X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

জেলায় জেলায় মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড়, মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

বাংলা ট্রিবিউন ডেস্ক
১০ মে ২০২০, ২৩:৫৪আপডেট : ১১ মে ২০২০, ০০:০৫

সামাজিক নিরাপত্তা না মেনেই চলছে বেচাকেনা রবিবার (১০ মে) থেকে সারাদেশে দোকানপাট খোলারপর বিভিন্ন মার্কেট ও রাস্তায় দেখা গেছে ব্যাপক ভিড়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশনা থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা মানতে দেখা যায়নি।এতে করোনা সংক্রমণ বাড়ার ঝুঁকি বাড়ছে।এদিকে কোনও কোনও জেলার ব্যবসায়ীরা সচেতন হয়ে দোকান না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিভিন্ন জেলা থেকে বাংলা ট্রিবিউন প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন:  

নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের বেশির ভাগ মার্কেট ও বিপণিবিতান খুলেছে। সকাল ১০টা থেকে নগরীর চাষাড়া, ডিআইটি, কালিরবাজারসহ বিভিন্ন এলাকার বিপণিবিতান খোলেন দোকানিরা। মার্কেটগুলোতে ছিল ক্রেতাদের ভিড়। তবে অধিকাংশ মার্কেটেই মানা হচ্ছে না করোনা সতর্কতায় সরকারি নির্দেশনা। দু-একটি মার্কেটের সামনে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শারীরিক বা সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না যথাযথভাবে।

এদিকে মার্কেট খোলায় সকাল থেকেই নগরীতে লোকসমাগম কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। বড়দের হাত ধরে অভিভাবকদের সঙ্গে অনেক শিশুকেও নগরীতে চলাচল করতে দেখা গেছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি মার্কেটের সামনে ভলানটিয়ার রাখার কথা থাকলে বাস্তবে তা দেখা যায়নি। ফুটপাতে ঘেঁষাঘেষি করে মানুসকে চলতে দেখা গেছে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন জানান, মার্কেটগুলোতে যথাযথ নিয়ম মেনে না চললে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিদ্ধিরগঞ্জের ব্যস্ততম চিটাগাংরোড (শিমরাইল মোড়) বাসস্ট্যান্ড এলাকার সব মার্কেট ও শপিং মল ঈদ পর্যন্ত  বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কেট ও দোকান মালিক সমিতি। হাজী আহসান উল্লাহ সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, করোনা প্রতিরোধে এবং মানুষের মধ্যে সচেতনতা আনতে  মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

লকডাউন উপেক্ষা করে যানবাহন চলছে রংপুর

বিভাগীয় নগরী রংপুরে সব শপিং মল, মার্কেট খোলার প্রথম দিনে লকডাউন উপেক্ষা করে যানজটের নগরীতে পরিণত হয়। রিকশা, অটোবাইকসহ সব যানবাহন চলাচল করেছে। দেখে মনে হয়নি ভয়াবহ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রংপুর।  বড় বড় শপিং মলগুলো খোলা হলেও একমাত্র জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটের প্রবেশপথে ডেটল মিশ্রিত পানি দিয়ে স্প্রে করা ছাড়া আর কোথাও সুরক্ষা ব্যবস্থাই রাখেনি মার্কেট কর্তৃপক্ষ। দোকানগুলোতে সামাজিক দূরত্ব না মেনেই চলছে বেচাকেনা। যদিও দোকান মালিক সমিতির সহসভাপতি সুলতান আলম বুলবুল দাবি করলেন সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এদিকে নগরীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঢিলেঢালা মনোভাবের কারণে লকডাউন ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে।  লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব না মানার কারণে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. আমিন আহমেদ জানান, সামাজিক দূরত্ব ও লকডাউন মেনে না চললে রংপুরে ভয়াবহ আকারে করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে।

পঞ্চগড়

লকডাউন অব্যাহত থাকলেও দোকান খোলার পর জেলার মার্কেট ও হাটবাজারগুলোতে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কোথাও পা ফেলার জায়গা নেই। তবে দুপুরের পর লোকজনের সমাগম কিছুটা কমেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে ক্রয়-বিক্রয়ের সরকারি সিদ্ধান্ত থাকলেও হাটবাজার ও মার্কেটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই মানছেন না। মানুষজনকে গাদি-গাদি করে শপিং করতে দেখা গেছে। অনেকের মুখে ছিল না মাস্ক।

জেলার সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়ন থেকে পঞ্চগড় বাজারে আসা এক নারী বলেন, ‘আমি অনেকদিন পর পঞ্চগড় বাজারে এলাম। শহরে যেভাবে মানুষ ঘোরাঘুরি করছে তাতে ঈদের কেনাকাটা করতে ভয় করছে। কিন্তু ছেলেমেয়েদের জন্য ঈদের কিছু কেনাকাটা করা প্রয়োজন।’

মেসার্স নাজিম ক্লথ স্টোরের মালিক নাজিমউদ্দিন জানান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বললেও লোকজন তা মানছেন না। তবে দোকানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা বা স্যানিটাইজার জাতীয় কিছু দেখা যায়নি।

জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন জানান, সরকারের সিদ্ধান্তে মার্কেট ও দোকানপাট খুলেছে। করোনায় আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। আমরা ব্যবসায়ীসহ লোকজনদের বিভিন্নভাবে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য বলেছি। সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

জেলায় জেলায় মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড়, মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি যশোর

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দেওয়ার পর আজ প্রথমদিন যশোর শহরের দোকান ও মার্কেটগুলোতে মানুষের ঢল নামে। এতে শহরের যানজটও দেখা দেয়। বিশেষ করে পোশাকের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের বেশি উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। যশোর শহরের জেলা জজ কোর্ট মার্কেট, কালেক্টরেট মার্কেট ও বড়বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভিড় দেখা গেছে। এসব দোকানে সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব। বেশির ভাগ দোকানে দেখা গেছে ক্রেতা ও বিক্রেতা মাস্ক ব্যবহার করলেও তারা কেউই গ্লাভস ব্যবহার না করেই পোশাক হাতে নিয়ে দেখছেন।

সালাম হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘অনেকদিন পর দোকান খুললো। ভয় লাগলেও প্রথম দিনেই পরিবারের সবাইকে নিয়ে মার্কেটে এসেছি। যাতে কিছুটা নিরাপদ থাকা যায়। তবে গ্লাভস না পরে এসে ভুল করেছি। চিন্তা করছি আজই সব কেনাকাটা শেষ করে ফিরবো, যাতে আর মার্কেটে না আসতে হয়।’

রাজ্জাক আলী নামে এক দোকানি বলেন, ‘মার্কেটের গেটে জীবাণুনাশকের ব্যবস্থা করা হয়েছে তাই গ্লাভস না পরেই কাজ করছি। তবে গ্লাভস পরা জরুরি ছিল। ভুল হয়েছে।’

অবশ্য উল্টোচিত্র অভিজাত বিপণিবিতানগুলোতে। শপিংমলগুলোতে প্রবেশের আগেই মার্কেটের কর্মীরা জীবাণুনাশক দিয়ে ক্রেতাদের হাত ও পা ভিজিয়ে দিচ্ছেন। এছাড়া দোকানগুলোতে কর্মীরা মাস্ক, গ্লাভস ও মাথায় টুপি পরে ক্রেতাদের সামনে পোশাক উপস্থাপন করছেন। আর পোশাকে হাত দেওয়ার আগে ক্রেতাদের হাতে আবারও জীবাণুনাশক দেওয়া হচ্ছে। মার্কেট মালিকদের দাবি, দোকানিরা স্বাস্থ্যবিধি না মানলে তারা মার্কেট বন্ধ করে দেবেন। আর এ উদ্যোগে ভয়হীনভাবে কেনাকটা করতে পেরে খুশি ক্রেতারাও।

যশোর সিটি প্লাজা মার্কেটের মালিক ইয়াকুব আলী বলেন, ‘মার্কেটের দোকান মালিকদের নিয়ে ৯ মে সভা করেছি। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খোলার আশ্বাস দিয়েছেন এবং সেই মতো কাজ করেছেন। সকালে দোকানে দোকানে গিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মার্কেটের একটি প্রবেশদ্বার করা হয়েছে। যেখানে একাধিক কর্মী দিয়ে ক্রেতাদের হাতে ও পায়ে জীবাণুনাশক দেওয়া হচ্ছে। মাস্ক ছাড়া কোনও ক্রেতাকে মার্কেটে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারের সব নির্দেশনা মেনে মার্কেট চালু রাখতে চাই। যদি দোকানদাররা তার ব্যত্যয় ঘটান তাহলে মার্কেট বন্ধ ঘোষণা করা হবে।’

জেলায় জেলায় মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড়, মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি সিরাজগঞ্জ

রবিবার উপচে পড়া ভিড় ছিল ক্রেতাদের। প্রতিটি শপিংমল ও মার্কেটের দোকানপাটে ভিড়ের কারণে ক্রেতাদের মধ্যে নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষা করাটা দুরহ হয়ে পড়ে। সামাজিক দূরত্ব, নিরাপত্তা ও গণসচেতনতা রক্ষায় হিমশিম খায় পুলিশ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয়ের নির্দেশনা থাকলেও অধিকাংশ দোকানেই এটি মানা হচ্ছে না। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে।

সদর সার্কেল অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আকতার বলেন, ‘ক্রেতারা সামাজিক দূরত্ব ও নিরাপত্তা মানতে চায় না। তারপরেও মার্কেট মালিক ও কর্মচারীদের পাশাপাশি ক্রেতাসাধারণকেও বারবার সতর্ক করা হয়েছে।’ 

লালমনিরহাট

লালমনিরহাট শহরে প্রায় সব ধরনের দোকানপাট খুলেছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্রয়-বিক্রয় করার সরকারি নির্দেশনা থাকলেও অনেকেই তা মানছেন না। শহরের লালমনি বস্ত্রালয়ের মালিক আবু তারা মিয়া জানান, গত বছরের তুলনায় এবার বেচাকেনা কম হতে পারে। কারণ করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে সাধারণ মানুষের হাতে টাকা নেই, কাজও নেই।

লালমনিরহাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি সিরাজুল হক বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খুলেছেন। এই বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য চেম্বার সভা ডাকা হয়েছে। ওই সভায় ব্যবসায়ীদের কথাবার্তা যেমন শোনা হবে তেমনি করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতার নির্দেশনাও প্রদান করা হবে।’

জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, ‘সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্রয়-বিক্রয়ের বিষয়ে এবং সময়সীমা কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি।’                                                                                              

 

জেলায় জেলায় মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড়, মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহে ব্যবসায়ী নেতারা দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেও কিছু কিছু ব্যবসায়ী সেই সিদ্ধান্ত না মেনে দোকানপাট খুলে বেচাকেনা শুরু করেছেন। শহরের আনাচে কানাচে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে কাপড়ের দোকান, ছোটবড় শপিং সেন্টার খুলে বেচাকেনা শুরু করেছেন বিপনিবিতানের ব্যবসায়ীরা।

নগরীর চরপাড়া এলাকার ভার্গো শপিং সেন্টারের ব্যবস্থাপক মেহেদি হাসান জানান, প্রশাসনের নির্দেশনা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সীমিত আকারে তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে বেচাকেনা শুরু করেছেন।    

এদিকে চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র সহ-সভাপতি শংকর শাহা জানান, যারা সিদ্ধান্ত না মেনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে বেচাকেনা শুরু করেছেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হিলি, দিনাজপুর

হিলিতে খুলেছে সব ধরনের দোকানপাট। তবে সামাজিক দূরত্বসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি অধিকাংশ দোকানেই মানা হচ্ছে না। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার নির্দেশনা থাকলেও রবিবার সকাল ১০টার আগে থেকেই হিলি বাজারের অধিকাংশ দোকান খোলা হয়।

রবিবার সরেজমিন হিলি বাজারে দেখা গেছে, সকাল থেকেই প্রচুর মানুষের সমাগম হয়েছে। দোকানগুলোতে মানুষের উপচেপড়া ভিড় ছিল। বিক্রেতাদের মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হলেও অনেক দোকানেই সেসব মানা হচ্ছে না। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে কেনাকাটা করা ও হাত ধোয়ার ব্যবস্থাও ছিল না।

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রাফিউল আলম জানান, ব্যবসায়ীদের যেসব নির্দেশনা মেনে চলার কথা সেগুলো অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বরিশাল

ব‌রিশা‌ল সি‌টি ক‌রপো‌রেশ‌নের মেয়‌রের অনু‌রো‌ধে দোকান খোলার সিদ্ধান্ত থে‌কে স‌রে আসার ঘোষণা দি‌য়ে‌ছে মা‌লিক স‌মি‌তি।
শ‌নিবার রাত পৌ‌নে ১২টায় চকবাজার দোকান মা‌লিক স‌মি‌তির সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুর র‌হিম এই ঘোষণা দেন। এ সময় তি‌নি ব‌লেন, ‘জীবন ও জী‌বিকার ম‌ধ্যে জীবন‌কে প্রাধান্য দি‌য়ে ঈদ উপল‌ক্ষে দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হ‌য়।’

ব‌রিশাল সি‌টি ক‌রপো‌রেশ‌নের মেয়র সে‌রনিয়াবাত সা‌দিক আব্দুল্লাহ জানান, ক‌রোনা সংক্রমণ থে‌কে নগরবাসী ও ব‌রিশালবা‌সী‌কে রক্ষার জন্য ব্যবসায়ী‌দের এই  অনু‌রোধ করেন তিনি। অনু‌রোধ রক্ষা করায় ব্যবসায়ী‌দের ধন্যবাদ জানান তি‌নি।

পিরোজপুর

পিরোজপুরের ব্যবসায়ী নেতারা দুপুর ১২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত দোকান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে মঠবাড়িয়ায় ঈদুল ফিতর পর্যন্ত শপিংমল সহ সব দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রবিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এক সভায় এ  সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উর্মি ভৌমিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র ও মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিউদ্দিন আহমেদ ফেরদৌস, সহকারী কমিশনার ভূমি রিপন বিশ্বাস, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আলী হাসান, মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুজ্জামানসহ ব্যবসায়ী নেতারা।

রাঙামাটি

রাঙামাটিতে সব মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা।  ব্যবসায়ী নেতা মো. আবু ছৈয়দ জানান, সরকারের নির্দেশনা মতো স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা কঠিন। একই সঙ্গে নিজের পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের রেশন কার্ডের মাধ্যমে সহযোগিতার অনুরোধ জানান তিনি।

রিজার্ভ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন বানু জানান, যেহেতু করোনাকে আর বাড়তে না দেওয়ার জন্য আমরা মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ রেখেছি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

চলমান করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া দোকান মালিক ব্যবসায়ীরা রবিবার সকাল থেকেই সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছেন।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির সভাপতি আজিজুল হক জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক জরুরি বৈঠকে ব্যবসায়ীদের পক্ষে থেকে ঈদের আগে দোকান পাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ,শপিংমল ও মার্কেট না খুলে বন্ধ রাখার বিষয়টি স্বেচ্ছায় অবহিত করেন। আজিজুল হক জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যবসায়ীরা সবার জীবনের কথা চিন্তা করে কোনও দোকানপাট খোলেননি।

জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান বলেন, নিজেদের জীবনের ঝু্ঁকির কথা চিন্তা করে ব্যবসায়ীরা নিজেরাই বলেছেন যে তারা দোকানপাট খুলবেন না। তারপরও যদি কোনও ব্যক্তি দোকান খুলতে চান তাহলে অব্যশই সরকারি নির্দেশনা কঠোরভাবে পালন করতে হবে। 

/এমএএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
অডিও ফাঁস, নারীর কাছে ডিবি পুলিশ সদস্যের ‘হেরোইন বিক্রি’
অডিও ফাঁস, নারীর কাছে ডিবি পুলিশ সদস্যের ‘হেরোইন বিক্রি’
উপজেলা নির্বাচনে নেই বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল
উপজেলা নির্বাচনে নেই বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল
মিরপুরে ‘হারল্যান স্টোর’-এর উদ্বোধন করেন নুসরাত ফারিয়া, পণ্য কিনে হতে পারেন লাখপতি
মিরপুরে ‘হারল্যান স্টোর’-এর উদ্বোধন করেন নুসরাত ফারিয়া, পণ্য কিনে হতে পারেন লাখপতি
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা