X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ থেকে ওষুধ আমদানি করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

শেখ শাহরিয়ার জামান
২১ মে ২০২০, ০২:২১আপডেট : ২১ মে ২০২০, ০২:২৪

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন পৃথিবীর অন্যতম বড় ওষুধের বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে ওষুধ আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।  বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী  বুধবার এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় একথা জানান।
এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে পিপিইসহ আরও ২৫টি স্বাস্থ্য সামগ্রী আমদানি করতে আগ্রহী এবং এরমধ্যে ১৪টি পণ্যের বিষয়ে দুদেশের বেসরকারি খাতের মধ্যে আলোচনা চলছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাছে সম্প্রতি ১০০ এর বেশি ওষুধের তালিকা দিয়েছি যেগুলো এফডিএর অনুমতি সাপেক্ষে বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো যেকোনও মুহূর্তে রফতানি করতে সক্ষম।’ এগুলো কী ধরনের ওষুধ জানতে চাইলে তিনি বলেন,  ‘সাধারণ রোগের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ওষুধ যেগুলো আমাদের কোম্পানিগুলো প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন করতে সক্ষম।’

এই তালিকা আগে দেওয়া হয়নি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওষুধ অত্যন্ত স্পর্শকাতর পণ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র নির্দিষ্ট সংখ্যক কোম্পানির কাছ থেকে এটি আমদানি করে থাকে। করোনাভাইরাসের কারণে তারা বুঝতে পেরেছে এই কোম্পানির সংখ্যা বাড়াতে হবে এবং এই সুযোগটা আমরা নিয়েছি।’

করোনাভাইরাসের প্রভাব কয়েক মাস বা বছরের মধ্যে চলে যাবে না এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তনের সম্ভাবনার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র তাদের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসাবে এখন বিভিন্ন দেশ থেকে ওষুধ নিতে আগ্রহী, বাংলাদেশ এই সুযোগ নিতে চায়।’

বাংলাদেশ অত্যন্ত সীমিত আকারে যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকটি ওষুধ রফতানি করে জানিয়ে তিনি বলেন,  ‘এখানকার ওষুধ বাজার অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত কিন্তু কিছু সংখ্যক ওষুধের রফতানির অনুমতি পেলেও অন্য অনেক লাভ আছে।’ এফডিএ সার্টিফাইড কোম্পানি ও ওষুধ পৃথিবীর যেকোনও দেশে রফতানি করা যায় এবং এর ফলে সুনাম তৈরি হয় জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন,  ‘যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের কারণে অন্য দেশেও ওইসব ওষুধের রফতানি বাড়ার সম্ভাবনা আছে।’ এফডিএ’র অনুমোদন পেতে কতদিন লাগবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি নির্ভর করে কি ধরনের ওষুধ এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের আগ্রহের ওপর।’

জীবন রক্ষাকারী ওষুধের ক্ষেত্রে অনুমতি পেতে বছরের ওপর লেগে যায় এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে কম সময় লাগে জানিয়ে তিনি বলেন,  ‘এটি ঠিক যে আমাদের কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে কিন্তু কোভিড-১৯ এর জন্য আমাদের এই সুবিধাটি তৈরি হয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশের জন্য ফ্যাক্টরি লাইসেন্সিং-এর পাশাপাশি ওষুধও অনুমোদিত হতে হয় অর্থাৎ কোম্পানিটি রফতানি করার উপযুক্ত এই অনুমোদন পাওয়ার পরে প্রতিটি ওষুধের ক্ষেত্রে আলাদাভাবে অনুমোদন নিতে হয় বলে তিনি জানান।  বাংলাদেশের বেক্সিমকো, স্কয়ার, ইনসেপ্টাসহ পাচঁটি কোম্পানি ইতিমধ্যে এফডিএ অনুমোদন পেয়েছে এবং বেক্সিমকো কয়েকটি ওষুধ রফতানি করছে বলেও তিনি জানান।

 

/এসএসজেড/এমআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
প্রস্তুত বলী খেলার মঞ্চ, বসেছে মেলা
প্রস্তুত বলী খেলার মঞ্চ, বসেছে মেলা
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
দুই মাসে ব্র্যাক ব্যাংকে আড়াই হাজার কোটি টাকা নিট ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি অর্জন 
দুই মাসে ব্র্যাক ব্যাংকে আড়াই হাজার কোটি টাকা নিট ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি অর্জন 
গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি হয়নি
গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি হয়নি
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
হংকং ও সিঙ্গাপুরে নিষিদ্ধ হলো ভারতের কয়েকটি মসলা
হংকং ও সিঙ্গাপুরে নিষিদ্ধ হলো ভারতের কয়েকটি মসলা