X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

৩০ মেট্রিক টন বোরো ধানের বীজ অবৈধভাবে মজুতের অভিযোগ

শাহেদ শফিক
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০১:৫৯আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০১:৫৯

(ছবি: সংগ্রহ) বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে চলতি বোরো মৌসুমে অবৈধভাবে ৩০ মেট্রিক টন হাইব্রিড বীজ মজুত রাখার অভিযোগ উঠছে। সংস্থাটির যুগ্ম পরিচালক দেবদাস সাহার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন বিএডিসি’র চুক্তিভুক্ত চাষিরা। তারা ইতোমধ্যে কৃষিমন্ত্রী, সচিব, বিএডিসি’র চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতর অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছে।  বিএডিসি’র সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

চাষিদের অভিযোগে বলা হয়, চলতি বোরো মৌসুমে মজুত অতিরিক্ত ৩০ মেট্রিক টন হাইব্রিড বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে মজুত করা হয়েছে। বীজগুলো গুদামের ৫  ও ৯  নম্বর  এসি রুমে সংরক্ষিত আছে। কোনোভাবেই যাতে গুদামের  বাইরে থেকে বোঝা না যায়, সেভাবেই বস্তাগুলো সাজিয়ে রাখা হয়েছে। সারিবদ্ধ বস্তার বাইরের লাইনের সঙ্গে ভেতরের লাইনের কোনও মিল নেই। বাইরে ভালো এবং ভেতরে এলোমেলো অবস্থায় রয়েছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, মধুপুর বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের যুগ্ম পরিচালক দেবদাস সাহা চলতি বোরো মৌসুমে অতিরিক্ত আর্দ্রতাযুক্ত নিম্নমানের বীজ সংগ্রহ করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ১২ ডিগ্রি আদ্রতার বীজ সংগ্রহ করার কথা। তবে ঢাকার লিখিত অনুমোদন নিয়ে সর্বোচ্চ ১৪ ডিগ্রি পর্যন্ত আদ্রতাযুক্ত বীজ সংগ্রহ করে শুকিয়ে নেওয়া যায়। কিন্তু সেখানে দেবদাস সাহা  ১৫-১৬ শতাংশ আদ্রতাযুক্ত বীজ সংগ্রহ এবং সরকারি তেল ও জ্বালানি অপচয় করে নিম্নমানের বীজ শুকিয়ে সংরক্ষণ করেছেন।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, শুধু তাই নয়,বীজ সংগ্রহের সময় ১৪ শতাংশ পর্যন্ত ‘পাকা’ খাতায় লিখেছেন, আর ১৪-১৬ শতাংশ পর্যন্ত গোপন খাতায় লিখে চাষিদের কাছ থেকে আদায় করে ৬০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আবার চাষিদের কাছ থেকে জোর কেরে প্রতিবস্তায় এক কেজি বীজ বেশি নেওয়া হয়েছে। পরে অতিরিক্ত নেওয়া ওই বীজ বিক্রি করে দিয়েছেন, যার মূল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা। গুমাদের বস্তাগুলো সৎ কর্মকর্তাদের দিয়ে গুনলে পরিষ্কার হয়ে যাবে। চুরির ঘটনাটি বেরিয়ে আসবে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, যুগ্ম পরিচালক দেবদাস সাহা  আমাদের মতো নিরীহ শ্রমিকদের ঠিক মতো কাজ দেন না। কিন্তু ভুয়া মাস্টার রোল দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করে চলেছেন।  বিশেষ করে চলতি বছরের জুন মাসে দুই হাজার শ্রমিকের স্বাক্ষর পরীক্ষা করলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। অফিসে অনেক ভুয়া বিল ভাউচার নিজেই তৈরি করে তিনি বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেন।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও মধুপুর বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের যুগ্ম পরিচালক দেবদাস সাহা ফোন রিসিভ করেননি। বিষয়টি উল্লেখ করে তার নম্বরে এসএমএস পাঠানো হলেও তিনি  সাড়া দেননি।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন-বিএডিসি’র চেয়ারম্যান মো. সায়েদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এমন একটি অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য কর্মকর্তাদের বলেছি। তারা এখনও আমাকে প্রতিবেদন দেননি। তবে আমরা এই অভিযোগ অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে দেখছি।’

/এপিএইচ/আপ-এনএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বিদ্যুৎ ও গ্যাস কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র ছাড়া ঋণ মিলবে না
বিদ্যুৎ ও গ্যাস কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র ছাড়া ঋণ মিলবে না
ওমরা পালনে সৌদি গেলেন পাটমন্ত্রী
ওমরা পালনে সৌদি গেলেন পাটমন্ত্রী
গাজায় আবিষ্কৃত গণকবরের স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় আবিষ্কৃত গণকবরের স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র
খুলনায় এ যাবতকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এ যাবতকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা