X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৪ বৈশাখ ১৪৩১

শিশু আইনের সংশোধিত খসড়া প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৫ জানুয়ারি ২০১৮, ১৬:০৭আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০১৮, ১৬:১১

সুপ্রিম কোর্ট শিশু ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের বিচারে স্পষ্ট আইন তৈরি করতে হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক শিশু আইনের সংশোধিত খসড়া আদালতে দাখিল করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ। একইসঙ্গে এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি  পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ দিন নির্ধারণের এই আদেশ দেন।  

আদালতে প্রতিবেদনটি দাখিল করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ। এসময় আইন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এই প্রতিবেদনের সঙ্গে খসড়া সংশোধনী প্রস্তাবও আদালতে দাখিল করেন তিনি। এছাড়া, রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ। আর মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মহিউদ্দিন শামীম।

পরে আইনজীবী মহিউদ্দিন শামীম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালতের নির্দেশের পর শিশু আইন, ২০১৩ এর অস্পষ্টতা দূর করতে একটি সংশোধিত খসড়া আইন মন্ত্রণালয় থেকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সেটি গ্রহণ করলে খসড়াটি সংসদে উঠবে। আশা করি, চলতি অধিবেশনে তা হয়ে যাবে।’

বিদ্যমান আইনটির ‘শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক অপরাধীর একত্রে চার্জশিট প্রদান নিষিদ্ধ’ শিরোনামে ১৫ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ২৩৯, অথবা  আপাতত বলবৎ অন্য কোনও আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, শিশুকে কোনও প্রাপ্তবয়স্ক অপরাধীর সঙ্গে কোনও অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করে একত্রে চার্জশিট প্রদান করা যাবে না।’

এদিকে সংশোধিত খসড়ায় এই ধারাটি সংশোধন করে বলা হয়েছে, ‘পুলিশ রিপোর্ট বা অনুসন্ধান প্রতিবেদন পৃথকভাবে প্রস্তুত ও আমলে গ্রহণ: ১.ফৌজদারি কার্যবিধি বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনও আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, কোনও অপরাধ সংঘটনে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ও শিশু জড়িত থাকলে, পুলিশ রিপোর্ট বা ক্ষেত্র মতো অনুসন্ধান প্রতিবেদন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ও শিশুর জন্য পৃথকভাবে প্রস্তুত করে দাখিল করতে হবে।

২. ফৌজদারি কার্যবিধি বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনও আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ও শিশু কর্তৃক একত্রে সংঘটিত কোনও অপরাধ আমলে গ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের অপরাধ পৃথকভাবে আমলে গ্রহণ করতে হইবে।

বিদ্যমান আইনটির ১৫ নম্বর ধারায় নতুন করে ১৫ (ক) সন্নিবেশন করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে— মামলা বিচারের জন্য প্রেরণ বা স্থানান্তর: কোনও অপরাধ আমলে গ্রহণ করার পর, মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত করে-(ক) শিশু কর্তৃক সংঘটিত অপরাধ বিচারের জন্য মামলাটি প্রয়োজনীয় কাগজাপত্রসহ শিশু আদালতে প্রেরণ করতে হইবে। (খ) প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি কর্তৃক সংঘটিত অপরাধ বিচারের জন্য মামলাটি প্রয়োজনীয় কাগজাপত্রসহ এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে প্রেরণ করতে হইবে এবং (গ) দফা (ক) ও (খ) এর অধীন মামলা প্রেরণের বিষয়টি পাবলিক প্রসিকিউটরকে অবহিত করতে হইবে।

এর আগে গত বছরের ১২ নভেম্বর হাইকোর্ট শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের বিচার কোন আইনে,  কোন আদালতে হবে,  তা স্পষ্ট করতে শিশু আইন ২০১৩ সংশোধনে সরকারকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দেয়। 

আরও পড়ুন:
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত আদেশ

 

/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ভারতে আজ তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ চলছে
ভারতে আজ তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ চলছে
বৃষ্টিতেই কাটলো ওয়াসার পানির সংকট
বৃষ্টিতেই কাটলো ওয়াসার পানির সংকট
টিভিতে আজকের খেলা (৭ মে, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (৭ মে, ২০২৪)
খুলনায় আড়াই ঘণ্টার বৃষ্টিতে শহরে জলাবদ্ধতা
খুলনায় আড়াই ঘণ্টার বৃষ্টিতে শহরে জলাবদ্ধতা
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস