমাহার থাকবে এই বিক্রয়কেন্দ্রে। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় উৎপাদিত হলুদ, মরিচ, পেঁপে, মুড়ি, খই, ড্রাই আম, নারকেল তেল, ঘি, বাঁশের তৈরি তৈজসপত্র, পার্বত্য জেলার ঐতিহ্যবাহী পোশাক-পরিচ্ছদ, যেমন- ত্রিপুরাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক রিনাই ও রিসা, মাটির টব, বার্মিজ লুঙ্গি, মার্মাদের ঐতিহ্যবাহী থামি কাপড়, মাছ ধরার লুই, বাঁশি, বেতের ঝুড়ি (কাবাং), লাল বিন্নি চাল, সাদা বিন্নি চাল, হরেক রকম সবজি ও আখের গুড়সহ নানা রকমের খাদ্যপণ্য পাওয়া যাবে এখানে। বিক্রয়কেন্দ্রগুলো থেকে মারমা, চাকমা, ত্রিপুরা, ম্রো, তঞ্চগ্যা, বাঙালি, অহমিয়া, খেয়াং, খুমি, গুর্খা, চাক, পাংখোয়া, বম, লুসাই, রাখাইন ও সাঁওতালসহ সব সম্প্রদায় তাদের পছন্দমতো জিনিসপত্র কেনাকাটা করতে পারবেন। আশার কথা হলো, পার্বত্য চট্টগ্রামের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য দেশ ও বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের বিশেষ উদ্যোগে এই বিক্রয় ও প্রদর্শনীকেন্দ্র পরিচালিত হবে। এ বিক্রয় ও প্রদর্শনীকেন্দ্র দুটি সারা বছর ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের জন্য সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা রাজধানীর বেইলি রোডস্থ পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স বিক্রয়কেন্দ্রে সবাইকে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।