ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডাকঘরের দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক ও বিশাল অবকাঠামো আমাদের বিশাল সম্পদ। এই সম্পদকে জাতির কল্যাণে কাজে লাগাতে হবে। ডিজিটাইজেশনের প্রভাবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে চিঠি আদান-প্রদানের যুগ শেষ হয়ে গেলেও পণ্য পরিবহনে ডাক বিভাগকে শ্রেষ্ঠতম প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি পুরো ডাক ব্যবস্থাকে ডিজিটাল করছি আমরা। তখন ডাকঘর ডিজিটাল সেবা প্রদানের কেন্দ্র হিসেবে পরিণত হবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
শনিবার (৯ অক্টোবর) ঢাকার আগারগাঁওয়ের ডাক ভবন মিলনায়তনে ‘বিশ্ব ডাক দিবস’ উপলক্ষে ডাক অধিদফতর আয়োজিত আলোচনা সভা ও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রলিখন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন ও বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।
মোস্তাফা জব্বার ৫০তম আন্তর্জাতিক চিঠি লেখা প্রতিযোগিতায় (এলএলডব্লিউসি) জয়ী নুবায়শা ইসলামের অর্জনকে দেশের জন্য অত্যন্ত গৌরবের বলে উল্লেখ করেন এবং তাকে ও তার পরিবারকে এ জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় বাংলা ভাষা জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষার গৌরব অর্জনের পাশাপাশি নুবায়শাদের সফলতার পথ বেয়ে বাংলা ইউনিভার্সল পোস্টাল ইউনিয়নের দাফতরিক ভাষা হিসেবে একদিন প্রতিষ্ঠা পাবে।’
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডাক সার্ভিসকে লাগসই প্রযুক্তিতে রূপান্তর করার বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘ডিজিটালাইজেশন কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় ডাক অধিদফতরে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস, ডিজিটাল মানিঅর্ডার, পোস্টাল ক্যাশকার্ড এবং ডিজিটাল কমার্স ইত্যাদি র্কাযক্রম চালু করা হয়েছে।’
বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার ডাক বিভাগের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন,‘প্রাচীনকালে যেমন ডাক বিভাগের প্রয়োজন ছিল আগামীতেও থাকবে।’
সভাপতির বক্তৃতায় ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, ‘বহুমাত্রিক ডিজিটাল সেবা প্রদানের বদৌলতে উদ্ভাবনের হাত ধরেই আগামীর ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের পৃথিবীতেও ডাক সেবার প্রয়োজনীয়তা অব্যাহত থাকবে।’
মন্ত্রী বিশ্ব ডাক সংস্থা ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়ন (ইউপইউ) আয়োজতি ৫০তম পত্র লিখন প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক বিজয়ী সিলেট আনন্দ নিকেতন বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী নুবায়শা ইসলামকে পুরস্কৃত করেন। এছাড়া মন্ত্রী ৪৮, ৪৯ ও ৫০তম আন্তর্জাতিক পত্র লিখন প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।