X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১

ড্যাশ-৮ বিমানের যত দুর্ঘটনা

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১২ মার্চ ২০১৮, ২০:৪৫আপডেট : ১৩ মার্চ ২০১৮, ০১:৫৪

ইউএস এয়ারলাইনসের ড্যাশ-৮ কিউ-৪০০ মডেলের উড়োজাহাজ। (ছবি-সংগৃহীত)

নেপালে ইউএস বাংলার যে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেটি কানাডার বোম্বাডিয়ার কোম্পানির তৈরি ড্যাশ-৮ কিউ-৪০০ মডেলের। আকাশপথে বিশ্বের বিভিন্ন রুটে এই উড়োজাহাজ চলাচল করে। তবে এই মডেলের বিমানের বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই বিমান দুর্ঘটনা কবলিত হয়েছে। নেপালে বিধ্বস্ত ইউএস বাংলার বিমানটি ১৬ বছরের পুরাতন।

ড্যাশ-৭ ও ড্যাশ- ৮ এর যত বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা: 

১৯৮২ সালে ৯ মে ইয়েমেনের এডেনের কাছেই এই মডেলের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সাগরে পড়ে যায় বিমানটি। এতে ২১ যাত্রী ও ২ ক্রু প্রাণ হারান। এর ছয় বছর পর নরওয়েতে আবারও ড্যাশ সেভেন মডেলের বিমান দুর্ঘটনা কবলিত হয়। এতে ৩৬ জন আরোহীর সবাই নিহত হন।

বোমবার্ডিয়ার ড্যাশ-৮ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটে ১৯৮৭ সালে। সে বছরের ১৯ জুন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে যাওয়ার পথে ইঞ্জিন বিস্ফোরিত হয় বিমানটির। আগুন লেগে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। তবে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল যাত্রী ও ক্রুদের। গুরুতর আহত হয়েছিলেন চারজন।

একবছর বছরপরই আবারও দুর্ঘটনায় পড়ে এই মডেলের বিমান। যাত্রাপথ এবারও একই। হাইড্রলিক সিস্টেমে আগুন ধরে যায়। সৌভাগ্যবশত সেবারও যাত্রীরা বেঁচে গেলেও গুরুতর আহত হয়েছিলেন চারজন।

এরপর ১৯৯০ সালে ব্যাংকক এয়ারওয়েজের একটি বিমান দুর্ঘটনায় পড়ে। ব্যাংকক থেকে কো সামুই দ্বীপে যাচ্ছিল বোমবার্ডিয়ার ড্যাশ এইট মডেলের বিমানটি। তবে ভারী বর্ষণের এলাকায় গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন পাইলট। এরপর একটি নারিকেল গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। নিহত হন ৩৩ জন যাত্রী ও পাঁচজন ক্রু।

১৯৯৩ সালের ৬ জানুয়ারি ফ্রান্সের প্যারিসে ড্যাশ-৮ বিমান বিধ্বস্ত হয়। জার্মানির ব্রিমেন বিমান বন্দর থেকে বিমানটি ১৯ যাত্রী নিয়ে আসছিল। বিমানে চারজন ক্রু ছিলেন। প্যারিস বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে পরিবর্তন করতে বলা হলে পাইলট তার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন এবং বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এতে চার ক্রু গুরুতর আহত হন। ১৯ যাত্রীর মধ্যে চারজন নিহত হন।

১৯৯৫ সালের ৯ জুন নিউজিল্যান্ডে ড্যাশ-৮ এর আরও একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে তিনজন ক্রু এবং ১৮ জন যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনায় একজন ক্রু ও চারজন যাত্রী মারা যান।

২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি নিউইয়ার্কের বাফেলোর কাছাকাছি ড্যাশ-৮ বিমান বিধ্বস্ত হয়। বাফেলো বিমানবন্দর থেকে প্রায় সাত মাইল দূরে একটি বাড়ির ওপরে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এতে বাড়িটি ধ্বংস হয়ে যায় এবং বিমানটিও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বিমানে থাকা ৪৫ যাত্রী ও চার ক্রু নিহত হন।  

সোমবার (১২ মার্চ) নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ইউএস-বাংলার বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানের ৫০ আরোহীর প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করেছে নেপালের সেনাসূত্র। ৯ জনের নিখোঁজ থাকার কথা জানিয়েছে তারা। নেপাল টাইমস এর খবরে বলা হয়েছে, ৭৮ জনকে ধারণে সক্ষম ওই বিমানে চার ক্রু ও ৬৭ যাত্রী মিলে ৭১ জন আরোহী ছিল। বিমানের ৩২ আরোহী বাংলাদেশি,  ৩৩ জন নেপালি,  ১জন চীনা ও ১ জন মালদ্বীপের।

/এমএইচ/এআরআর/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
তীব্র গরমে কাজ করার সময় মাথা ঘুরে পড়ে দিনমজুরের মৃত্যু
তীব্র গরমে কাজ করার সময় মাথা ঘুরে পড়ে দিনমজুরের মৃত্যু
বাংলাদেশে সামাজিক বিমা প্রবর্তনের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
বাংলাদেশে সামাজিক বিমা প্রবর্তনের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
ট্রাকের চাকায় পিষে দেওয়া হলো ৬ হাজার কেজি আম
ট্রাকের চাকায় পিষে দেওয়া হলো ৬ হাজার কেজি আম
সিএনজির রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালু করতে বিআরটিএ অফিস ঘেরাও
সিএনজির রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালু করতে বিআরটিএ অফিস ঘেরাও
সর্বাধিক পঠিত
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
আজ কি বৃষ্টি হবে?
আজ কি বৃষ্টি হবে?
চার বছরে আট ফ্লপ, আসছে আরও এক হালি!
চার বছরে আট ফ্লপ, আসছে আরও এক হালি!
জালিয়াতির মামলায় সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তার ২৬ বছরের কারাদণ্ড
জালিয়াতির মামলায় সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তার ২৬ বছরের কারাদণ্ড