কয়েকদিন ধরেই রাজধানীতে ভ্যাপসা গরম পড়ছিল। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হচ্ছিল, তাতে গরম কমছিল না। বৃহস্পতিবার (১০ মে) সকাল থেকেই মেঘ ছিল আকাশে। সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকেই আকাশ জুড়ে কালো মেঘ ঘণীভূত হতে থাকে। বেলা সোয়া ১১টার পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাচ্ছিল না দিন নাকি রাত। কিছু সময়ের মধ্যেই শুরু হয় ধূলিঝড়। হঠাৎ কালবৈশাখীতে সমস্যায় পড়ে পথচারীরা। কিছুক্ষণ পরই শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। তবে ঝড়বৃষ্টির কারণে ভ্যাপসা গরম কমে যাওয়ায় নগর জীবনে স্বস্তি ফিরেছে কিছুটা।
আবহাওয়া অধিদফতর এক সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে পরবর্তী ৭-৮ ঘণ্টা পর্যন্ত রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বা আরও বেশি বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো বা দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান খান জানান,বিজলি চমকানোসহ প্রবল বজ্রমেঘের ঘনঘটা বৃদ্ধির কারণে আজ সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগ এবং কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলাগুলোর কোথাও কোথাও দমকা বাবা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।