উন্নতজাতের আলু উৎপাদন এবং তা রফতানির ব্যবস্থা নিতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ফ্রেঞ্চফ্রাই ও চিপসের চন্য আলুর উন্নতজাত চাষ করতে হবে। আলু প্রক্রিয়াজাত করে মূল্য সংযোজন করে রফতানির মাধ্যমে এই শিল্পকে লাভবান করা সম্ভব।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আলু রফতানির বিষয়ে সার্বিক পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
মন্ত্রী আরও বলেন, উন্নতজাতের আলু উৎপাদন ও রফতানি এবং কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে পর্যাপ্ত কোল্ড স্টোরেজ এবং লাগসই সংরক্ষণ প্রযুক্তির ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ সংরক্ষণের অভাবে সঠিক দাম না পাওয়ায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সভায় জানানো হয়, আলুর উৎপাদন বছরে ৫ দশমিক ১৯ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে আলু আমদানিকারক দেশ যে সব শর্ত দিয়েছে তা মেনে ফাইটোস্যানিটারি সার্টিফিকেট বা উদ্ভিদ স্বাস্থ্য সার্টিফিকেট (পিসি) নিশ্চিত করতে কাজ করতে হবে। রাশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় আলু রফতানির জন্য যে পর্যবেক্ষণ রয়েছে তা পূরণ করে রফতানির ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আরও নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি করতে হবে। এছাড়া অন্যান্য যেসব দেশে আলু রফতানি হচ্ছে, সে সব দেশে কি জাতের আলুর চাহিদা রয়েছে তা জানতে হবে এবং সে অনুযায়ী উৎপাদন ও রফতানির ব্যবস্থা নিতে বলেন মন্ত্রী।
কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় আলু উৎপাদনকারী, রফতানিকারক ও আলুবীজ উৎপাদনকারীরা অংশ নেন। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন সংস্থার প্রধান, কৃষি বিজ্ঞানী, গবেষক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চলতি মৌসুমে আলু রফতানির বিষয়ে কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং আরও কী পদক্ষেপ নিতে হবে, কোনও সমস্যা রয়েছে কিনা সেসব বিষয়ে মন্ত্রী জানতে চান।
সভায় জানানো হয়, আলু রফতানির উদ্দেশ্যে আমদানিকারকদের চাহিদার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) ডিসেম্বরের মধ্যে একটি অ্যাক্রিডেটেড ল্যাব স্থাপন করবে এবং ইতোমধ্যে ৯১টি আলুর জাত অবমুক্ত করা হয়েছে।