বইমেলার বাকি আছে আর একদিন। শিশুপ্রহরও হবে আর একদিন। শেষ মুহূর্তের মেলায় শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই যেমন ছিল বড়দের ভিড়, তেমনি ছিল শিশুদের ভিড়। যারা শিশুপ্রহরে আসবেন আসবেন বলে ব্যস্ততার জন্য এতদিন আসতে পারেননি, তারাও আজ বাচ্চাদের নিয়ে এসেছেন। ফলে আজ শিশুপ্রহরে ছিল উপচে পড়া ভিড়।
শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে মেলা প্রাঙ্গণ খুলে দেওয়া হয়। তখন থেকেই অভিভাবকদের হাত ধরে মেলায় আসে শিশুরা। তবে শিশুপ্রহর শুরু হয় বেলা ১১টার দিকে। শিশুদের প্রধান আকর্ষণ ছিল শিশুপ্রহরের মঞ্চটি। যেখানে হালুম, টুকটুকি আর ইকরি-মিকরিরা নেচে গেয়ে তাদের আনন্দ দেয়। সকাল থেকেই এ মঞ্চে উঠে নাচানাচি শুরু করে শিশুরা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাদের মঞ্চটি দখলে নেয় হালুম, টুকটুকির দল। তারা এসে শিশুদের বিভিন্ন গান, ছড়া আর উপদেশমূলক বাণী শুনিয়ে চলে যায়।
হালুম-টুকটুকিরা যখন মঞ্চে, তখন বাবা আকতারুজ্জামানের হাত ধরে শিশুচত্বরে আসে পাঁচ বছরের মানহা জাহান। ভিড়ের কারণে হালুম-টুকটুকির দলকে দেখতে পাচ্ছিল না সে। পরে বাবা তাকে কাঁধে তুলে নিয়ে হালুম-টুকটুকিদের দেখায়। তাদের দেখে বেজায় খুশি মানহা।
রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের বাংলার শিক্ষক মশিউর রহমান তার ৮ বছরের মেয়ে আজমাইল রহমান ও স্ত্রী আজমীরা রহমানকে নিয়ে মেলায় এসেছেন। মশিউর রহমান জানান, ব্যস্ত থাকায় এতদিন মেলায় আসতে পারেননি। আজ ব্যস্ত থাকা সত্ত্বেও মেয়েকে শিশুপ্রহরে নিয়ে এসেছেন। গত বছর থেকে মেয়েকে নিয়ে মেলায় আসছেন তিনি। মূলত বইয়ের সঙ্গে পরিচিত করতে মেয়েকে মেলায় নিয়ে আসা উদ্দেশ্য বলে জানান মশিউর।
অন্যান্য দিনের মতো আজ শিশুপ্রহরে ছিল বিশেষ নিরাপত্তা। সকাল থেকে পুলিশের একটি টিম সেখানে দায়িত্ব পালন করেন। সিসিমপুরের স্টলে শুক্রবার ছিল চোখে পড়ার মতো ভিড়।