X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

হাইকোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি দস্তগীর হোসেনকে বিদায় সংবর্ধনা

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৫ আগস্ট ২০১৮, ০৫:০১আপডেট : ১৫ আগস্ট ২০১৮, ০৫:০৫

হাইকোর্ট সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেনকে বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছেন আইনজীবীরা। মঙ্গলবার বিকেলে (১৪ আগস্ট) বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চের এজলাস কক্ষে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সংবর্ধনায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের প্রতিষ্ঠান অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় থেকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. জয়নুল আবেদীন বক্তব্য দেন। এ সময় বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেনও আবেগঘন বক্তব্য দেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, ব্যারিস্টার ফিদা এম কামাল, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনসহ কয়েক শত আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, সংবিধান অনুযায়ী একজন বিচারপতি ৬৭ বছর বয়স পর্যন্ত স্বপদে বহাল থাকতে পারেন। এই হিসেবে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেনের বয়স ৬৭ বছর পূর্ণ হবে। তিনি ১৯৫১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম বিচারপতি সৈয়দ এ. বি. মাহমুদ হোসেন ছিলেন বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রধান বিচারপতি। মাতা মরহুম সুফিয়া বেগম। বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ১৯৬৮ সালে সেণ্ট গ্রেগরি স্কুল থেকে এসএসসি, ১৯৭০ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি, ১৯৭৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ (জুরিসপ্রুডেন্স) ডিগ্রি অর্জন করেন।
এরপর ১৯৭৭ সালের ১০ মার্চ আইনজীবী হিসেবে পেশাগত জীবন শুরু করেন। পরে ১৯৭৯ সালের ১০ মার্চ হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৮৪ সালের ২ আগস্ট আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০১ সালের ৩ জুলাই তাকে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০০৩ সালের ৩ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। এরপর থেকে তিনি হাইকোর্ট বিভাগেই বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনিই এখন হাইকোর্টের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ বিচারপতি। তিনি আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর অবসরে যাচ্ছেন। তবে ওইদিন পর্যন্ত অবকাশকালীন ছুটির কারণে মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের প্রথা অনুসারে তাকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

 

 

 

/বিআই/ওআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
রৌমারীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর প্রতিপক্ষের হামলা
রৌমারীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর প্রতিপক্ষের হামলা
টেকনাফে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
টেকনাফে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ ছিল এক ঘণ্টা
ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ ছিল এক ঘণ্টা
‘স্বাভাবিক পরিবেশে বাঁচতে প্রত্যেককে গাছ রোপণ করতে হবে’
‘স্বাভাবিক পরিবেশে বাঁচতে প্রত্যেককে গাছ রোপণ করতে হবে’
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস