অনেকে চীনা ঋণের ফাঁদের কথা বললেও বাংলাদেশ এটি নিয়ে চিন্তিত নয় বলে জনিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেলে চীনের ডালিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে ডব্লিউইএফ-এর সভায় একটি প্যানেল আলোচনায় তিনি বলেন, ’আমি জানি অনেকে ঋণের ফাঁদ নিয়ে কথা বলে। কিন্তু, যদি প্রকল্প নিয়ে সঠিকভাবে দর কষাকষি করা হয় তবে আমাদের চিন্তার কিছু নাই।’
নিউ ইয়র্ক টাইমসের সিনিয়র সাংবাদিক কিথ ব্রাডশেরের উপস্থাপনায় ওই প্যানেল আলোচনায় আরও অংশগ্রহণ করেন এজিলিটি কোম্পানির গ্লোবাল পার্টনারশিপের প্রধান সুশান্ত পালাকুর্তি রাও, সানটোরি হোল্ডিং লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাক নিনামি; এবং কানাডার মন্ত্রী মেরি নো।
চীন আমাদের দেশে বড় আকারে বিনিয়োগ করছে কিন্তু বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ তার জিডিপির ১৪ শতাংশ বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ’এটি একটি ভালো অর্থনীতির লক্ষণ। চীন পদ্মা সেতু বা কর্ণফুলী টানেল বা বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং অন্যান্য অবকাঠামো প্রকল্পে জড়িত।’
হাসিনা বলেন, ’আমার কোনও সমস্যা নেই। কারণ, জাপানও আমাদের দেশে বড় আকারে বিনিয়োগ করছে। বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেট্রো রেল বানাচ্ছে এবং অন্যান্য প্রকল্পে কাজ করছে। এবং একইসঙ্গে ভারতও বিনিয়োগ করছে।’
বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশকে চাইছে। কারণ, আমাদের অর্থনীতি ৮ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ’ঋণ সমস্যা আমাদের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করবে না। আমাদের অর্থনীতি এখন মজবুত।’
আঞ্চলিক বাণিজ্য জোটে যোগদানের বিষয়ে তিনি বলেন, ’এখন এককভাবে কোনও দেশ অগ্রসর হতে পারে না। আমরা একটি বৈশ্বিক গ্রামে বাস করি।’
তিনি বলেন, ’আমার মনে হয় আগামী ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ পৃথিবীর ২৫তম বৃহত্তর অর্থনীতি হতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’আমাদেরকে অবশ্যই গরিব জনগণের জন্য ভাবতে হবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও ভাবতে হবে।’
বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জের বিষয়ে তিনি বলেন, ’জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের দেশের জন্য একটি বড় সমস্যা। আমরা কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী নই কিন্তু এর ফলে সৃষ্ট দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছি।’