সরকারের জারি করা ‘রাইড শেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা’ অনুযায়ী অনুমোদনবিহীন গাড়ি, বিশেষ করে মোটরসাইকেলের বাণিজ্যিক ব্যবহার বন্ধ এবং অনুমোদিত গাড়ির চালকদের জন্য ‘রাইড শেয়ারিং' লেখা নির্ধারিত ইউনিফর্ম পরা বাধ্যতামূলক করার দাবি জানিয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান হয়। এসময় তারা আরও ৯টি দাবি জানান।
পরিষদের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে— সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা মহানগর এলাকায় বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী পেশাদার চালকদের মধ্যে বরাদ্দকৃত ৫ হাজার সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও চট্টগ্রাম মহানগর এলাকার জন্য ৪ হাজার অটোরিকশার নিবন্ধন প্রক্রিয়া অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা; সিএনজির ভাড়া প্রথম দুই কিলোমিটার ৮০ টাকা, পরবর্তী কিলোমিটার প্রতি ৩০ টাকা এবং ওয়েটিং চার্জ প্রতি মিনিট ৪ টাকা করে গেজেট প্রকাশ করা; দরিদ্র চালকদের জন্য যেকোনও মামলার ক্ষেত্রে জরিমানা ৫০০ টাকার বেশি না করাসহ মালিকের অতিরিক্ত জমা নেওয়া বন্ধ করা।
তারা আরও দাবি জানায়, বিআরটিএ’র খেয়াল-খুশি মতো মোটরযানের অপরিকল্পিত রেজিস্ট্রেশন প্রদান বন্ধ করা; সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সিএনজিচালকদের নির্ধারিত ক্ষতিপূরণ ও আহতদের চিকিৎসার খরচ ঝামেলা মুক্তভাবে দ্রুত পাওয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করা; সিএনজি অটোরিকশা মালিকদের নিজ নিজ অটোরিকশা চালকদের ছবি সংযুক্তসহ পূর্ণ বিবরণ সম্বলিত প্রত্যয়ন পত্র দেওয়া।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ‘২০১৩ সালে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সিএনজি বা পেট্রোলচালিত ফোর স্ট্রোক থ্রি-হুইলার সার্ভিস নীতিমালা ২০০৭ এর অনুচ্ছেদ-ক (২) ধারার আওতায় ঢাকা মহানগরী এলাকায় ৫ হাজার ও চট্টগ্রাম মহানগরীর এলাকার জন্য অতিরিক্ত ৪ হাজার সিএনজিচালিত থ্রি-হুইলার অটোরিকশার নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ঢাকার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত হয়, ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী পেশাদার চালকরাই বরাদ্দ ও নিবন্ধন পাওয়ার অধিকারী হবে। কিন্তু প্রায় ৯ বছরেও এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে শেষে আগামী ১৭ জানুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ও ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ওমর ফারুক চৌধুরী, সদস্য সচিব ফারুক হোসেন প্রমুখ।