প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুসরণ করে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির ঊর্ধ্বে থেকে সরকার জনগণের স্বাস্থ্যমান উন্নয়নে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘এলক্ষ্যে স্বাস্থ্য খাতের মানোন্নয়নে নজরদারি ও মনিটরিং জোরদারের ওপর সরকারের মূল লক্ষ্য থাকবে।’
সোমবার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনকালে ঊর্ধ্বতন চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, হাসপাতালের পরিচালক ডা. উত্তম বড়ুয়া, সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এবিএম মাকসুদুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘হাসপাতালে এসে কাউকে যেন দুর্ভোগে পড়তে না হয়, সেদিকে চিকিৎসক, নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘চিকিৎসক, নার্সসহ হাসপাতালের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে মনে রাখতে হবে— মানুষ বিপদে পড়ে হাসপাতালে আসে, চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়। রোগীরা যেন হাসিমুখে সেবা পায়, তা নিশ্চিত করাই সবার দায়িত্ব।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘গত নির্বাচনে জনগণ যে বিশাল ম্যান্ডেট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করেছে, তার নেপথ্যে তাদের বিশাল প্রত্যাশা কাজ করেছে। জনগণের সেই পাহাড়সম প্রত্যাশা পূরণে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে প্রত্যেককে নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। বিশেষ করে চিকিৎসকসমাজের ইমেজ সমুন্নত রাখার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সেবা নিশ্চিত করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান বলেন, ‘হাসপাতালে রোগীদেরকে যেন হয়রানির শিকার হতে না হয়, সেদিকে সর্বোচ্চ সচেতন থেকে সবাইকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
পরে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী জাতীয় কিডনিরোগ ও ইউরোলজি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর)-এর বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন করে চিকিৎসা সেবার খোঁজ নেন। নিটোর পরিদর্শনকালে হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবদুল গণি মোল্লার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তৃতাকালে নতুন ভবনের চিকিৎসা কার্যক্রম পুর্ণাঙ্গরূপে চালু করতে উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রী হাসপাতাল তিনটির জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ, প্যাথলজি সেন্টার, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বাংলাদেশ-তার্কিশ কেমোথেরাপি ইউনিট, কিডনি হাসপাতালে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের আওতায় বাস্তবায়িত হেমোডায়ালাইসিস ইউনিটসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। তারা চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে চিকিৎসা ও সেবার মান সম্পর্কে ধারনা নেন এবং তাদের পরামর্শ শোনেন।
এসময় তারা হাসপাতালগুলোর ভবনের সম্প্রসারণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্টদেরকে নির্দেশ দেন।