X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে চায় তুরস্ক

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৬ নভেম্বর ২০২০, ১৬:৫৬আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২০, ১৮:২৮

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি (ছবি: ফোকাস বাংলা) বিভিন্ন জটিলতার কারণে তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগে কিছু সমস্যা হচ্ছে। তৈরি পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে উচ্চহারে শুল্ক প্রদান করতে হচ্ছে। ফলে সে দেশে পণ্য রফতানিতে কিছু সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ‘উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সমস্যা চিহ্নিত করে আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধান করা হলে বাণিজ্য বাড়ানো সম্ভব।’

সোমবার (১৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দফতরে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুসতফা ওসমান তুরানের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শহিদুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন,  ‘এ মুহূর্তে বাংলাদেশ থেকে ৪৫৩ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য তুরস্কে রফতানি হয়ে থাকে। একই সময়ে বাংলাদেশও তুরস্ক থেকে আমদানি করেছে ২৩৩ দশমিক ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য।’

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে জানান, বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় স্থান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন (ইপিজেড) গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ সরকার এসব ইপিজেডে বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে।

টিপু মুনশি বলেন, ‘তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক দীর্ঘদিনের, বাণিজ্যও বাড়ছে। বাণিজ্যের পরিমাণ খুব বেশি না হলেও বাংলাদেশ বেশি রফতানি করে সে দেশে। বাংলাদেশের পাট পণ্যের বড় ক্রেতা তুরস্ক। গত বছরও দুইশ’ মিলিয়নের বেশি মূল্যের পাট পণ্য তুরস্কে রফতানি করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হচ্ছে। বাণিজ্য সুবিধা বাড়ানোর জন্য বেশ কিছু দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ এফটিএ বা পিটিএ স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। তুরস্কের সঙ্গেও বাংলাদেশের জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশন রয়েছে। এ কমিশনকেও কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের আইসিটি, ওষুধ এবং তৈরি পোশাক খাতে বিনিয়োগ করলে তুরস্ক লাভবান হবে।’

তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুসতফা ওসমান তুরান বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রীকে জানান, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী। তুরস্ক বাংলাদেশের পাট পণ্যের এক নম্বর ক্রেতা। তুরস্ক তৈরি পোশাকও বাংলাদেশ থেকে আমাদি করে। এর ডিজাইন নিয়েও তার দেশ কাজ করতে আগ্রহী। ওষুধ আমদানির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। ওষুধ শিল্পের মেশিনারিজ তুরস্ক সরবরাহ করতে পারে। কীভাবে উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানো যায়, তা নিয়ে কাজ করতে চায় তুরস্ক। রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে জয়েন্ট ভেঞ্চারেও কাজ করতে আগ্রহী। অ্যান্টিডাম্পিং প্রত্যাহার এবং তৈরি পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে উচ্চ শুল্কহার কমানোর বিষয়ে আলোচনা করা হবে বলেও জানান তিনি।

/এসআই/এপিএইচ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
গাজায় আবিষ্কৃত গণকবরের স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় আবিষ্কৃত গণকবরের স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র
খুলনায় এ যাবতকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এ যাবতকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে ভিত্তিহীন তথ্য রয়েছে
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিমার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে ভিত্তিহীন তথ্য রয়েছে
পার্বত্য এলাকার উন্নয়নে হাজার কোটি টাকার কাজ চলছে: প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল
পার্বত্য এলাকার উন্নয়নে হাজার কোটি টাকার কাজ চলছে: প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা